Header Ads

কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে হুজ্জুতি, যাত্রীরা বিভ্রান্ত, আরপিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

নজরবন্দি ব্যুরো: সোমবার সন্ধ্যের সময় শহর কলকাতা সাক্ষী থাকলো হুজ্জুতির। সন্ধ্যে ৬.৫০ মিনিটে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এক মহিলার অভিযোগে প্রথমে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। মহিলার অভিযোগ, মেট্রো রেলের পুরুষ যাত্রী লুকিয়ে তার শরীরের ভিডিও এবং ছবি তুলেছে। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বচসা। হই হট্টগোল শুনে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে উপস্থিত কর্তব্যরত দুই আরপিএফের কর্মী এগিয়ে আসে। ঘটনা এবার অন্য খাতে মোড় নিতে শুরু করে। দুই আরপিএফ কর্মী মহিলার অভিযোগ শুনে ওই পুরুষ যাত্রী সিজার মিশ্রর মোবাইল পরীক্ষা করে দেখতে চায়। পুরুষ যাত্রী স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মোবাইল দিতে অস্বীকার করে দাবি করে স্টেশন মাস্টারের ঘরে মোবাইল পরীক্ষা করতে হবে।
 এবার ওই পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে দুই আরপিএফ কর্মীর বচসা শুরু হয়। ওই পুরুষ যাত্রী সিজার মিশ্রর অভিযোগ, দুই আরপিএফ কর্মী তাকে মারতে মারতে স্টেশন মাস্টারের ঘরে নিয়ে যায়। ভয় ভীতি প্রদর্শন করে, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হুমকি দেয়। যাত্রী সিজার মিশ্রর অভিযোগ দুই আরপিএফ কর্মী হিন্দি ভাষায় কথা বলায় তিনি বলেন, আমি হিন্দি ভাষা বুঝতে পারছি না। এই কথা শুনে দুই আরপিএফ কর্মী ভীষণভাবে রেগে যায় এবং 'জাতি বিদ্বেষের' শাসানি দেয়। অবশেষে ওই পুরুষ যাত্রীর মোবাইল পরীক্ষা করে যাত্রী মহিলার অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আপত্তিজনক কোন ভিডিও কিংবা ছবি পুরুষ যাত্রী সিজার মিশ্রর মোবাইলে পাওয়া যায়নি। মহিলা লিখিত আকারে পুরুষ যাত্রী সিজার মিশ্রর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এদিকে দুই আরপিএফ কর্মীর নামে কালীঘাট থানায় এফআইআর করেছে ভুক্তভোগী পুরুষ যাত্রী সিজার মিশ্র।
 প্রশ্ন উঠছে জনৈক মহিলা ওই যাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোটা ঘটনা সময়ের সঙ্গে নানা খাতে বয়েছে। কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে মেট্রো রেলে চেপে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য হাজির যাত্রীরা ঘটনার আকস্মিকতায় বিভ্রান্ত হয়েছে, জন শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়েছে। অথচ জনৈক ওই মহিলা যাত্রীর বিরুদ্ধে 'আইনের অনুশাসন' প্রয়োগ এবং কার্যকর করেনি মেট্রো রেল, আরপিএফ কিংবা কলকাতা পুলিশ। শুধুমাত্র মুচলেকা লিখে ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে গেছে প্রশাসনের ত্রুটির কারণে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.