NRC ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, বিরোধীদের ওয়াকআউট।
নজরবন্দি ব্যুরো: বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক পুঞ্জিকরণ NRC ইস্যুতে অসম বিধানসভায় বিরোধী AIIUDF এবং কংগ্রেস মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু বিধানসভার স্পিকার মুলতুবি প্রস্তাব নাকচ করে দিতেই, বিরোধীরা বিধানসভা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যায়। বিধানসভার অধিবেশন শেষে অসম বিজেপির শীর্ষ নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, শীঘ্রই অসম বিধানসভায় NRC থেকে বাদ পড়া বাঙালি হিন্দুদের তথ্য প্রকাশ করবে অসম সরকার। বিজেপি এই শীর্ষ নেতার কথায়, NRC থেকে নাম বাদ পড়লেও হিন্দু বাঙালিরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলে নাগরিকত্ব জন্য আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ প্রসঙ্গে এর আগেই হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন,' নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাশ হলে অসমে থাকা কোনও ডিটেনশন সেন্টারে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন বা খ্রীস্টানদের রাখা হবে না।
অন্যান্যদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আদালতের নির্দেশে ডিটেনশন সেন্টার গড়ে উঠেছে। সরকারের ইচ্ছেতে নয়।' সাংবাদিকদের সামনে অসমের এই শীর্ষ বিজেপি নেতা এও বলেছেন,'আমরা অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চাই। আমার কাছে জেলা ভিত্তিক তথ্য আছে, কারা কারা NRC থেকে বাদ পড়েছে। এই লোকগুলো NRC থেকে বাদ পড়লে আমাদের ভোট ব্যাঙ্কে আঘাত এসে পড়বে। বেশ কয়েকটা বিধানসভা আসন হারাবে দল। তাই রাজ্যের মানুষের কল্যাণে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল খুব দরকার।' ইতিমধ্যেই NRC প্রক্রিয়ায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে অসমে। যা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব দেশের বিরোধী দলগুলো। উল্লেখ্য NRC বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদযাত্রায় হেঁটেছেন। বলেছেন, রাজ্যে তিনি NRC করতে দেবেন না। আর দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সারা দেশ জুড়ে NRC লাঘু করা হবে।
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে NRC লাঘু হলে ১ কোটি মানুষের নাম বাদ যাবে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর, করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে রাজ্যের বিজেপি শক্তি মুখ থুবড়ে পড়েছে। লোকসভা ভোটের ৬ মাসের মাথায় উপনির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের কাছে অপ্রত্যাশিত। এর জেরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করে বসেছেন, দল চাইলে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজী। সব মিলিয়ে অসমে NRC ইস্যুতে এখন বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল।
অন্যান্যদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আদালতের নির্দেশে ডিটেনশন সেন্টার গড়ে উঠেছে। সরকারের ইচ্ছেতে নয়।' সাংবাদিকদের সামনে অসমের এই শীর্ষ বিজেপি নেতা এও বলেছেন,'আমরা অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চাই। আমার কাছে জেলা ভিত্তিক তথ্য আছে, কারা কারা NRC থেকে বাদ পড়েছে। এই লোকগুলো NRC থেকে বাদ পড়লে আমাদের ভোট ব্যাঙ্কে আঘাত এসে পড়বে। বেশ কয়েকটা বিধানসভা আসন হারাবে দল। তাই রাজ্যের মানুষের কল্যাণে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল খুব দরকার।' ইতিমধ্যেই NRC প্রক্রিয়ায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে অসমে। যা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব দেশের বিরোধী দলগুলো। উল্লেখ্য NRC বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদযাত্রায় হেঁটেছেন। বলেছেন, রাজ্যে তিনি NRC করতে দেবেন না। আর দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সারা দেশ জুড়ে NRC লাঘু করা হবে।
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে NRC লাঘু হলে ১ কোটি মানুষের নাম বাদ যাবে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর, করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে রাজ্যের বিজেপি শক্তি মুখ থুবড়ে পড়েছে। লোকসভা ভোটের ৬ মাসের মাথায় উপনির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের কাছে অপ্রত্যাশিত। এর জেরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করে বসেছেন, দল চাইলে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজী। সব মিলিয়ে অসমে NRC ইস্যুতে এখন বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল।

No comments