'প্রতারণার শেষ দেখে ছাড়বেন'; কাল সম্মুখ সমরে নামছে এসএসসি ছাত্র যুব অধিকার মঞ্চ।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা তাদের দাবী আদায়ের জন্য আগামীকাল অর্থাৎ ২৭ শে ফেব্রুয়ারি ফের ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের নানান ত্রুটি ও উদাসীনতা আগেও বারবার লক্ষ করা গেছে, এবার সংযোজন স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ওয়েটিং পার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে। এসএসসি এর মাধ্যমে একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৬ সালের ৪ ই ডিসেম্বরে এবং প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় একবছর পর ২০১৭ সালের ২৭ শে নভেম্বর তারিখে মোট ৫৭১১ শূন্যপদে।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং প্রায় ছয় মাস আগে শেষ হলেও অবশিষ্ট শূন্যপদে তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং কমিশন এখনও শুরু করেনি। প্রথম দফার কাউন্সেলিং হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৭ শে জুলাই থেকে ৪ ই আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে এবং এই দফায় মোট ৩৭৭০ জন জন পার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। অবশিষ্ট শূন্যপদে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৯ থেকে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত এবং এই দফায় মোট ১১০৮ জন পার্থীকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। দুই দফা মিলিয়ে মোট ৪৮৭৮ জনকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হলেও এখনো ৮৩৩ জনের নিয়োগপত্র তো দূরের কথা কাউন্সেলিং পর্যন্ত করায়নি কমিশন, এছাড়াও কিছু নন জয়নিং সিট রয়েছে সব মিলিয়ে হাজারেরও বেশী সংখ্যক পর্থির নিয়োগ এখনো বাকি রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এসএসসি ছাত্র যুব অধিকার মঞ্চের এক সদস্য শিবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বারবার কমিশনে গেলেও কমিশনের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি ও অজুহাত ছাড়া কিছুই মেলেনি। এমত অবস্থায় আমরা আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারিতে ফের কমিশনে যাচ্ছি একাদশ দ্বাদশ-শ্রেণীর ওয়েটিংদের নন- জয়নিং সিট নিয়ে তৃতীয় কাউন্সেলিং এর অন স্পট নোটিশ ও আপ-টু-ডেট ভ্যাকেন্সিতে পরবর্তী কাউন্সেলিং এ নিয়োগের দাবিতে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিশন যতক্ষণ না তৃতীয় কাউন্সেলিং এর নোটিশ দিচ্ছে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কমিশন এর অফিসের সামনে থেকে সরে আসব না। কেননা এই কমিশন মিথ্যার উপর ভর করেই চলছে, এদের প্রতি আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই গত ছয় মাস ধরে আমাদের নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার ঠকিয়েছে।"
উল্লেখ্য গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি চাকরিপ্রার্থীরা কমিশনে এলে তাদের বলা হয় ভ্যাকেন্সি সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের তৃতীয় কাউন্সেলিং করা যাবে না, যদিও ভ্যাকেন্সি সমস্যার সাথে তৃতীয় কাউন্সেলিং এর কোন সম্পর্ক নেই, কেননা নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভ্যাকেন্সি সমস্যা থাকলেও তাদের পরবর্তী কাউন্সেলিং হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ কমিশন ইচ্ছে করেই তাদের কাউন্সেলিং করছে না, তারা এবারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রতারণার শেষ দেখে ছাড়বেই। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)'র দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক ও তরুণ শিক্ষক নেতা অনিমেষ হালদার জানালেন, "লক্ষ-লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বিদ্যালয় গুলিতে প্রচুর শূন্য পদ থাকলেও বহুদিন ধরে এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। এত দিন পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রতিটি স্তরে নানা অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এস এস সি পাশ করার পরও দীর্ঘদিন শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলিং এর জন্য, - এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না। তাই এই ভাই-বোনদের আন্দোলনকে আমরা পূর্ণভাবে সমর্থন করি। অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি।"
উল্লেখ্য গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি চাকরিপ্রার্থীরা কমিশনে এলে তাদের বলা হয় ভ্যাকেন্সি সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের তৃতীয় কাউন্সেলিং করা যাবে না, যদিও ভ্যাকেন্সি সমস্যার সাথে তৃতীয় কাউন্সেলিং এর কোন সম্পর্ক নেই, কেননা নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভ্যাকেন্সি সমস্যা থাকলেও তাদের পরবর্তী কাউন্সেলিং হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ কমিশন ইচ্ছে করেই তাদের কাউন্সেলিং করছে না, তারা এবারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রতারণার শেষ দেখে ছাড়বেই। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)'র দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক ও তরুণ শিক্ষক নেতা অনিমেষ হালদার জানালেন, "লক্ষ-লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে রাজ্য সরকার।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই