Header Ads

ভয় পাবেন না, এনআরসি কি জানুন। লিখছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ঃ ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন অর্থাৎ এনআরসি এমন একটি নিবন্ধ, যা প্রত্যেক প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নাম ধারন করে। ২০০৫-এর ৫ মে আসাম সরকার এবং আসামের সমস্ত স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সঙ্গে কেন্দ্রে একটি ত্রিপাক্ষীয় বৈঠক আয়োজিত হয়, যার সভাপতিত্বে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। এনআরসি আপডেট করা হবে, সেই বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। ২০১৩-তে সুপ্রিমকোর্টের তরফে আদেশ আসে এবং সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, ১৯৭১, ২৪ মার্চ-এর আগে অবধি প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রমান করতে পেরেছিল। বর্তমানে একমাত্র আসামের কাছেই এই ধরনের একটি নাগরিকপঞ্জি রয়েছে।
নাগাল্যান্ড সেখানকার আদিবাসী বাসিন্দাদের নিয়ে একইরকম একটি নাগরিকপঞ্জির খসড়া তৈরী করেছে। মণিপুর এবং ত্রিপুরা তাদের নিজস্ব এনআরসি তৈরির অনুমতিও পেয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলা থেকে কখনই এনআরসি-র জন্য আবেদন জানানো হয়নি, এমনকি বর্তমান সরকারপক্ষের তরফেও এনআরসি প্রস্তাবিত হয়নি কোনও এক আনুমানিক ভয় এবং কাল্পনা থেকে। আসামের এনআরসিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের এবং অন্যদিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিদেশী নাগরিকদের। ৩১ আগস্ট প্রকাশিত এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী প্রায় ১.৯ কোটি মানুষ তাঁদের বৈধ নাগরিক প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আসামে নাগরিকপঞ্জীর জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীর প্রাথমিক মানদণ্ড ছিল, পরিবারের সদস্যদের নাম থাকতে হবে ১৯৫১-এ প্রস্তুত এনআরসি তালিকায় অথবা ১৯৭১, ২৪ মার্চ-এর ভোটার তালিকায়। এছাড়াও আবেদনকারীদের কাছে বিকল্প হিসেবে ছিল- শরণার্থী নিবন্ধকরণের নথি, জন্ম শংসাপত্র, এলআইসি পলিসি, জমি এবং ভাড়াটে রেকর্ড, নাগরিকত্ব শংসাপত্র, পাসপোর্ট, সরকারী লাইসেন্স বা শংসাপত্র, ব্যাংক / ডাকঘর অ্যাকাউন্ট, স্থায়ী আবাসিক শংসাপত্র, সরকারী কর্মসংস্থান শংসাপত্র, শিক্ষাগত নথি এবং কোর্ট রেকর্ড।

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.