Header Ads

বিজেপির চাপে সন্দেশখালি-কাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ!

নজরবন্দি ব্যুরো: অবশেষে পুলিশের জালে সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জন। শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত সদস্য। অন্যান্যদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

সন্দেশখালি-কাণ্ডের ঠিক ৮ দিন পর চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সন্দেশখালি-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন চার তৃণমূল নেতা। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আখের আলি-সহ ধৃত ৪ তৃণমূল নেতাকে আজ আদালতে তোলা হবে। বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন আখের আলি।এই ঘটনায় এটাই প্রথম গ্রেফতারি।
সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাটের ন্যাজাট থানায় আগেই দু'টি এফআইআর ও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তৃণমূল কর্মী কায়ুম আলির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়। দ্বিতীয় অভিযোগ দায়ের হয় বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে।

প্রসঙ্গত, ৮ জুন সন্দেশখালিতে দুজন বিজেপি কর্মী ও একজন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি।
৯জুন রবিবার দুপুরে বসিরহাট হাসপাতালে পৌঁছায় বিজেপি প্রতিনিধিদল। ওই দলে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সায়ন্তন বসু, মুকুল রায়-সহ বিজেপির একাধিক নেতা। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর কর্মীদের দেহ নিয়ে কলকাতায় আসার চেষ্টা করেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির একাধিক নেতা। অবশেষে পুলিশের চাপে পিছু হটতে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। গ্রামেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের দেহ। ঘটনায় রণক্ষেত্র চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা।  

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.