পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ, আগামীকাল প্রাথমিক শিক্ষকদের ধিক্কার দিবস পালন রাজ্য জুড়ে। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবীতে পথে নেমেছিলেন রাজ্যের 'বঞ্চিত' প্রাথমিক শিক্ষকরা। মিছিলের শেষে প্রাপ্তি গ্রেফতারি ও জলকামানের আঘাত! উল্লেখ্য, দুদিন আগে পিআরটি স্কেলের দাবীতে মহানগরের রাজপথের কার্যত দখল নিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হওয়া প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষকের মিছিল স্রোত হয়ে আছড়ে পড়ে রানী রাসমনি এভিনিউ-তে।
কিন্রু রাজনৈতিক কায়দায় প্রাথমিক শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিল রুখতে শিক্ষকদের ওপর জল কামান নিক্ষেপ করে পুলিশ, গার্ড ওয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় পথ। জলকামানের আঘাতে আহত হন বহু শিক্ষক, অনেককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে। প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী-র সাথে সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয় এবং শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পর ধর্না উঠে যায়।
কিন্তু ঘোষিত শান্তিপূর্ন মিছিলের ওপর জলকামান কেন? সদুত্তর মেলেনি। তাই উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স অ্যাসোসিয়েশান এই ঘটনায় শান্তি পূর্ন প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে যে আগামীকাল প্রত্যেক শিক্ষক যেন কালো ব্যাচ পরে বিদ্যলয়ে শিক্ষকতা করেন পাশাপাশি বলা হয়েছে বিকেল ৩ টের পর প্রত্যেক জেলায় কমপক্ষে একটি ক'রে ধিক্কার মিছিল যেন সংগঠিত করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।

উস্থির সেই জরুরি বার্তায় কি বলা হয়েছে দেখুন
"জরুরী বার্তাঃ আগামী ২৭/০৬/২০১৯ পশ্চিমবাংলায় সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ আপনারা প্রত্যেকে কালো ব্যাচ পরে বিদ্যলয় করবেন এবং বিকেল ৩ টের পর প্রত্যেক জেলায় কমপক্ষে একটি ক'রে ধিক্কার মিছিল করবেন গত ২৪/০৬/১৯ শে শিক্ষকদের উপর পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে। এবং যারা ধিক্কার মিছিল করে ফেলেছেন তাদের আর করার দরকার নেই। সারা বাংলায় ২৭/০৬ দিন টি ধিক্কার দিন হিসাবে পালিত হোক।"