আলোর উৎসবে অন্ধকার নেমে এল ৪০ জন শিশুর!
নজরবন্দি ব্যুরোঃ কালিপুজতে ছোট বড়ো সবাই বাজি পোরায়, আনন্দ করে। চারিদিক আলোতে ভরা থাকে। আর দিপাবলির এই আলো আলোকিত হয়ে ওঠে আমাদের সবার এই দুটো দিন। আনন্দে আমরা ভুলে যাই নিজেদের সাবধানতার কথা। এর এই অসাবধানতার কারণে এক-ই গ্রামের ছোট থেকে বড় সবার সাথে ঘোটে গেলো এমন একটা দূরভাগ্য জনক ঘটনা। দীপাবলির আলোতেই অন্ধকার নেমে এলো কুমারগ্রাম ব্লকের উত্তর নারারথলির সীসাবাড়ি গ্রামের মানুষদের জিবনে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার রাতে পারিবারিক পুজো মণ্ডপের তীব্র আলোতে ‘রেটিনা বার্নে’ অসুস্থ সীসাবাড়ি গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। তাদের মধ্যে পঞ্চাশের বেশি শিশু রয়েছে। প্রত্যেকের চোখ লাল হয়ে ফুলে গেছে এই তীব্র আলোর প্রাভাবে, তার সঙ্গে মাথা ব্যথা ও জ্বর। প্রত্যেকে কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার কারণ কি?তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সীসাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নন্দলাল দাস, পেশায় কৃষক তার বাড়িতে কালীপুজোর হচ্ছিল। সোমবার সন্ধেয় তার বাড়িতে আরতি প্রতিযোগিতা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। সেখানে গ্রামের মহিলা পুরুষ এবং কচিকাঁচারা প্রত্যেকে উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়। পুজো উপলক্ষে বারবিশা থেকে তীব্র আলোর একটি বাল্ব কিনে আনেন নন্দলালবাবু। আলো ঝলমলে পরিবেশে শুরু হয় আরতি। কিন্তু এই আলোর মাঝেই অন্ধকার নেমে আসে গ্রামবাসির জীবনে, আরতি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রত্যেকের চোখ জ্বালা শুরু হয়। প্রথমে সবাই মনে করেছিলেন ধূপের ধোয়ায় চোখ জ্বালা করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে অনেকের মাথা ব্যথা শুরু হয়। আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা বাড়ছিল। সমস্যা টের পেয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে বালব খুলে ফেলা হয়। এরপর রাতভর চোখের যন্ত্রণায় ছটফট করেন প্রত্যেকে। শিশুদের কষ্ট চরমে ওঠে। তখনও কেউ বুঝতে পারছিলেন না কেমন করে এমনটা হল। কয়েক ঘণ্টা যেতে চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। জল গড়াতে শুরু করে। অনেকের মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। জ্বর আসে। সকাল হতেই রোগীদের নিয়ে বাড়ির লোকজন কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চোখ পরীক্ষা করে দেখেন। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নারারথলি গ্রামের প্রায় চল্লিশজনের চোখের চিকিৎসা হয়। গ্রামবাসী লাইনে দাঁড়িয়ে। সবার চোখ লাল, ফুলে গিয়েছে মুখ। ঘটনার পর থেকে পুজোর আয়োজক নন্দলাল দাস দিশাহারা হয়েছেন।তিনি বলেন, “আমার বাড়ির সাতজন অসুস্থ। প্রত্যেককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।লাইটের আলোতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে সেটা ভাবতে পারিনি।
” রোগীদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে প্রত্যেককে কালো চশমা ব্যবহার করতে বলেছে। আই ড্রপ এবং অন্যান্য ওষুধ দিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর থেকে জানা যায় , “ঘটনাটির তদন্ত চলছে। কী ধরনের লাইট এবং সেটা কোথা থেকে কেনা হয়েছিল খবর নেওয়া হচ্ছে।” আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রসেনজিৎ রায় জানিয়েছেন, বিশেষ ধরণের তীব্র আলো থেকে চোখে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে আলো ছাড়াও বাজির ধোঁয়া ছিল কি না সেটা দেখতে হবে।
ঘটনার কারণ কি?তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সীসাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নন্দলাল দাস, পেশায় কৃষক তার বাড়িতে কালীপুজোর হচ্ছিল। সোমবার সন্ধেয় তার বাড়িতে আরতি প্রতিযোগিতা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। সেখানে গ্রামের মহিলা পুরুষ এবং কচিকাঁচারা প্রত্যেকে উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়। পুজো উপলক্ষে বারবিশা থেকে তীব্র আলোর একটি বাল্ব কিনে আনেন নন্দলালবাবু। আলো ঝলমলে পরিবেশে শুরু হয় আরতি। কিন্তু এই আলোর মাঝেই অন্ধকার নেমে আসে গ্রামবাসির জীবনে, আরতি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রত্যেকের চোখ জ্বালা শুরু হয়। প্রথমে সবাই মনে করেছিলেন ধূপের ধোয়ায় চোখ জ্বালা করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে অনেকের মাথা ব্যথা শুরু হয়। আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা বাড়ছিল। সমস্যা টের পেয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে বালব খুলে ফেলা হয়। এরপর রাতভর চোখের যন্ত্রণায় ছটফট করেন প্রত্যেকে। শিশুদের কষ্ট চরমে ওঠে। তখনও কেউ বুঝতে পারছিলেন না কেমন করে এমনটা হল। কয়েক ঘণ্টা যেতে চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। জল গড়াতে শুরু করে। অনেকের মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। জ্বর আসে। সকাল হতেই রোগীদের নিয়ে বাড়ির লোকজন কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চোখ পরীক্ষা করে দেখেন। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নারারথলি গ্রামের প্রায় চল্লিশজনের চোখের চিকিৎসা হয়। গ্রামবাসী লাইনে দাঁড়িয়ে। সবার চোখ লাল, ফুলে গিয়েছে মুখ। ঘটনার পর থেকে পুজোর আয়োজক নন্দলাল দাস দিশাহারা হয়েছেন।তিনি বলেন, “আমার বাড়ির সাতজন অসুস্থ। প্রত্যেককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।লাইটের আলোতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে সেটা ভাবতে পারিনি।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই