Header Ads

কুয়ো থেকে উদ্ধার ৪৪ টি মৃতদেহ!

নজরবন্দি ব্যুরো: পচা দুর্গন্ধে টেকা দায়। বেশ কিছুদিন ধরেই পচা একটা দুর্গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছিল। কিন্তু দুর্গন্ধের উৎসস্থল নিয়ে সকলের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল বিভ্রান্তি। প্রথম দিকে পশুপাখি মরেছে বলে সন্দেহ জাগে। কিন্তু বিকট দুর্গন্ধে যখন টেকা দায় হয়ে উঠছে স্থানীয়া খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে চলে আসে। তন্নতন্ন করে খোঁজ শুরু হয় দুর্গন্ধের উৎসস্থল। পুলিশকেও বেগ পেতে হয়। খুঁজতে গিয়ে পুলিশের নজরে চলে আসে একটি কুয়ো। আর ওই কুয়ো থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে নিশ্চিত হয়ে ওঠে পুলিশ। কুয়োর ভিতরে খোঁজ চালাতে গিয়ে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। প্লাস্টিকে মোড়া মানুষের শরীরের দেহাংশ। দেহাংশগুলো টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছে।

এরপর বড় বড় প্লাস্টিকে মুড়ে কুয়োর ভিতরে ফেলা হয়েছে। এরকম একটা, দুটো, তিনটে নয় এই রকম প্যাকেটে মোড়া ৪৪ টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে কুয়ো থেকে। তবে দেহগুলোকে এমনভাবে কাটা হয়েছে বোঝা দায় কার কোনটা। মুণ্ডু, ধর, দেহাংশ খন্ড খন্ড করে কাটা হয়েছে। দেখলে যে কেউ আতকে উঠবে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহগুলো সনাক্তকরণের জন্য ফরেন্সিক টিম আনা হয়। তবে এই ভয়ংকর হত্যাকান্ডের পিছনে কার হাত তা স্পষ্ট নয়। ৪৪ জন মানুষকে কেটে টুকরো টুকরো করার ঘটনা বিরল।
 এই গণহত্যা মেক্সিকোর গুয়সদালাজারা শহরের বাইরে একটি গ্রামে হয়েছে। এই এলাকায় ড্রাগ মাফিয়াদের রমরমা। এদের ব্যাপক দাপট এই অঞ্চলে। মেক্সিকান পুলিশ মনে করছে এই ঘটনার পিছনে ড্রাগ মাফিয়াদের হাত থাকতে পারে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে হলেও প্রকাশ্যে এসেছে এখন। পুলিশ মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে পেরেছে। এমন ঘটনা মেক্সিকোতে আগেও ঘটেছে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.