দেশ জুড়ে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ্ সার্ভের কাজ চলছে, আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে সিজার নিয়ে।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজকের সময়ে ১০০ জনের মধ্যে হয়তো ১০০ জনেরই সিজারে সন্তান হয়। প্রয়োজন না থাকলেও সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সিজার করার পরামর্শ দেন। নরমাল সন্তান প্রসবের কথা এখন প্রায় শোনা যায়না বললেই চলে। সিজারে সন্তান প্রসবের ফলে মায়েদের কিছু সমস্যায় পড়তে হয়, যে, সমস্যা তাদের সারা জীবন বহন করতে হয়। কিন্তু সন্তানের সুখ পাওয়ার আশায় মা বাবা রা তা চিকিৎসকের কথা মেনে নেন। সিজারের ফলে যে শুধু মায়েদের সমস্যা হয় তা নয় অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যেও নানান সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
প্রয়োজন না থাকলেও সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন কি না, তা দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সারা দেশ জুড়ে এখন ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ্ সারভের কাজ চলছে। গতকাল এ রাজ্যের সমীক্ষার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থার প্রতিনিধি অরিন্দম দাস জানান, এই বছরই প্রথমবার প্রসুতিদের কাছে সমীক্ষার প্রশ্ন পত্রে জানতে চাওয়া হয়েছে যে গর্ভধারণের পরে কখন চিকিৎসক তাদের অস্ত্রোপচার অর্থাৎ সিজারের পরামর্শ দিয়েছেন। অরিন্দম দাসের মতে প্রসুতিরা এই প্রশ্নের উত্তর দিলেই ধরা পরে যাবে যে চিকিৎসক পরিকল্পনা করে সিজার করার পরামর্শ দিয়েছেন না তার সিজারের প্রয়োজন ছিল।
অরিন্দম বাবুর এই কথার জবাবে চিকিৎসক রা জানান, সমীক্ষার জবাব থেকে কখনোই সিজারের যৌক্তিকতা বোঝা একেবারেই সম্ভব নয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তপন নস্কর বলেন, কিছু ক্ষেত্রে সিজারের প্রয়োজন পরে, " বেশি বয়সে যখন কেউ মা হন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রসব ঝুঁকিপূর্ণ। একই ভাবে যে সব প্রসুতির অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাদের ক্ষেত্রেও অস্ত্রোপচার অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। সমীক্ষায় এই সমস্ত বিষয় গুলিও দেখা উচিৎ।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই