ফের উজ্জ্বল জোটের স্বপ্ন,বাংলায় অধরা থাকবে বিজেপির সেকেন্ড হওয়ার আশা?
অরুনাভ সেনঃ তৃণমূল-বিজেপি বিরোধীতা কে সামনে রেখে ফের কি আবার রাজ্যে হাতুড়ি -হাত জোট বেঁধে লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছে?
প্রশ্নটা বেশ কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে ঘুরে বেড়ালেও বাম কর্মী সমর্থকরা যেমন বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কি হবে,তেমনই আপাদমস্তক তৃণমূল বিরোধী গ্রাম বাংলার কংগ্রেস সমর্থকও অনুধাবন করতে পারছিলেন না তাদের দল বাংলার রাজনীতিতে ঠিক কোন অবস্থান নিচ্ছে!কোনও সন্দেহ নেই বাম বা কংগ্রেসের অসংখ্য সমর্থক আছেন যারা সুবিধাবাদী হতে পারেন নি,দলের বিপদে দল ছেড়ে যাননি,কোনও কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে বা ক্ষমতার লোভ দেখিয়েও তাদের কে যেমন দলে টানতে পারেনি তৃণমূল,ঠিক তেমনই তারা তৃণমূলের বিকল্প হতে পারে বিজেপি, এই বিশ্বাসে দল পরিবর্তন করেন নি৷তবে তারা সংখ্যায় কম নন৷
যদিও রাজ্যের মেনস্ট্রীম মিডিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারের বিষয় তৃণমূলের ৪২এ ৪২সিট জয়ের সম্ভাবনা কতটা বা বিজেপির এই রাজ্যে ২২টি আসন জয়ের টার্গেট! অথচ ১৬-এর বিধানসভা নির্বাচন প্রমান করেছে এই রাজ্যে বাম-কংগ্রেস এক হলে তৃণমূলকে শক্ত প্রতিদ্বন্ধীতার মুখে ফেলা যায়,বিজেপিকে প্রায় উড়িয়েই দেওয়া যায়! আপাদমস্তক তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী মানুষেরা কিন্তু আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন,লোকসভায় বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছেই৷এবার কিন্তু বিধানসভার মত ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ বাম নেতৃত্ব৷ বেশ কিছুদিন আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন বামেরা যেখানে দূর্বল সেখানে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে হবে৷একই কথার পুনরাবৃত্তি তিনি করেছিলেন গোলপার্কের সভায়৷ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন সিপিএম এমন আসনে প্রার্থী দেবে যেখানে ৩কিংবা৪নম্বরে থাকতে হবে না৷সবমিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে বাম-কংগ্রেসের জোটের রাস্তা বোধহয় পরিস্কার হচ্ছে৷যদিও তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে মল্লিকার্জুন খাগড়ের উপস্থিতি কিংবা সংসদ চত্বরে তৃণমূলের ধর্ণায় রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিকে অনেকে এই রাজ্যে দুই কংগ্রেসের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত বলে মনে করলেও সেই ধারনা সম্পূর্ন নস্যাত করে দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷
তাদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল কংগ্রেসকে দূর্বল করেই এই রাজ্যে তৃণমূলের বেড়ে ওঠা৷তাদের সাথে দ্বিতীয়বার সখ্যতার প্রশ্নই নেই৷দলেরই সাংসদ অধীর চৌধুরী সংসদে চিটফান্ড ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমন করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলকে এক ইঞ্চি রাজনৈতিক জমি ছাড়া হবে না৷আসলে বাম-কংগ্রেস জোট হলে এই রাজ্যে যেমন শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তৃণমূল,তেমনই বাংলা থেকে বিজেপির ২২ আসন জয়ের টার্গেট কেবল স্বপ্নেই থেকে যাবে৷রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন বাম-কংগ্রেস জোট হলে রাজ্যের অনেক আসনেই তৃণমূলকে কঠিন প্রতিদ্বন্ধীতার মুখে পড়তে হবে৷আবার বাম-কংগ্রেস ভোট এক হলে রাজ্যের বেশীরভাগ আসনে বিজেপিকে তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট হতে হবে৷আপাদমস্তক তৃণমূল বিরোধী অথচ হতাশায় যারা বামেদের ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন এমন ভোটাররা আবার পুরনো দলে ফিরবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা,তাদের আরও মত যারা কংগ্রেস ছেড়ে উন্নয়নের স্লোগানে মোহিত হয়ে দল ছেড়েছিলেন তারাও আবার পুরনো দলে ফিরবেন৷
আসলে বাম-কংগ্রেস জোট হলে বিপাকে যেমন পড়বে বিজেপি,তেমনই তৃণমূলের নিজেদের হিসেব অনুযায়ী অনেক সিওর সিটের সমীকরণটাই সম্পূর্ন বদলে যাবে৷প্রত্যাশার অনেক কম আসনেই থামতে হতে পারে তৃণমূলকে,উল্টোদিকে মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বিরোধী বিজেপির আসল শক্তিটা বোঝা যাবে৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনও বলছেন বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট হলেই দেখা যায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শতাংশ হু হু করে নেমে যায়৷পরিসংখ্যানই বলছে ১৪এর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শতাংশ অনেকটা কমে গিয়েছিল ১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে৷অর্থাৎ অনেক মানুষ যারা ১৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে ছিলেন তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে মোহিত হয়ে, কিন্তু মোহভঙ্গ হতে বেশী সময় লাগেনি,সেই মানুষগুলি পুনরায় ফিরেছেন তাদের পুরনো রাজনৈতিক দলে৷ ৫রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় এটি প্রমান করছে সারা দেশে গেরুয়া ঝড় স্থিমিত,হিন্দি বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধ্বস নামছে,বাংলা তার ব্যতিক্রম নয়,সেখানেই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা,তারা বলছেন কোন অঙ্কে বিজেপি দাবি করে তারা বাংলায় ২২টি আসন জিতবে!রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আরও বক্তব্য বুথ স্তরের দূর্বল সংগঠন নিয়ে বিজেপির ২২আসন জয়ের স্বপ্ন তাদের কর্মী,সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত করলেও ১৪-এর লোকসভার তুলনায় রাজ্য থেকে বেশী সাংসদ পাঠাতে পারলেই অনেকেই অবাক হবেন৷মজার ব্যাপার হল এবার কিন্তু জোট নিয়ে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন না জোটের পক্ষে সওয়ালকারী বাম নেতৃত্ব৷১৬'র বিধানসভা নির্বাচনে শেষবেলার জোট অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি৷
সেইজন্য এবার আগেভাগেই জোটের কাজটা সেরেই ফেলতে চাইছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সবমিলিয়ে এটা বলা যায় বাম-কংগ্রেসের আবার নতুন করে জোটের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে হাসির ঝিলিক তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী মানুষদের মুখে৷তাদের বক্তব্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত জোর যার মুল্লুক তার, এমন পরিবেশ থাকবে না,মানুষ অবাধে তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন৷তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার হাওয়া বইছে,বিজেপির মেরুকরন আর প্রতিশ্রুতিভঙ্গের রাজনীতিতে মানুষ অতিষ্ঠ৷স্বভাবত রাজ্যের গনতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন,বিবেকবান,শিরদাঁড়া সোজা মানুষেরা ফের আবার কাছাকাছি আসছেন৷উজ্জ্বল হচ্ছে বাংলায় আবার হাত-হাতুড়ির ঝান্ডা হাতে দুই দলের কর্মীদের মিছিল,মিটিং৷আবার আবেগ,আবার সেই চেনা ছবির স্বপ্ন ফের বাস্তবায়িত হওয়ার মুখে,বাম-কর্মী সমর্থকেরা ফের আবার মানুষের দরবারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের দাবি নিয়ে তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি নয়,তৃণমূলের বিকল্প বাম-কংগ্রেসের জোটের শক্তি৷
প্রশ্নটা বেশ কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে ঘুরে বেড়ালেও বাম কর্মী সমর্থকরা যেমন বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কি হবে,তেমনই আপাদমস্তক তৃণমূল বিরোধী গ্রাম বাংলার কংগ্রেস সমর্থকও অনুধাবন করতে পারছিলেন না তাদের দল বাংলার রাজনীতিতে ঠিক কোন অবস্থান নিচ্ছে!কোনও সন্দেহ নেই বাম বা কংগ্রেসের অসংখ্য সমর্থক আছেন যারা সুবিধাবাদী হতে পারেন নি,দলের বিপদে দল ছেড়ে যাননি,কোনও কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে বা ক্ষমতার লোভ দেখিয়েও তাদের কে যেমন দলে টানতে পারেনি তৃণমূল,ঠিক তেমনই তারা তৃণমূলের বিকল্প হতে পারে বিজেপি, এই বিশ্বাসে দল পরিবর্তন করেন নি৷তবে তারা সংখ্যায় কম নন৷
যদিও রাজ্যের মেনস্ট্রীম মিডিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারের বিষয় তৃণমূলের ৪২এ ৪২সিট জয়ের সম্ভাবনা কতটা বা বিজেপির এই রাজ্যে ২২টি আসন জয়ের টার্গেট! অথচ ১৬-এর বিধানসভা নির্বাচন প্রমান করেছে এই রাজ্যে বাম-কংগ্রেস এক হলে তৃণমূলকে শক্ত প্রতিদ্বন্ধীতার মুখে ফেলা যায়,বিজেপিকে প্রায় উড়িয়েই দেওয়া যায়! আপাদমস্তক তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী মানুষেরা কিন্তু আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন,লোকসভায় বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছেই৷এবার কিন্তু বিধানসভার মত ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ বাম নেতৃত্ব৷ বেশ কিছুদিন আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন বামেরা যেখানে দূর্বল সেখানে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে হবে৷একই কথার পুনরাবৃত্তি তিনি করেছিলেন গোলপার্কের সভায়৷ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন সিপিএম এমন আসনে প্রার্থী দেবে যেখানে ৩কিংবা৪নম্বরে থাকতে হবে না৷সবমিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে বাম-কংগ্রেসের জোটের রাস্তা বোধহয় পরিস্কার হচ্ছে৷যদিও তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে মল্লিকার্জুন খাগড়ের উপস্থিতি কিংবা সংসদ চত্বরে তৃণমূলের ধর্ণায় রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিকে অনেকে এই রাজ্যে দুই কংগ্রেসের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত বলে মনে করলেও সেই ধারনা সম্পূর্ন নস্যাত করে দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনও বলছেন বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট হলেই দেখা যায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শতাংশ হু হু করে নেমে যায়৷পরিসংখ্যানই বলছে ১৪এর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শতাংশ অনেকটা কমে গিয়েছিল ১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে৷অর্থাৎ অনেক মানুষ যারা ১৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে ছিলেন তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে মোহিত হয়ে, কিন্তু মোহভঙ্গ হতে বেশী সময় লাগেনি,সেই মানুষগুলি পুনরায় ফিরেছেন তাদের পুরনো রাজনৈতিক দলে৷ ৫রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় এটি প্রমান করছে সারা দেশে গেরুয়া ঝড় স্থিমিত,হিন্দি বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধ্বস নামছে,বাংলা তার ব্যতিক্রম নয়,সেখানেই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা,তারা বলছেন কোন অঙ্কে বিজেপি দাবি করে তারা বাংলায় ২২টি আসন জিতবে!রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আরও বক্তব্য বুথ স্তরের দূর্বল সংগঠন নিয়ে বিজেপির ২২আসন জয়ের স্বপ্ন তাদের কর্মী,সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত করলেও ১৪-এর লোকসভার তুলনায় রাজ্য থেকে বেশী সাংসদ পাঠাতে পারলেই অনেকেই অবাক হবেন৷মজার ব্যাপার হল এবার কিন্তু জোট নিয়ে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন না জোটের পক্ষে সওয়ালকারী বাম নেতৃত্ব৷১৬'র বিধানসভা নির্বাচনে শেষবেলার জোট অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি৷
Loading...
কোন মন্তব্য নেই