চাকরি ছেড়ে গান বা নাটকের দল করুন! পুলিশ কে হটাৎ এই বার্তা কেন মুখ্যমন্ত্রী? #Editorial
অর্ক সানা(সম্পাদক, নজরবন্দি): একদা বলেছিলেন গুণ্ডা কন্ট্রোল করেন, ঘটনা চক্রে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পুলিশ কে পরামর্শ দিলেন রাফ অ্যান্ড টাফ হওয়ার। কিন্তু কেন এমন বললেন মুখ্যমন্ত্রী? বাংলার পুলিশ কি রাফ অ্যান্ড টাফ নয়! সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ার আগে পর্যন্ত বাংলার পুলিশ নিয়ে কখনও সুর চড়াতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা কে। 
কখনও দেখা গেছে বাম মিছিলে এক বৃদ্ধ কে ঘিরে ৫ জন পুলিশ লাঠি পেটা করছে আবার কখনও সেই পুলিশ তৃণমূল নেতাদের মারের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকোচ্ছে। মাঝে একবার বই মেলায় পুলিশ কে চাবকে পিঠের ছাল তুলে নেওয়ার কথা বলা আর কালীঘাটের লকআপ থেকে কিছু তৃণমূলের আদর্শবান কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা ছাড়া নিজের শাসন কালে পুলিশ নিয়ে কমবেশি সন্তষ্ট থাকতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
কিন্তু ব্যাপারটা বদলে যায় সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের পর। মুখ্যমন্ত্রী নিজের পুলিশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগে বসা ধর্না মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য রাখেন। লোকসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পান বাংলার পুলিশের অতি সক্রিয়তা, তৃণমূলের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরন।
কিন্তু পুলিশ করবে টা কি? আজ যে তৃণমূল নেতার কথায় সে ওঠা বসা করত কাল সে বিজেপি হয়ে যাচ্ছে আবার 'ভুল ভেঙে' কখনও কখনও ফিরে আসছে নিজের ঘরে। আদর্শ? মারো গুলি। তাই পুলিশের ব্যালেন্স করা ছাড়া উপায় নেই। আর মুখ্যমন্ত্রী স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ হবেন এটা ভেবে যে পুলিশ কেন ব্যালেন্স করবে! আসলে কথাটা হল পুলিশ কথা শুনলে শুনবে তৃণমূলের অন্য দলের নয়। কিন্তু ব্যাপারটা হওয়া উচিত পুলিশ শুনবে শুধু সংবিধানের কথা, মেনে চলবে সংবিধান যদিও তা নৈব নৈব চ। তাই পুলিশের ফুটবল হওয়া ছাড়া উপায় নেই, কখন কে লাথাচ্ছে তা তাঁরা নিজেরাও জানেনা। 
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশকে রাফ অ্যান্ড টাফ হওয়ার পরামর্শ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মালদহে দুর্ঘটনা কেন বাড়ছে? ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি কিভাবে পথ অবরধ করছে! প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার 'এক্সপ্লেনেশন' কে কার্যত মাঝপথে থামিয়ে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কেন নেতাদের ভয় পাবে? এরা কত বড় নেতা? এত ভয় তো পুলিশের চাকরি করতে হবে না৷ দরকার হলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে নাটক করুন, গানের দল করুন৷ একদম সেফ! বুঝুন...
কখনও দেখা গেছে বাম মিছিলে এক বৃদ্ধ কে ঘিরে ৫ জন পুলিশ লাঠি পেটা করছে আবার কখনও সেই পুলিশ তৃণমূল নেতাদের মারের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকোচ্ছে। মাঝে একবার বই মেলায় পুলিশ কে চাবকে পিঠের ছাল তুলে নেওয়ার কথা বলা আর কালীঘাটের লকআপ থেকে কিছু তৃণমূলের আদর্শবান কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা ছাড়া নিজের শাসন কালে পুলিশ নিয়ে কমবেশি সন্তষ্ট থাকতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
কিন্তু ব্যাপারটা বদলে যায় সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের পর। মুখ্যমন্ত্রী নিজের পুলিশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগে বসা ধর্না মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য রাখেন। লোকসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পান বাংলার পুলিশের অতি সক্রিয়তা, তৃণমূলের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরন।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশকে রাফ অ্যান্ড টাফ হওয়ার পরামর্শ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মালদহে দুর্ঘটনা কেন বাড়ছে? ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি কিভাবে পথ অবরধ করছে! প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার 'এক্সপ্লেনেশন' কে কার্যত মাঝপথে থামিয়ে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কেন নেতাদের ভয় পাবে? এরা কত বড় নেতা? এত ভয় তো পুলিশের চাকরি করতে হবে না৷ দরকার হলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে নাটক করুন, গানের দল করুন৷ একদম সেফ! বুঝুন...

No comments