নোটবন্দি জিএসটির চক্রব্যুহের ফাঁসে জড়িয়ে দেশের অর্থনীতি,পরিত্রানের পথ অজানা মোদি সরকারের৷
অরুণাভ সেনঃ নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের পর রঘুরাম রাজন সবাই কিন্তু দেশের অর্থনীতির মন্দার জন্য খলনায়ক সেই হিসেবে নোটবন্দি,জিএসটিকে দায়ি করছেন৷ শুরু করেছিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার৷দেশের আর্থিক মন্দা নিয়ে মুখ খুলে মোদি সরকারের যাবতীয় কৃতিত্বের ফানুস কিন্তু তিনি চুপসে দিয়েছিলেন৷ ৭০ বছরে ‘অভূতপূর্ব’ এমন আর্থিক সঙ্কট! অতীতে দেখা যায়নি বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন নীতি আয়োগের নম্বর টু রাজীব কুমার৷কোনও সন্দেহ নেই ঠিক এই কথাগুলি বলার চেষ্টা করছিলেন দেশের বাম মনষ্ক অর্থনীতিবিদরা,এমন কি একই ধরনের কথার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছিল কংগ্রেস সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী নেতাদের কন্ঠে৷এবার কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনায় সরব রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি অর্থনীতির এই ঝিমিয়ে থাকা দশার জন্য নোট বাতিল ও জিএসটিকেই দায়ী করেছেন। তাঁর মতে তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করা হয়।
তিনি পরিস্কার বলেছেন এই দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে অর্থব্যবস্থা এর থেকে ভালো অবস্থায় থাকত। রঘুরাম রাজন যে কথাটি বলেছেন সেটি আসলে সরকারকে কটাক্ষ করা, কারুর সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরকার নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। এই সিদ্ধান্তে দেশের এতটুকু কোনও লাভ হয়নি, বরং সাধারণ মানুষের লোকসান হয়েছে বলে তিনি অভিমত পোষন করেছেন৷দু'বারের ইউপিএ সরকার যখন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ,তেমনই জোরালো ঢেউ প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার৷বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন দেখালেন আচ্ছে দিনের৷মানুষও বিকল্পের সন্ধানে৷ভোটের ফলে বিপর্যস্ত ইউপিএ৷ক্ষমতায় আসীন হল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার৷তখন দেশ জুড়ে কেবল মোদি হাওয়া৷মানুষও স্বপ্ন দেখছেন নিশ্চয়ই আসবে আচ্ছে দিন!বিরোধীরা সরকারের তেমন সমালোচনা করতে পারছে না৷এমন আবহে কাটল মোটামুটি ২বছর৷ তারপর সেই ভয়ঙ্কর সময়৷
তিনি পরিস্কার বলেছেন এই দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে অর্থব্যবস্থা এর থেকে ভালো অবস্থায় থাকত। রঘুরাম রাজন যে কথাটি বলেছেন সেটি আসলে সরকারকে কটাক্ষ করা, কারুর সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরকার নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। এই সিদ্ধান্তে দেশের এতটুকু কোনও লাভ হয়নি, বরং সাধারণ মানুষের লোকসান হয়েছে বলে তিনি অভিমত পোষন করেছেন৷দু'বারের ইউপিএ সরকার যখন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ,তেমনই জোরালো ঢেউ প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার৷বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন দেখালেন আচ্ছে দিনের৷মানুষও বিকল্পের সন্ধানে৷ভোটের ফলে বিপর্যস্ত ইউপিএ৷ক্ষমতায় আসীন হল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার৷তখন দেশ জুড়ে কেবল মোদি হাওয়া৷মানুষও স্বপ্ন দেখছেন নিশ্চয়ই আসবে আচ্ছে দিন!বিরোধীরা সরকারের তেমন সমালোচনা করতে পারছে না৷এমন আবহে কাটল মোটামুটি ২বছর৷ তারপর সেই ভয়ঙ্কর সময়৷
সেইজন্য অর্থনীতির মন্দা ঢাকতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা মাঝে-মধ্যেই আজব সাফাই দিয়েছেন,যেসব কথা শুনে সাধারন মানুষ একটু মন খুলে হেসেছেন৷ আসলে পরিস্থিতির মোকাবিলায় অবিলম্বে চিরাচরিত প্রথার বাইরে বেরিয়ে যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ না গ্রহন করে তবে ভারতীয় অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহারা আরও বেআব্রু হয়ে পড়বে৷৷উৎপাদন ক্ষেত্রে কার্যত ভাঁটার টান৷ নতুন কোনও শিল্প বা বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না। কিন্তু নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান যে বিপদের কথা বলেছিলেন সেটি গোটা বাংলা করলে বক্তব্যের তাৎপর্য হয় এমন মূলধনের এই রকম সঙ্কটজনক পরিস্থিতি বিগত ৭০বছরে হয়নি৷ আর অর্থনীতির এই সংকটের কারন হিসেবে রাজীব কুমারের বিশ্লেষনের সঙ্গে সারা ভারতবর্ষের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে সামান্য অর্থনীতি পড়া মানুষদের সুর!তাল,ছন্দ সব মিলে যাচ্ছিল৷নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে রঘুরাম রাজন সবাই বলেছেন পরিস্থিতিটা দ্রুত বদলেছে মাত্র কয়েক বছর আগে৷সবার নিশানায় সেই নোটবন্দি, জিএসটি৷একটা সময় ছিল যখন বাজারে নগদ লেনদেন চলত ১০, ২০, ৩০, ৩৫ শতাংশ৷কিন্তু এখন সেই পরিমাণ অনকেটাই কমে নি,কমেছে বাজারে নগদ মূলধনী লেনদেন ও বিনিয়োগ৷ নগদ মূলধন ধীরে ধীরে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। সেটা থামানো দরকার।অর্থাৎ বাজারের জন্য,দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য জরুরী টাকা৷স্বচ্ছতার সঙ্গে নগদ লেনদেন৷মনে রাখতে হবে মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত নগদ টাকা থাকলেই মানুষ জিনিসপত্র কেনেন,বাজার চাঙ্গা হয়,এক্সপ্রেসের গতির পাশাপাশি আড়ে ও বহড়ে বাড়ে দেশের অর্থনীতি৷ডিজিট্যাল ভারতবর্ষ হোক আমরা সবাই চাই৷তবে আরও আগে চাই খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থানের পাশাপাশি হাতে নগদ অর্থ,যে অর্থের সাহায্যে আমি কিনব পছন্দের কোনও জিনিস৷মুশকিল হল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কারও পরামর্শ কানে তোলে না,বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দেয় না৷কখনও স্বীকারও করে না চলার পথে ভুল কখনও হয়,তবে আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নেবো৷বরং বরাবরই ভুলকে সঠিক প্রমানের আপ্রান চেষ্টা৷অর্থনীতি কেন খারাপ সেটা বোঝাতে বিভিন্ন আজব সাফাই ,যা শুনে মানুষ নিজেই ঠিক করতে পারেন না তারা কতটা জোরে হাসবেন৷ বর্তমান সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাটা বদলাচ্ছে, কেউ আশা করছেনও না এই সরকারের আমলে দ্রুত পাল্টাবে ছবি৷দ্রুত কাটবে মন্দা৷কারন দেশের অর্থনীতির ঝিমুনির চক্রব্যুহ থেকে পরিত্রানের রাস্তাটা সরকারের জানা আছে বলে কেউ আর বিশ্বাসই করতে চাইছেন না৷
কোন মন্তব্য নেই