Header Ads

শিক্ষকদের লক্ষভ্রষ্ট করার ব্যার্থ চেষ্টা পার্থ বাবুর! আগামীকাল শিক্ষক বিদ্রোহ রাজপথে। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতপরশু প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেল সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের সম্পূর্ণ দাবি পূরন না হলেও একটা স্কেল গ্রেড পে বাড়বে তাঁদের। এই একটা স্কেল বাড়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে। কত বেতন বাড়বে সেটা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। আগামী কাল অর্থাৎ ২৪শে জুন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে অরাজনৈতিক প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ইউইউপিটিডাব্লুএ-র মহা মিছিল রয়েছে তিলোত্তমার বুকে, শিক্ষকদের একাংশের ধারনা এই মহা মিছিল কে রুখতেই "ভিক্ষার পাত্র সাজিয়ে" চাল চেলেছে সরকার!
শুক্রবার শিক্ষকদের যৎসামান্য বেতন বৃদ্ধির খবর শোনার পর UUPTWA তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল মিছিল হচ্ছেই। এরপর গতকাল শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী ফোন করেন সংগঠনের সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস কে! সংগঠনের সম্পাদিকা পৃথা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, শিক্ষা ন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী তাকে ফোন করেন এবং আগামী ২৪ তারিখের মহা মিছিল বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। তিনি পৃথা বিশ্বাস কে জানান, প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে তাহলে আবার আন্দোলন কেন? জবাবে UUPTWA-র পক্ষ থেকে পৃথা শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়ে দেন এক স্কেল বেতন বৃদ্ধি বিষয়টা পরিষ্কার নয় তাঁদের কাছে। কাজেই কেন্দ্রীয় হারে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন না পেলে তাঁরা অনড় থাকবেন দাবীতে। শিক্ষামন্ত্রী তখন বলেন তিনি বসতে চান সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে, সেখানে আলোচনা করবেন আর কি করলে তাঁদের দাবী পূরন হবে। কিন্তু শর্ত ২৪শে জুনের মহামিছিল বন্ধ করতে হবে!
এরপর UUPTWA-র পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী-র প্রস্তাবের প্রতি সম্মান রেখে তাঁরা বসতে রাজি কিন্তু আলোচনা করতে হবে আজ অর্থাৎ রবিবার দুপুর ২টোর মধ্যে। যদি আলোচনার টেবিলে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী পূরণ হয় তাহলে মিছিল হবে না। কিন্তু যদি শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসার প্রস্তাব ফোনে দেওয়ার পর যখন শিক্ষকরা পাল্টা পিআরটি স্কেলের দাবী জানান তখন থেকেই ব্যাকফুটে হাঁটতে শুরু করেছেন শিক্ষামন্ত্রী বলে অভিযোগ ইউইউপিটিডাব্লুএ-র।
আজ সংগঠনের সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস জানান "আলোচনায় বসতে চাওয়া আসলে আইওয়াস, শিক্ষামন্ত্রীর মূল ইচ্ছা ছিল প্রাথমিক শিক্ষকদের মহামিছিল বন্ধ করা। কারন শিক্ষামন্ত্রী মিছিল বন্ধ করার আবেদন করায় আমরা তাঁর সম্মান রক্ষার্থে মিছিলের আগেরদিন অর্থাৎ আজ দুপুর ২টোর মধ্যে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু পার্থবাবুর দিক থেকে আর কোন রেসপন্স আসেনি। আর মিছিল বন্ধ করে শিক্ষামন্ত্রীর সময়ের জন্যে অপেক্ষা করা আর সম্ভব নয়। এ আমাদের ভাত কাপড়ের লড়াই। আমাদের হক আমরা ছিনিয়ে আনবই, আজ নয় কাল। দরকার হয় কর্মবিরতিতে যাব। কিন্তু দিনের পর দিন এই অন্যায় মানা সম্ভব নয়।"

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.