বেতন বঞ্চনা! শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের পাঠালেন তৃণমূল নেতার কাছে! তারপর? #Exclusive
নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত ৩০/৭/১৯ তারিখে বিজিটিএ 'র একটি প্রতিনিধি দল সারাদিন অভুক্ত অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী 'র বাড়ির সামনে সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে ৩-১৫ নাগাদ তার সাথে দেখা করতে সমর্থ হয়। তাঁদের সাথে দেখা করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, গ্রেজুয়েট শিক্ষকরা যা চান তা পে কমিশন কে নোট দিয়ে জানিয়ে দেবেন, এবং তাঁর যা বলার তা পার্টির অর্থাৎ তৃণমূল শিক্ষা সেলের মিটিং এ বলবেন। সেখানেই তিনি বিজিটিএ এর দাবী পুরনের আশ্বাস বানী শোনাবেন বলে কথা দেন বলে। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী বিজিটিএ প্রতিনিধিদের বলেন, তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বাবুকে তার রেফারেন্স দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে মিটিং ডাকতে।
বিজিটিএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ মত ঐ দিনই তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা দিব্যেন্দু বাবুর সাথে আমরা দেখা করি এবং তাঁকে সব বলার ও অনেক বোঝানোর পর তিনি আমরা যা চাই তার একটা সিনোপসিস করে দিতে বলেন।" বিজিটিএ-র অভিযোগ, তাঁদের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী 'র জন্য তৈরী করা সিনোপসিস এর ফরোয়ার্ডিং লেটার টি উঠিয়ে ওনাকে দিতে গেলে উনি ওনার সম্মানহানি হয়েছে বলে সৌরেন ভট্টাচার্য্যর সাথে যারপরনাই দুর্ব্যবহার করেন। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে ওনাকে মিটিং এর জন্য অনুরোধ করা হয়। দুদিন পর রাজ্য সম্পাদক সিনোপসিস তৈরী করে উনার কাছে পাঠান। সেটা হাতে পাওয়ার পর দিব্যেন্দু বাবু কোনপ্রকার মিটিং ডাকতে অস্বীকার করেন। বলেন যে, প্রতিটি জেলার শিক্ষাসেলের সভাপতিরা যদি তাকে মিটিং ডাকতে অনুরোধ করেন তাহলেই একমাত্র তিনি মিটিং ডাকতে পারেন। কিন্তু তিনি বিজিটিএ 'র জন্য কিছু করতে পারবেন না।
পরের দিন ওনাকে ফোন করলে উনি পরিষ্কার বলেন "আমি বিজিটিএ 'র জন্য কেন করব? আমি আমার সংগঠনের মিটিং ডাকব যদি জেলার সভাপতি রা অনুরোধ করেন। তোমরা প্রতি জেলার সভাপতিদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাও আমাকে।"
এই প্রসঙ্গে বিজিটিএ এর রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "আসলে এগুলো এক ধরনের ধৃষ্টতা। মন্ত্রী ওনাকে আমাদের মাধ্যমে যেখানে মিটিং ডাকতে বলছেন সেখানে উনি এমন ব্যবহার করেন কি করে!এটা তো কোন দলীয় রীতিও হতে পারে না! তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ শে অগাস্ট কলকাতায় "মান্যতা সমাবেশ "হচ্ছেই।আর আগামী ৭ ই অগাস্ট হাইকোর্ট এর নির্দেশে, পে কমিশনে আমাদের যে হেয়ারিং আছে, তাতে আমাদের সম্পুর্ন দাবি না মিটলে আমরন অনশন কর্মসূচি হচ্ছেই।"
সংগঠন এর যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ স্বপন মন্ডল বলেন,"বিজিটিএ'র গতি কোন মন্ত্রী বা নেতা এভাবে রোধ করতে পারবে না,সে তার নিজের শক্তি দিয়ে এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলবেই।সংগঠন এর সদস্যরা যেখানে সঙ্গে আছেন, আইন যেখানে সঙ্গে আছে সেখানে উদ্দেশ্য পূরন শুধু সময়ের অপেক্ষা!"সংগঠন এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন," যে শিক্ষক সংগঠন শিক্ষকদের সার্বিক বঞ্চনা নিয়ে রাজনৈতিক বাহানায় তার বিরোধিতা করে সে সংগঠন শিক্ষকদের হয় কি করে?"
বিজিটিএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ মত ঐ দিনই তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা দিব্যেন্দু বাবুর সাথে আমরা দেখা করি এবং তাঁকে সব বলার ও অনেক বোঝানোর পর তিনি আমরা যা চাই তার একটা সিনোপসিস করে দিতে বলেন।" বিজিটিএ-র অভিযোগ, তাঁদের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী 'র জন্য তৈরী করা সিনোপসিস এর ফরোয়ার্ডিং লেটার টি উঠিয়ে ওনাকে দিতে গেলে উনি ওনার সম্মানহানি হয়েছে বলে সৌরেন ভট্টাচার্য্যর সাথে যারপরনাই দুর্ব্যবহার করেন। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে ওনাকে মিটিং এর জন্য অনুরোধ করা হয়। দুদিন পর রাজ্য সম্পাদক সিনোপসিস তৈরী করে উনার কাছে পাঠান। সেটা হাতে পাওয়ার পর দিব্যেন্দু বাবু কোনপ্রকার মিটিং ডাকতে অস্বীকার করেন। বলেন যে, প্রতিটি জেলার শিক্ষাসেলের সভাপতিরা যদি তাকে মিটিং ডাকতে অনুরোধ করেন তাহলেই একমাত্র তিনি মিটিং ডাকতে পারেন। কিন্তু তিনি বিজিটিএ 'র জন্য কিছু করতে পারবেন না।
কোন মন্তব্য নেই