Header Ads

দার্জিলিং জমজমাট! এক ঝলকে পাহাড়ের ভোট চিত্র, এগিয়ে কারা।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দার্জিলিং কেন্দ্র ছিল সিপিআইএমের দখলে। ২০০৪ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় কংগ্রেস। ২০০৬-৭ সাল থেকে দার্জিলিং এর ওপর প্রভাব বিস্তার করে বিলল গুরুং এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম দাবি পৃথক রাজ্য, গোর্খাল্যান্ড।
মূলত এই দাবীর ওপর ভিত্তি করেই পাহাড়ের কোনায় কোনায় নিজেদের জনসমর্থন বাড়ায় মোর্চা। ২০০৯ সালে রাজ্য জুড়ে বাম বিরোধী পরিবর্তনের প্রবল হাওয়া ওঠে, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয় জয়কার শুরু হয়। কিন্তু পাহাড়ে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে বিজেপি প্রার্থী যসবন্ত সিনহা জয়ী হন। মোর্চার পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরন না হলেও ২০১৪ সালে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া তাঁদের সমর্থনেই জিতে লোকসভায় যান।
২০১৪ নির্বাচনে মোর্চা সমর্থিত বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুয়ালিয়া ভোট পান ৪৮৮২৫৭ টি। তৃণমূলের হয়ে পাহাড়ি বিছে ভাইচুং লড়লেও তাঁকে থেমে যেতে হয় ২৯১০১৮ টি ভোট পেয়ে। সিপিআইএমের সমন পাঠক পান ১৬৭১৮৬টি ভোট। এবারেও পাহাড় ঘিরে উৎসাহী দৃষ্টি রয়েছে রাজ্যবাসীর। তৃণমূল প্রার্থী করেছে অমর সিং রাই কে, বিনয় তামাং এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেসিনারি সম্পূর্ণ ভাবে কাজে লাগাবে তৃণমূল এবং জিতবে দার্জিলিং এমনটা যখন ভাবা হচ্ছিল ঠিক তখনই পাহাড়ে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। দুই চির প্রতিদ্বন্দী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং জিএনএলএফ এক হয়ে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি প্রার্থী দিল্লীর বাসিন্দা শিলিগুড়ির জামাই রাজু বিস্তা কে। ফল্ তৃণমূলের সহজ জয় পরিবর্তিত হয়েছে আশঙ্কায়। যদিও রাজু বিস্তার চেয়ে কোন দার্জিলিংবাসীকে প্রার্থী করলে ভাল হত মানছেন বিজেপি কর্মীরাও।
অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে স্বপন মালাকার কে। সিপিআইএমের হয়ে লড়বেন সমন পাঠক। শঙ্কর মালাকার জেতার দাবিদার না হলেও বেগ দিতে পারেন ব্যাক্তি সমন পাঠক। কারন সমাজসেবী হিসেবে তার যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। গত লোকসভার প্রবল মোদী হাওয়া উপেক্ষা করে তিনি ভোট পেয়েছিলেন প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার। সমনের প্লাস পয়েন্ট অশোক ভট্টাচার্জের উপস্থিতি। কাজেই বলা চলে দার্জিলিং জমজমাট।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.