Header Ads

বড় জয়! রাজ্যকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের TGT স্কেলে বেতন দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের! #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ পশ্চিমবঙ্গের সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের মাধ্যমিক স্তরের জন্য নিযুক্ত পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক গন রোপা ২০০৯ এ চূড়ান্ত বেতন বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। সর্ব ভারতীয় স্তরে ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী (যা রোপা ২০০৯ এর সমতুল্য ) যেখানে ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরী শিক্ষক দের পে স্কেল ৯৩০০-৩৪৮০০, গ্রেড পে - ৪৬০০টাকা দেওয়া হয় সেখানে পশ্চিমবঙ্গের এই ক্যাটেগরী শিক্ষক দের(পশ্চিমবঙ্গে এদের পাস গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরী শিক্ষক বলা হয়) পে স্কেল ৭১০০-৩৭৬০০, গ্রেড পে ৪১০০টাকা দেওয়া হয়।
অথচ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক দের ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সাযুজ্য যুক্ত পে স্কেল ও গ্রেড পে দেওয়া হয়েছিল। আরো অভিযোগ যে সর্বভারতীয় স্তরে একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক ও ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকের বেসিক পে তে পার্থক্য ছিল ১০১০টাকা সেই পার্থক্য পশ্চিমবঙ্গে ৩২১০টাকা রাখা হয়। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরী শিক্ষক দের সংগঠন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এসোসিয়েশনের করা মামলা মাননীয়া বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য্য এর এজলাসে চারদিন শুনানি হয়। মাননীয়া বিচারপতি  ২২ শে জুলাই রায় প্রদান করতে গিয়ে জানান যে এটা প্রমাণিত যে রাজ‍্যের পাস গ্র‍্যাজুয়েট শিক্ষক গন সর্ব ভারতীয় স্তরের ট্রেন্ড গ্র‍্যাজুয়েট ক‍্যাটেগরী শিক্ষক দের সঙ্গে সাযুজ্য যুক্ত পে স্কেল ও গ্রেড পে দেওয়া হয় নি।
তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে রাজ্যের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য যে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই রাজ‍্যের পাস গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক দের মধ্যে যে বেতন বৈষম্য আছে তা দূর করতেই হবে এবং সরকার কি ব্যাবস্থা নিলো তা ১৬ ই আগস্ট এর মধ্যেই জানাতে হবে। এ বিষয়ে রাজ‍্যের আর্থিক পরিস্থিতির কথা সরকার পক্ষের আইনজীবী তুলে ধরার চেষ্টা করলে বিচারপতি তা খারিজ করে বলেন রাজ‍্যের পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট শিক্ষক গন যদি সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সাযুজ্য যুক্ত পে স্কেল পান তাহলে পাস গ্র‍্যাজুয়েট ক‍্যাটেগরী শিক্ষক গন কেন পাবেন না ? মাননীয়া বিচারপতি আরও জানিয়েছেন ষষ্ঠ রাজ্য বেতন কমিশন কে এই বৈষম্য দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এবিষয়ে ১৬ই অগাস্টের মধ্যে পে কমিশন কে সংগঠনের হিয়ারিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে রাজ্য বেতন কমিশন কে অর্থ দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরের বা অন‍্যান‍্য দপ্তরের প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য্য আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে রাজ‍্যের পাস গ্র‍্যাজুয়েট ক‍্যাটেগরী শিক্ষক দের সর্বভারতীয় স্তরের ট্রেন্ড গ্র‍্যাজুয়েট ক‍্যাটেগরী শিক্ষক দের সমান পে স্কেল দিতেই হবে এবং আশাবাদী যে মহামান্য হাইকোর্টের রায়কে ষষ্ঠ রাজ্য বেতন কমিশন যথাযথ মান্যতা দেবে।" রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পুলক সরকার কুচবিহার থেকে ফোনে জানান,"আমরা আগামী ১৬ তারিখ অব্দি অপেক্ষা করবো।সরকার যথাযথ ব্যাবস্থা না নিলে, উচ্চতর আদালতের পথ তো খোলাই আছে।ওখানেই দেখা হবে।" দীপান্বিতা সামন্ত,রাজ্য কমিটির সদস্যা জোর গলায় বলেন,"যদি ১৬ আগস্ট এর মধ্যে আমাদের ন্যায্য দাবী যা হাইকোর্ট মান্যতা দিয়েছে,তা না মানা হয়,তাহলে ১৯ তারিখ থেকে কলকাতার রাজপথ স্তব্ধ করে দেবো আমরা। "

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.