রায়গঞ্জে আবার মহম্মদ সেলিম? দেখুন সাংসদ হিসেবে তাঁর কাজের খতিয়ান।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দীপা দাসমুন্সি কে পরাজিত করে রায়গঞ্জের সাংসদ হন মহম্মদ সেলিম। ২০১৯ সালেও বামফ্রন্টের সিপিআইএম প্রার্থী তিনিই। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সেলিম কি করেছেন রায়গঞ্জের মানুষের জন্যে?
এলাকা উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে রায়গঞ্জে সেলিমের কাজের খতিয়ান।
সাম্য রক্ষা করতে প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় ৩-৪ কোটি টাকা করে প্রকল্পে ব্যয় করবার চেষ্টা হয়েছে। তবে সিপিআইএমের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও পঞ্চায়েত-জেলা পরিষদ স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের হস্তক্ষেপে সব জায়গায়ে সমানভাবে কাজ হওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ২০১৮ পর্যন্ত খতিয়ান।
এলাকা উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে রায়গঞ্জে সেলিমের কাজের খতিয়ান।
- জেলাজুড়ে ৩৭৮টি উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ২৩ কোটি ১২.৪৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন, যা পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড। উত্তর দিনাজপুরে ২০১টি রাস্তা নির্মাণ করতে ১২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।
- ৩৯টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল উন্নতি সম্ভব হয়েছে, ২ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। \
- জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতির জন্য ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ২২টি প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের মানোন্নয়ন করা হয়েছে, ও ৮৮ লক্ষ টাকা খরচ করে হাই ড্রেন নির্মাণ ও জনবহুল এলাকায় সুলভ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- নিত্যযাত্রী ও অন্যান্য নাগরিকদের সুবিধার্থে ১০টি প্যাসেঞ্জার শেড, ৫টি কমিউনিটি হল নির্মাণ সমেত মোট ২৪টি প্রকল্পে ১কোটি ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে উন্নতি সাধিত হয়েছে।
- জেলার ১৬টি জায়গায় হাই-মাস্ট ও এলইডি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে মোট ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে।
- প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে জেলাজুড়ে ৭টি শ্মশানে ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হয়েছে।
- সমাজের অনগ্রসর শ্রেণী ও আদিবাসী মানুষদের সুযোগ-সুবিধার উন্নতির জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আইসিডিএস কেন্দ্রগুলির উন্নতিসাধন ও কালিয়াগঞ্জের বাজিতপুরে অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
সাম্য রক্ষা করতে প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় ৩-৪ কোটি টাকা করে প্রকল্পে ব্যয় করবার চেষ্টা হয়েছে। তবে সিপিআইএমের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও পঞ্চায়েত-জেলা পরিষদ স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের হস্তক্ষেপে সব জায়গায়ে সমানভাবে কাজ হওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ২০১৮ পর্যন্ত খতিয়ান।
কোন মন্তব্য নেই