আসুন সন্ময় বাবু বগল কামিয়ে দুহাত তুলে হরি হরি বলি! #Editorial #ArkaSana
অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, খবরের শিরোনামে গত কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু শিরোনাম, সুনাম, বদনাম কোনওটির মুখোমুখি কি তিনি হতে চেয়েছিলেন? এই প্রশ্ন তাঁকে করা হয়নি। তিনি উত্তরও দেননি! কেনই বা দেবেন যেখানে ব্যাক্তি স্বাধীনতা আক্রান্ত হয়। কি কারনে খবরের শিরোনামে তিনি? সব থেকে বড় কথা কে তিনি!
আসুন সংবাদমাধ্যমের নিয়ম মেনে পচে যাওয়া থুড়ি পচিয়ে দেওয়া গল্প নিয়ে একটু গৌরচন্দ্রিকা করি। সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক এবং ঘটনাচক্রে কংগ্রেস নেতা। এই প্রসঙ্গে বলতে ইচ্ছে করে কংগ্রেস নেতা হওয়াতে সাংবাদিকতার বিশেষন কোথাও কোথাও খাটো করা হয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে। য দেশে যদাচার আরকি!
কিন্তু মুশকিল টা হল কে কখন কার নেতা হয়ে যাচ্ছে এবং কে কাকে কখন গালিগালাজ করছে তা আন্দাজ করা মুশকিল। উদাহরন ভুরি ভুরি রয়েছে, আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আগে ছিলেন কংগ্রেসে এখন তৃণমূলে। কংগ্রেস বাংলায় যার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে ব্যাটিং করল সেই সোমেন মিত্র, এ ডাল সে ডালে ঝুলে দুলে তৃণমূলের সাংসদ হয়ে আবার কংগ্রেসে!
আজ যে তৃণমূলের নেতা আগামীকাল হটাৎ বিজেপি।সুতরাং সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক না কেন তিনি প্রথমে স্বাধীন ভারতের একজন পরাধীন নাগরিক এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ নাম দিয়ে যে মাধ্যম কে প্রায় প্রতিদিন রেপ করা হয় সেই সংবাদমাধ্যমের একজন সদস্য।
তা কি অপরাধ করেছিলেন তিনি? তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ! তাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারা আমার লেখা পড়ছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করছি, যদি একটু রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে থাকেন তাহলে ভেবে বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কি আমি আপনি করতে পারি? আমার ব্যাক্তিগত মত, না একদমই পারি না। কারন ওনার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কাণ্ডারী উনি নিজেই। বিভিন্ন মঞ্চে মঞ্চে এত এত অপপ্রচার নিজেই নিজের করেন তাতে অন্য কারও দরকার পড়ার কথা না। অর্থাৎ নিশ্চিত ভাবেই অপরাধ করেছেন সন্ময় বাবু। কি দরকার ছিল? অন্যের ভাগের ভাতে হাত মারার, সন্ময় বাবু নিরপেক্ষ ভাবে বলুন তো আপনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অপপ্রচার করতে পারবেন!
আসলে মুশকিল টা হল আমাদের রাষ্ট্রব্যাবস্থায়। এ দেশে আমরা এত স্বাধীন যে দেশপ্রেমিক দের কল্যাণে আপনি হিন্দু হয়ে মুশলমানের সাথে প্রেম করতে পারবেন না! দেশপ্রেমিক রা জানতে পারলে হাতের সুখ করে নিতে পারে যে কোন মুহুর্তে। আপনি কি খাবেন কচু না কাঁচকলা সেটাও ঠিক করে দেবে দেশপ্রেমিক রা! আপনি কি পরবেন, কত রাতে বাড়ি ফিরবেন বা কোন বিষয় নিয়ে আপনার মতামত কি হবে সেটাও ঠিক করবে এই দেশপ্রেমিকরা। সন্ময় সোশ্যালে কি লিখলেন, বললেন তা নিয়ে এফআইআর হয়ে গেল! সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে নিল পুলিশ। আহা কি দ্রুত অ্যাকশন।
অথচ এই পুলিশের কাছে আপনি মোবাইল চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে যান, পুলিশ ডাইরি তে লিখবে সিমকার্ড হারিয়ে গেছে! আমরা কোন উপায় না পেয়ে এগুলো মেনে নিই। পুলিশ বা রাষ্ট্র ব্যাবস্থার গালে ঠাসিয়ে একটা চড় মেরে বলতে পারিনা, ওরে পাঁঠা সিম থাকে কথায়? তোর মোবাইল নাম্বারের সিমকার্ড কি মোবাইলে থাকে না? কেন বলব! যদি জেলে ভরে দেয়।
রাজা তোর কাপড় কোথায় আগেও ছিল এখনও আছে, থাকবেও। সুতরাং স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক হয়ে থাকা ছাড়া আপনার আমার উপায় নেই। তাই আসুন বগল কামিয়ে দুহাত তুলে 'হরি হরি' বলি।
আসুন সংবাদমাধ্যমের নিয়ম মেনে পচে যাওয়া থুড়ি পচিয়ে দেওয়া গল্প নিয়ে একটু গৌরচন্দ্রিকা করি। সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক এবং ঘটনাচক্রে কংগ্রেস নেতা। এই প্রসঙ্গে বলতে ইচ্ছে করে কংগ্রেস নেতা হওয়াতে সাংবাদিকতার বিশেষন কোথাও কোথাও খাটো করা হয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে। য দেশে যদাচার আরকি!
কিন্তু মুশকিল টা হল কে কখন কার নেতা হয়ে যাচ্ছে এবং কে কাকে কখন গালিগালাজ করছে তা আন্দাজ করা মুশকিল। উদাহরন ভুরি ভুরি রয়েছে, আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আগে ছিলেন কংগ্রেসে এখন তৃণমূলে। কংগ্রেস বাংলায় যার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে ব্যাটিং করল সেই সোমেন মিত্র, এ ডাল সে ডালে ঝুলে দুলে তৃণমূলের সাংসদ হয়ে আবার কংগ্রেসে!
আজ যে তৃণমূলের নেতা আগামীকাল হটাৎ বিজেপি।সুতরাং সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক না কেন তিনি প্রথমে স্বাধীন ভারতের একজন পরাধীন নাগরিক এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ নাম দিয়ে যে মাধ্যম কে প্রায় প্রতিদিন রেপ করা হয় সেই সংবাদমাধ্যমের একজন সদস্য।
তা কি অপরাধ করেছিলেন তিনি? তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ! তাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারা আমার লেখা পড়ছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করছি, যদি একটু রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে থাকেন তাহলে ভেবে বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কি আমি আপনি করতে পারি? আমার ব্যাক্তিগত মত, না একদমই পারি না। কারন ওনার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কাণ্ডারী উনি নিজেই। বিভিন্ন মঞ্চে মঞ্চে এত এত অপপ্রচার নিজেই নিজের করেন তাতে অন্য কারও দরকার পড়ার কথা না। অর্থাৎ নিশ্চিত ভাবেই অপরাধ করেছেন সন্ময় বাবু। কি দরকার ছিল? অন্যের ভাগের ভাতে হাত মারার, সন্ময় বাবু নিরপেক্ষ ভাবে বলুন তো আপনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অপপ্রচার করতে পারবেন!
অথচ এই পুলিশের কাছে আপনি মোবাইল চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে যান, পুলিশ ডাইরি তে লিখবে সিমকার্ড হারিয়ে গেছে! আমরা কোন উপায় না পেয়ে এগুলো মেনে নিই। পুলিশ বা রাষ্ট্র ব্যাবস্থার গালে ঠাসিয়ে একটা চড় মেরে বলতে পারিনা, ওরে পাঁঠা সিম থাকে কথায়? তোর মোবাইল নাম্বারের সিমকার্ড কি মোবাইলে থাকে না? কেন বলব! যদি জেলে ভরে দেয়।
রাজা তোর কাপড় কোথায় আগেও ছিল এখনও আছে, থাকবেও। সুতরাং স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক হয়ে থাকা ছাড়া আপনার আমার উপায় নেই। তাই আসুন বগল কামিয়ে দুহাত তুলে 'হরি হরি' বলি।

খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
ReplyDelete