Header Ads

"অচ্ছে দিনের"খোঁজে ভারতের দুই রাজ্যের পথ চলা শুরু, জানতে হলে পড়তেই হবে।

নজরবন্দি ব্যুরো:বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের তকমা গায়ে সেটে পথ চলা শুরু করলো জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫ এ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে ফেলে ভূস্বর্গ। এরপর ঝিলম নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ পৃথক পৃথক দুটি কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ এবং আইন শৃঙ্খলা বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে থাকবে। আর নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে জমির বিষয়টি। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংসদে পাশ হওয়া সংশ্লিষ্ট বিলটিতে সম্মতি সূচক স্বাক্ষর দিয়েছ্রন। ফলে বিলটির আইনের রক্ষাকবচ জুটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই দুই আমলা গিরিশচন্দ্র মূর্মূ শ্রীনগরে এবং আর কে মাথুর লাদাখে উপরাজ্যপাল পদে শপথ নিতে চলেছেন। বিশেষ মর্যাদা হ্রাসের পর থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি সহ প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বিলোপের প্রতিবাদে কাশ্মীরি তরুণ প্রজন্ম বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তড়িঘড়ি তাদের উপত্যকা ছাড়ার চিত্রও সামনে আসে। উপত্যকা জুড়ে প্রশাসন কাফিউ জারি করে। টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন পরিষেবার ওপরে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রায় তিন মাসের মতো উপত্যকার শিক্ষাঙ্গনে পঠনপাঠন শিকেয় ওঠে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়ে। কাশ্মীরি 'আওয়াম' জণগন দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার প্রতীক্ষায় দিন গুনে চলেছিল। পৃথক পৃথক দুটি কেন্দ্র শাসিত রাজ্য গঠনের মধ্যে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের জনগণ এখন "অচ্ছে দিনের" অপেক্ষায়।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.