Header Ads

দিতে হবে পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা, হুঙ্কার পার্শ্বশিক্ষকদের এবার কুশমন্ডিতে

নজরবন্দি ব্যুরো: ৬ই আগস্ট, কুশমন্ডিঃ জেলায় জেলায় পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা এবং সমবেতনের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা।এই দাবি নিয়ে পিছিয়ে নেই দঃ দিনাজপুর জেলা। রাজ্য পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ইং ১৬ই আগস্ট কলকাতার বিকাশভবন চত্তরে এক অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশন কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।তাদের দাবি পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদাসহ সমবেতন।রাজ্য সরকার দাবি না মানা পর্যন্ত উক্ত কর্মসূচী অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে বলে জানান দঃ দিনাজপুর জেলা পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক মিনারুল ইসলাম।

 এদিন দঃ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি এস আই অফিসে পার্শ্বশিক্ষকদের ডিএলএড সার্টিফিকেট তোলার দিন ছিল। সার্টিফিকেট হাতে নেওয়ার পর তারা কুশমন্ডি কমিউনিটি হলের মাঠে একটি সভার আয়োজন করেন। সভার মূল উদ্দেশ্যই ছিল পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের ডাকা ১৬ই আগস্টের কর্মসূচী। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন কুশমন্ডি ব্লকের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আসা পার্শ্বশিক্ষকরা ছাড়াও হরিরামপুর ব্লক ও গঙ্গারামপুর ব্লকের কিছু সংখ্যক পার্শ্বশিক্ষক এবং ঐক্যমঞ্চের জেলা আহ্বায়ক মিনারুল ইসলাম, মেহেরাজ আলী। এদিন পার্শ্বশিক্ষক আনারুল ইসলাম পার্শ্বশিক্ষকদের বঞ্চনার প্রতিবাদে একটি স্বরচিত কবিতা আবৃতি করেন এবং দাবি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান করেন। জেলা আহ্বায়ক মিনারুল ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্বশিক্ষকদের বঞ্চনার শেষ নেই। পার্শ্বশিক্ষকরা এখন শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে পেশাগত যোগ্যতাও সম্পূর্ণ। প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার ন্যূনতম যোগ্যতা এখন রাজ্যের সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের হাতে আছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলেই তাদের পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদায় উন্নিত করতে পারেন। ২০০৪ সাল থেকে আজ ২০১৯ এই দীর্ঘ সময়কাল ধরে তারা পূর্ণ শিক্ষকের ন্যায় নিষ্ঠা ও সসতার সাথে কাজ করে আসছেন। তাছাড়া মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যে সমকাজে সমবেতনের রায় দিয়েছেন তাতে সায় দিক রাজ্য সরকার। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকারের একটি কর্মসূচী চলছে "দিদিকে বলো" ।
 এই কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন আমরা দিদিকেই আমাদের বঞ্চনার কথা জানাতে যাচ্ছি কলকাতার রাজপথে ১৬ই আগস্ট। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সেদিন ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রানি রাসমনি রোডে পার্শ্বশিক্ষকদের তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন যে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীর দাবি ন্যায্য। এরপর ৩রা জুন ২০১১ বিধানসভা ভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে আগামী তিন বছরের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী মর্যাদায় উন্নিত করবেন। দিদির সরকারের আট বছর হতে চলেছে কিন্তু দিদির দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি আজও অধরা। তাই পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের আহ্বানে ১৬ই আগস্ট আমরা রাজপথে দিদিকেই বলতে যাচ্ছি যে আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিদি পূরণ করুন। পার্শ্বশিক্ষকদের পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা এবং সমবেতন দিয়ে আমাদের বঞ্চনার অবসান ঘটান।

যতদিন পর্যন্ত দিদি এই দাবি মানবেন না ততদিন অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশন চলবে। এদিন সভায় পার্শ্বশিক্ষিকা মৌসুমী স্বর্ণকার তার বক্তৃতায় মহিলা পার্শ্বশিক্ষিকাদের ওই দিন কলকাতায় সশরীরে অংশগ্রহণ করার জন্য জোরালো আহ্বান জানান। উপস্থিত সকল মহিলারা তাতে সম্মতি দেন এবং দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এদিন সভায় উপস্থিত সকল পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষিকারা ১৬ই আগস্টের কর্মসূচীতে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হোন এবং দাবি নিয়ে হুঙ্কার দেন এবার তারা পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা এবং সমবেতনের সরকারি নির্দেশিকা নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।

Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.