বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ এবং লাদাখের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে কার্গিলে কালা দিবস পালন।
নজরবন্দি ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছে। এখন জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য। এই আবহে লাদাখের অন্তর্ভুক্ত কার্গিলবাসী কালা দিবস পালন করেছে। গত বুধবার থেকেই কার্গিলে বাজার হাট বন্ধ ছিল। আর ৩১ অক্টোবর কার্গিলবাসী রাস্তায় নেমে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিবাদ জানায়। সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে 'কালা দিবস' পালন করে। কার্গিল পার্বত্য বিকাশ পরিষদের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অসগর আলি করবলাই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন, "আমরা এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণভাবে বিরোধী। আমরা লাগাতার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রদর্শন করে আসছি। বিগত তিনদিন ধরে কার্গিলের মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
বাজার বন্ধ রয়েছে। গণ পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।" করবলাই বলেছেন, "কার্গিলের মানুষ ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে। এবং দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন," এই সিদ্ধান্ত জণগনের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। এটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের কাছে কোন বিধানসভা নেই, কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হওয়ায় পদুচেরির মতো বিধানসভা থাকবে। কিন্তু লাদাখে চণ্ডীগড়ের মতো কোন বিধানসভা থাকবে না। আর দুটি সদ্য গঠিত কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের নেতৃত্ব দেবে উপরাজ্যপাল। লাদাখের স্বায়ত্ত পার্বত্য বিকাশ পরিষদ(কার্গিল) অধ্যক্ষ তথা সিইসি ফিরোজ আহমেদ খান জানিয়েছেন। "৩৭০ ধারা বিলোপ এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গঠনের ফলে উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা নিজেদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে। মানুষ কর্মসংস্থান আর নিরাপত্তা চাইছে। কার্গিল লাদাখের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ফিরোজ আহমেদ খান সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন,"শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্র যদি খোলা থাকে তাহলে কার্গিলের মানুষ আশঙ্কা করছে যে তাদের বাচ্চারা ভালো চাকরী আদৌ পাবে।" কার্গিলের প্রাক্তন বিধান পরিষদ সদস্য আগা সৈয়দ আহমেদ রিজভি জানিয়েছেন, "কার্গিলের সঙ্গে ভেদাভেদ করা হয়েছে এবং এখানকার মানুষকে ফের একবার কোণঠাসা করা হয়েছে। এর আগেও আমাদের আলাদা করা হয়েছিল এবং লাদাখের মধ্যে কার্গিলের অন্তর্ভুক্তি আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আরোপিত সিদ্ধান্ত।" তিনি জানিয়েছেন, "কার্গিলের মানুষ এই বিভাজন চায় না। আমরা আজাদি চাইছি না। আমরা ঐক্য এবং ন্যায় চাই।" গত ৫ আগস্ট জম্মু কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে রিজভি জানিয়েছেন, "এখন যখন বিভাজন হয়ে গিয়েছে আমরা চাই কার্গিল এবং লেহ এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হোক।"
কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা নিজেদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে। মানুষ কর্মসংস্থান আর নিরাপত্তা চাইছে। কার্গিল লাদাখের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ফিরোজ আহমেদ খান সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন,"শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্র যদি খোলা থাকে তাহলে কার্গিলের মানুষ আশঙ্কা করছে যে তাদের বাচ্চারা ভালো চাকরী আদৌ পাবে।" কার্গিলের প্রাক্তন বিধান পরিষদ সদস্য আগা সৈয়দ আহমেদ রিজভি জানিয়েছেন, "কার্গিলের সঙ্গে ভেদাভেদ করা হয়েছে এবং এখানকার মানুষকে ফের একবার কোণঠাসা করা হয়েছে। এর আগেও আমাদের আলাদা করা হয়েছিল এবং লাদাখের মধ্যে কার্গিলের অন্তর্ভুক্তি আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আরোপিত সিদ্ধান্ত।" তিনি জানিয়েছেন, "কার্গিলের মানুষ এই বিভাজন চায় না। আমরা আজাদি চাইছি না। আমরা ঐক্য এবং ন্যায় চাই।" গত ৫ আগস্ট জম্মু কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে রিজভি জানিয়েছেন, "এখন যখন বিভাজন হয়ে গিয়েছে আমরা চাই কার্গিল এবং লেহ এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হোক।"
Loading...
কোন মন্তব্য নেই