Header Ads

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে রাখতে মরিয়া নেত্রী, বাড়িতে বিশেষ দূত পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী।

নজরবন্দি ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাবার পরে বেশ চাপে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বেশি বিপদে পড়েছেন প্রাক্তন মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। কারণ এই শোভন বাবুকে দলে টানতে মরিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব।
সামনে কলকাতা পুরসভার ভোট। ওই নির্বাচনে প্রাক্তন মেয়রের ভূমিকা যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তা জানেন তৃণমূল ও বিজেপি উভয় পক্ষ।
লোকসভা ভোটের ফল বলছে, আসন্ন কলকাতা পুরসভার ভোটে তৃণমূলের পক্ষে সফল হওয়া বেশ কঠিন। কিছুদিন পরই পুরভোট। অথচ দলের ওপরের দিকের কিছু লোকজন, যারা একসময় মুকুল রায়কে দল ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন, তাঁরাই শোভনকেও কার্যত দল ছাড়া করেছেন। তারা তৃণমূল নেত্রীকে হাবেভাবে বুঝিয়ে ছিলেন, "কোনও সমস্যা হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে।" কিন্তু কিছুই ঠিক থাকছে না। একের পর এক ভরাডুবি। তৃণমূল নেত্রী নিজে ময়দানে নেমেও দলের ভাঙন রুখতে ব্যর্থ। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী। তাই নেত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন,  স্নেহের কানন যাতে পূর্ণ উদ্যমে ফের দলে ফেরেন।
সেই লক্ষ্যেই দলের শোভন-বিরোধী অংশকে সরাসরি উপেক্ষা করে তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই রবিবার সকালে শোভনের বাড়ি পাঠালেন তাঁর বিশেষ দূত রতন মুখোপাধ্যায়কে।
মমতার বিশেষ কিছু বার্তা এবং প্রস্তাব নিয়ে এদিন দুপুরে রতন-বাবু পৌঁছে যান দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কের ফ্ল্যাটে।
দু'জনের মধ্যে প্রায় ঘন্টাখানেক কথা হয়।
দলের জন্য ফের সক্রিয় হতে এবং আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য রতন-বাবু শোভনকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন বলে খবর। এই প্রস্তাবগুলি যে খোদ নেত্রীর, সে কথাও রতন-বাবু শোভনকে বলেছেন। এদিন রতন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাগ,ক্ষোভ, অভিমান কিছুটা কমেছে বলে তৃণমূলের তরফে মনে করা হচ্ছে।

অপরদিকে, শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব যোগাযোগ রেখে চলেছে। রবিবার দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির সঙ্গে বৈঠক। সেখানে শোভন প্রসঙ্গে কিছু ইতিবাচক নির্দেশ দেওয়ার কথা আছে অমিত শাহের। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দিল্লি যাওয়ার অনুরোধ আসতে পারে এক সূত্রের দাবি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত শোভনের বাড়িতে পৌঁছনোয় পরিস্থিতি অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে বলেও অনুমান বিশেষজ্ঞদের। 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.