Header Ads

বিজেপিকে আটকাতে সিপিআই(এম) ও তৃণমূলের জোট জল্পনা, বাম সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ার আশঙ্কা।

নজরবন্দি ব্যুরো: এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ১৮ টি আসন জিতে বঙ্গ রাজনীতিতে নিজেদের একটা জায়গা করে নিয়েছে তারা। আর বিজেপির এই জয়ের ফলে আতঙ্কিত তৃণমূল কংগ্রেস। সামনের বিধানসভা নির্বাচন খুব একটা সহজ হবে না বুঝে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী।
আর এবার বাংলায় বিজেপিকে পরাজিত করতে তৃণমূলের হাত ধরাই যেতে পারে বলে মন্তব্য করলেন সিপিআই(এম) নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। যদিও এর আগে গৌতম দেব একই বার্তা দিয়ে তৃণমূল ও সিপিআই(এম) এর জোট জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন। গৌতম দেব বলেছিলেন, ইস্যু ভিত্তিক লড়াইয়ে তৃণমূলের পাশে থাকতে তাদের আপত্তি নেই।
রাজনীতি এবং অস্পৃশ্যতা পাশাপাশি বসতে পারে না বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এবার আর একটু এগিয়ে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, মধ্যমগ্রামে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে যদি গণপিটুনি হয়, আর ঘটনাস্থলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থাকেন, তিনিও তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। তন্ময়-বাবু বলেন, বিজেপিকে রুখতে ইস্যু ভিত্তিক লড়াইয়ে তৃণমূল-সিপিআই(এম) পাশে দাঁড়াতেই পারে। কোনও অস্পৃশ্যতার জায়গা নেই রাজনীতিতে। সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও তৃণমূলের পাশে থেকে লড়ার বার্তা দিয়েছেন। তবে কিছু শর্তে থাকবে। তাঁর অভিযোগ, অনেক সিপিআই(এম) কর্মীকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সেই সব মামলা প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা  চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।

সিপিআই(এম) নেতাদের এমন মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক মহলে মহলে উঠছে বেশকিছু প্রশ্ন। অনেকের মতে ২০১১ সালের পর থেকে জেলায় জেলায় তৃণমূলের হাতে যেভাবে এই রাজ্যের সিপিআই(এম) নেতা থেকে সাধারণ সমর্থক অত্যাচারিত হয়েছেন তার পরেও সেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে সেই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। জঙ্গলমহলে তৃণমূলের অত্যাচারে এখনও ঘর ছাড়া বহু বাম সমর্থক। এর পরেও কি তৃণমূলের হাতে অত্যাচারিত বাম সমর্থকরা ভোট দেবেন তৃণমূলে? আর এই রাজ্যে তৃণমূল ও সিপিআই(এম) এর জোট হলে সেই জোটের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তা প্রায় স্পষ্ট। এমনটাই মনে-করছে সিপিআই(এম)-এর একটা বড় অংশ। 
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.