চিটফান্ড নয়, পিসি-ভাইপোর ফান্ড': লোকসভায় তৃনমূল কে তুলোধনা লকেটের।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ চিটফান্ড আইন সংশোধন বিলটি গত অধিবেশনে এলেও সময়ের অভাবে পাশ করানো যায়নি। তাই সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিনটাই এই বিলের জন্য ধার্য ছিল। বিল সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল এবং বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের তরজায় সরগরম হয়ে ওঠে লোকসভা।
গতকাল ঘটনাচক্রে স্পিকারের আসনে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ড. কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বিজেপি সাংসদকে বিলের বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ করলে, লকেট বলতে শুরু করেন, 'চিটফান্ড কান্ডে যেসব মানুষ ভুক্তভোগী তারা যদি পার্লামেন্ট থেকে লাইন শুরু করেন, তাহলে চাঁদে পৌঁছে যাবেন।
২০১১-য় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে চিটফান্ডের টাকায়। তৃণমূল সরকার চিটিংবাজের সরকার।' এরপরই কাকলি ঘোষ দস্তিদার তাঁকে থামিয়ে সতর্ক করে দেন, তিনি যেন লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময় 'চিটিংবাজ'-এর মতো শব্দ না ব্যবহার করেন। কিন্তু এরপর লকেট আরও সুর চড়িয়ে বলতে থাকেন, '৩০০০ কোটি টাকার চিটফান্ডের যে স্ক্যাম হয়েছে, সেখানে ১৭ লক্ষ মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বেশি করে সিগারেট খাও। তার থেকে যে মুনাফা উঠবে সেই টাকা প্রতারিত মানুষদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তা এখনও দেওয়া হয়নি। চিটফান্ড কান্ডে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারের জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ৪৬ ঘন্টা ধর্নায় বসেছিলেন অথচ, যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের জন্য অনশনে বসেননি, মিছিলে হাঁটেননি।'
এরই মধ্যে এক তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। লকেট তাকে বারবার বলতে থাকেন, 'আপনারা কোনও কথা বলবেন না।' তিনি বারবার কোনও অজ্ঞাত এক লাল ডায়রির কথা তুলে তৃণমূল পক্ষকে বলতে থাকেন 'লাল ডায়েরি কোথায়?' তিনি আরও বলেন, 'এটা চিটফান্ড নয়, পিসি-ভাইপোর ফান্ড'।
এহেন অবস্থায় স্পিকার লকেটকে থামানোর চেষ্টা করে বলতে থাকেন, 'বিচারাধীন বিষয় সংসদে আনবেন না। বিল নিয়ে কথা বলুন।' পরিস্থিতি মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে শুরু করলে স্পিকার ওম বিড়লা আসনে ফিরে রীতিমতো ধমকের সুরে রসিকতা করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলেন, 'লোকসভা অধিবেশনকে বাংলার বিধানসভা বানাবেন না।'
লকেটের পরে দিলীপ ঘোষও বক্তব্য রাখেন। তাঁকেও স্পিকার সতর্ক করে বলেন শুধু বিল নিয়ে কথা বলতে। পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাকলি স্পিকারকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন, বিজেপি সাংসদদের বক্তৃতার অংশবিশেষ রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হোক।
২০১১-য় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে চিটফান্ডের টাকায়। তৃণমূল সরকার চিটিংবাজের সরকার।' এরপরই কাকলি ঘোষ দস্তিদার তাঁকে থামিয়ে সতর্ক করে দেন, তিনি যেন লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময় 'চিটিংবাজ'-এর মতো শব্দ না ব্যবহার করেন। কিন্তু এরপর লকেট আরও সুর চড়িয়ে বলতে থাকেন, '৩০০০ কোটি টাকার চিটফান্ডের যে স্ক্যাম হয়েছে, সেখানে ১৭ লক্ষ মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বেশি করে সিগারেট খাও। তার থেকে যে মুনাফা উঠবে সেই টাকা প্রতারিত মানুষদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তা এখনও দেওয়া হয়নি। চিটফান্ড কান্ডে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারের জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ৪৬ ঘন্টা ধর্নায় বসেছিলেন অথচ, যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের জন্য অনশনে বসেননি, মিছিলে হাঁটেননি।'
কোন মন্তব্য নেই