Header Ads

কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কিম(CAS) মামলায় হাইকোর্টে বড়ো জয় BGTA এর। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজ কলকাতা হাই কোর্টে কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কিম( CAS) মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানির সময় সংগঠনের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তর গত ৭ই নভেম্বর সরকারি কর্মচারীদের জন‍্য কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট বিষয়ক এক নির্দেশিকা বার করে
যার মেমো নং ৬০৪২ F(P২) যেখানে বলা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ০১/০১/২০২০ থেকে এই কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কীম চালু হবে।আরও পড়ুনঃ মৌচাকে হাত দেবেন না, কাজে মন দিন! মুখ্যমন্ত্রী কে তীব্র আক্রমন রাজ্যপালের।এই মেমোতে সরকার পোষিত বিদ‍্যালয় শিক্ষক দের যথারীতি বাদ রাখা হয়েছে। সংগঠনের তরফে মাননীয় সিনিয়র আইনজীবী সুরোজিত নাথ মিত্র ও আইনজীবী অনিন্দ্য বসু মহাশয় বিচারপতি এর কাছে আবেদন জানান এই বিষয়ে আদালত যতক্ষন না সিদ্ধান্তে পৌছাচ্ছে তার আগে এই কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কীম যাতে কার্যকর না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক।
এরপর মাননীয় বিচারপতি নির্দেশ দেন যে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে এবিষয়ে নোটিশ করতে এবং আগামী সোমবার পুনরায় শুনানির জন্য ধার্য্য করেন।
অন্যদিকে,  গতকাল দঃ ২৪ পরগনা বিজিটিএ জেলা কমিটির জোড়া বিক্ষোভ সমাবেশে টিজিটি স্কেল না পেলে আরো কঠোর আন্দোলনের শপথ নিলেন প্রায় দুই শতাধিক গ্র‍্যাজুয়েট টিচার। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় দঃ ২৪ পরগনার বিচ্ছিন্ন এলাকা সাগর দ্বীপে, আর দ্বিতীয়টি ভাঙড়ের পোলেরহাট হাই স্কুলে। বিজিটিএ সুত্রে জানা গেছে দুই সমাবেশেই প্রায় দুই শতাধিক গ্র‍্যাজুয়েট টিচার যোগ দেন।
আন্দোলনকারী পার্শ্ব শিক্ষিকার মৃত্যু! হবে মরণোত্তর দেহ দান? চরম চাপে রাজ্য সরকার।
 এনারা বেশীর ভাগ ই আজ বিজিটিএ তে নতুন যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিজিটিএ দঃ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির তরফে এই সমাবেশের পোশাকী নাম দেওয়া হয় 'পরিকল্পনা সমাবেশ'। দঃ ২৪ পরগনা বিজিটিএ রাজ্য কমিটির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মন্ডল ও সহ সভাপতি প্রতাপ মন্ডল ভাঙড়ের সভা শেষে টেলিফোনে এই সংবাদ দাতা কে জানান,"এই সরকার কে আমরা বহু আবেদন নিবেদন করেছি। কোর্টে গিয়ে ও টিজিটি'র পক্ষে ৬ খানা রায় পেয়েছি, কিন্তু সরকার কোন রায় কে পাত্তা না দিয়ে এক জগাখিচুড়ি পে কমিশন ঘোষনা করেছেন যেখানে একজন ট্রেন্ড গ্র‍্যাজুয়েট টিচার ও একজন পোষ্ট গ্র‍্যাজুয়েট টিচারের প্রাথমিক বেসিকের তফাৎ ৩২০০/ থেকে ভাড়িয়ে ৯২০০/ করা হয়েছে। বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান সরকার কে হাইকোর্টের রায় মানানোর জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারী তরফে কোন ইতিবাচ সাড়া পাওয়া যায় নি। তাই আমরা জেলায় হেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও পরিকল্পনা সভা করছি যাতে স্কুল গুলিতে পরীক্ষা পর্ব মিটলে অভূতপূর্ব তীব্র আন্দোলনে বামতে পারি। জেলার প্রতিটি গ্র‍্যাজুয়েট টিচার আরো একটি কঠোর আন্দোলনের জন্য মুখিয়ে আছেন। আমারা ধর্মতলার ধর্ণা মঞ্চ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কে দাবীপত্র দিয়ে এসেছিলাম। সেকারণে ও পরীক্ষা পর্ব চলায় নভেম্বর মাসটা আমরা মুখ্যমন্ত্রী'র হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় আছি। ডিসেম্বরের প্রথম থেকে আমরা ভয়ঙ্কর কঠোর আন্দোলন শুরু করব। আজকের সমাবেশ তার ই প্রস্তুতি সভা!" বিজিটিএর সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য জানান,"গ্র‍্যাজুয়েট টিচাররা বঞ্চিত হতে হতে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি যেখানে হাই কোর্টের 'ম্যান্ডামাস" মানানোর জন্য আন্দোলন করতে হয়!তবে সরকার কে সময় দিচ্ছি বলে সরকার যদি আমাদের দুর্বল ভাবেন তো ভুল করবেন,কেননা আমাদের আইনী প্রক্রিয়া জারি আছে। আর এই ফাঁকে প্রতিটি জেলা বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি টাও সেরে নিচ্ছে। জয় আমাদের হবেই! সরকার আমাদের যত অবহেলা করভে আমরা ততই কঠোর আন্দোলন করব, কেন না টিজিটি স্কেল আমাদের হকের পাওনা,তা আমরা প্রয়োজন হলে ছিনিয়েই নেব "

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.