Header Ads

পুজোর আগেই বেতন কমিশনের ঘোষণা, কার্যকর জানুয়ারিতে? রিপোর্ট তৈরি জানালেন অভিরূপ।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ডিএ, পে কমিশন, প্রাথমিক শিক্ষক দের পিআরটি স্কেল সব কিছু আটকে হাজার হাজার ক্লাব কে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছে মমতা সরকার। ফল মিলছিল ভালই, কিন্তু পাশা উলটে গেছে সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে। রাজ্যের ৪২ টি আসনের ৪১টিতে সরকারি কর্মী শিক্ষকদের ভোটে হেরে গেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয় ৪০% ভোট পেয়ে ১৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি, তাই সামাজিক কল্যান সাধনে সাহায্য প্রাপ্ত ক্লাবের ভূমিকা যে কি তা বুঝতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশি সময় লাগেনি। টাকা নিয়ে ক্লাব গুলো কি করেছে এতদিন পর তাঁর হিসেব চেয়েছেন তিনি।
২ দিন আগে নবান্নে বিভিন্ন দফতরের ৫২ জন আধিকারিক কে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ছিলেন শিক্ষামন্ত্রীও। আলোচনা হয় শিক্ষকদের দাবিদাওয়া, কর্মচারীদের বেতন, ডিএ এবং পে কমিশন নিয়েও। রিভিউ কমিটির বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক, কর্মচারীদের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন৷তিনি জানান‘ "চলতি বছরে ৫৬ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হবে তাঁর সরকার কে, তাও গত আট বছরে প্রচুর উন্নতি হয়েছে৷ কিন্তু, সবসময় এটা দাও, ওটা দাও করলে কী করে হবে? টাকা আসবে কোথা থেকে৷ বাম আমলের ডিএ আমাদের দিতে হচ্ছে৷"
ষষ্ঠ পে কমিশন ইস্যুতে তিনি বলেন, "আগে পে কমিশন রিপোর্ট দিক৷ ওই রিপোর্ট দেখে সাধ্যমত চেষ্টা করব৷" এই ইস্যু তে পে কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সম্পুর্ণ উলটো সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন "প্রথম তিন বার সরকারের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল কমিশন।তারপর থেকে সরকারই কমিশনের সময় বাড়িয়ে চলেছে! " সহজ কথায় রিপোর্ট পেশ করতে দিচ্ছেনা খোদ রাজ্য সরকার, অভিরূপ বাবু একথা মুখে না বললেও ইঙ্গিত ছিল সেদিকেই। এই অবস্থায় নবান্নে অভিরূপ সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ষষ্ঠ পে কমিশন নিয়ে বৈঠক হয় নবান্নে। বৈঠক শেষে জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত রিপোর্ট তলব করেছেন। এবং চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার জানিয়েছেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রীর নিকট। বলা যেতে পারে কথা রাখতে চলেছেন অভিরূপ সরকার। তিনি মুখ্যমন্ত্রী কে জানিয়ে দিয়েছেন বেতন কমিশনের রিপোর্ট তৈরি। সূত্রের খবর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট আগষ্ট মাসের শুরুতেই জমা করে দেবেন তিনি। অভিরূপ সরকার জানান, “আমার রিপোর্ট তৈরি। দ্রুত তা জমা পড়বে। তবে ঠিক কবে, তা বলছি না”। বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার পরে অর্থ দফতর “ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি” তৈরি করবে। সেই কমিটি মাসখানেকের মধ্যে রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্স (রোপা), ২০১৯ প্রকাশ করে দিলে পুজোর মধ্যেই নতুন বেতন কমিশন চালু করে দেওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের একাংশ।
সূত্র আরও জানাচ্ছে লোকসভার ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্যে কিছুটা নরম মনোভাব নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। সম্ভবত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ঘোষণা মিলতে চলেছে চলতি বছরে পুজোর আগেই কার্যকর হবে জানুয়ারী ২০২০তে! আশায় বুক বাঁধছেন সরকারি কর্মীরা।
উল্লেখ্য, সরকারি একাধিক দফতর এমনকি নিচুতলার পুলিশও কথা শুনছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।তার ওপর শিক্ষকদের একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে মাঝে মধ্যেই আন্দোলন দিন দিন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে। পে কমিশন চালু হলে সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে শাসক দলের একটি সূত্র।  

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.