ট্রাফিক নিয়ম এবং আপনার অধিকার।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ যারা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন, তাদের প্রত্যেকেই ট্রাফিক পুলিশের কাছে সমস্যায় পড়তে হয়। সঠিক ট্রাফিক নিয়ম না জানার কারণে সাধারণ মানুষকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যায় পরার ভয়ে বেশিরভাগ মানুষ ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা না বাড়িয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন, যা অনেক ক্ষেত্রে ন্যায্য নয়। সেই কারনে সকলের উচিৎ নিজেদের অধিকার এবং ট্রাফিক নিয়ম জেনে রাখা। পুলিসের চাপে পড়ে অন্যায্য কাজ করবেন না। ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা কখনও করা উচিত নয়। দুচাকা বা চারচাকা গাড়ি থাকলে সবাই এই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। পুলিস দাঁড় করিয়েছে। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আপনারও কিছু অধিকার আছে। সেগুলি জেনে রাখা ভালো।
১) পুলিশ খালি হাতে কিছু দাবি করতে পারে না। তাদের কাছে চালান বই কিংবা ই-চালান মেশিন থাকতে হবে। ২) যদি ট্রাফিক পুলিশ থামায় তবে গাড়ি বন্ধ করে আপনার বাহন সম্পর্কিত তথ্য পুলিসের কাছে পেশ করুন। শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোই যথেষ্ট। পুলিশের কাছে সেটা হস্তান্তর করবেন কিনা সেটা নিতান্তই আপনার ইচ্ছা। মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টের ১৩০ ধারা অনুযায়ী ‘প্রডিউস’ করলেই অর্থাৎ দেখালেই হবে। ৩) পুলিসের সঙ্গে কখনও তর্কে জড়াবেন না। কিছু ভুল করে ফেললে সেটা ভয় না পেয়ে পুলিশ কে জানান, পুলিশ আপনাকে যেতে দেবে। ৪) এই কাজগুলি না করলে আপনাকে রাস্তায় কোন সমস্যায় পড়তে হবেনা। লালবাতি দেখেও না থামা, যে কোন জায়গায় পার্কিং না করা, হেলমেট ছাড়া গাড়ি না চালানো, বেশী গতিবেগ না রাখা, গাড়ি চালানোর সময় ধূমপান করবেন না, নাম্বার প্লেটে সঠিক রাখবেন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাবেন না, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না, বীমার বৈধকাগজ সাথে রাখা, দূষণের যথাযথ কাগপত্র, এই কয়েকটি জিনিস মেনে থাকলে ট্রাফিক পুলিস জরিমানা করতে পারে না।
৫) ট্রাফিক পুলিসকে বহুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না। ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা কখনও নয়। ট্রাফিক পুলিসের পোশাকে কোনও ব্যাজ দেখতে না পেলে পরিচয় পত্র দেখতে চান। এটা আপনার অধিকারের মধ্যে পড়ে। পরিচয় পত্র না দেখালে তাঁকে গাড়ির কাগজপত্র দেবেন না। ৬) জরিমানার টাকা দেবেন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কোনও পুলিস অফিসারকে। ৭) লাইসেন্স বা পারমিট না থাকলে পুলিস দুচাকা বা চারচাকা গাড়ি আটক করতে পারে। রেজিস্ট্রেশন না থাকলেও আটক করতে পারে। এই বিষয়গুলির দিক খেয়াল রাখা উচিৎ। ৮) বৈধ রসিদ ছাড়া, ট্রাফিক পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পারে না। লালাবাতিতে না থামা, ওভারলোডিং, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আটক করতে পারে। ৯) ট্র্যাফিক পুলিশ কর্তৃক অপরাধের জন্য আটক করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারকের কাছে হাজির করতে হবে। ১০) ট্রাফিক পুলিস হয়রানি করলে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারেন।
১) পুলিশ খালি হাতে কিছু দাবি করতে পারে না। তাদের কাছে চালান বই কিংবা ই-চালান মেশিন থাকতে হবে। ২) যদি ট্রাফিক পুলিশ থামায় তবে গাড়ি বন্ধ করে আপনার বাহন সম্পর্কিত তথ্য পুলিসের কাছে পেশ করুন। শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোই যথেষ্ট। পুলিশের কাছে সেটা হস্তান্তর করবেন কিনা সেটা নিতান্তই আপনার ইচ্ছা। মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টের ১৩০ ধারা অনুযায়ী ‘প্রডিউস’ করলেই অর্থাৎ দেখালেই হবে। ৩) পুলিসের সঙ্গে কখনও তর্কে জড়াবেন না। কিছু ভুল করে ফেললে সেটা ভয় না পেয়ে পুলিশ কে জানান, পুলিশ আপনাকে যেতে দেবে। ৪) এই কাজগুলি না করলে আপনাকে রাস্তায় কোন সমস্যায় পড়তে হবেনা। লালবাতি দেখেও না থামা, যে কোন জায়গায় পার্কিং না করা, হেলমেট ছাড়া গাড়ি না চালানো, বেশী গতিবেগ না রাখা, গাড়ি চালানোর সময় ধূমপান করবেন না, নাম্বার প্লেটে সঠিক রাখবেন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাবেন না, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না, বীমার বৈধকাগজ সাথে রাখা, দূষণের যথাযথ কাগপত্র, এই কয়েকটি জিনিস মেনে থাকলে ট্রাফিক পুলিস জরিমানা করতে পারে না।

No comments