Header Ads

রাজ্যে মন্ত্রীসভার রদবদল, ডানা ছাঁটা গেলো ব্রাত্য বসুর; গুরুত্ব বাড়ল সুব্রত মুখার্জীর।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ পুনরায় রাজ্য মন্ত্রী সভায় রদবদল হলো। দায়িত্ব খোয়ালেন ব্রাত্য বসু এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। দায়িত্ব পেলেন শান্তিরাম মাহাতো এবং বিনোয়কৃষ্ণ বর্মন। তার সাথে দায়িত্ব পেলেন রাজিব ব্যানার্জিও। বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হলো সুব্রত মুখোপাধ্যায় কে। লোকসভা নির্বাচনের আগে শান্তিরাম মাহাতোর হাতে ছিল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ছিলেন বনমন্ত্রী। কিন্ত লোকসভা নির্বাচনের লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া এবং উত্তরবঙ্গে রাজ্যের ফলাফল খারাপ হওয়ায় মন্ত্রীত্ব খোয়াতে হয়েছিল শান্তিরাম মাহাতো ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন কে।
কয়েকমাস পরে দপ্তর ফিরে পেলেন এই দুই মন্ত্রী। এক সময়ে রাজীব ব্যানার্জি ছিলেন সেচমন্ত্রী। শান্তিরাম মাহাতো আগের দপ্তর অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। অভিজ্ঞতার নিরিখে তিনি আগের দপ্তর ফিরে পেলেন। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণের দায়িত্বে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের পাশাপাশি সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফে থেকে মু্খ্যসচিব রাজীব সিনহার নতুন বিজ্ঞপ্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি এতদিন বনদপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন ব্রাত্য বসু। এবার বন দপ্তরের ভার দেওয়া হল রাজীব ব্যানার্জিকে।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে বিদ্যুৎ দপ্তরের পাশাপাশি অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের দায়িত্বও ছিল। এখন তাঁকে অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে। বছর দুই আগে পর্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের অধীনেই আদিবাসী-সহ একাধিক পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য কাজ হত। পরে আদিবাসী উন্নয়নে বাড়তি জোর দেওয়ার জন্য আলাদা করে দপ্তর তৈরি হয়। এই দপ্তরের দায়িত্বভার নিজের হাতেই রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু এবার আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো আদিবাসী এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ‘কাছের মানুষ’ বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের হাতে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.