মানুষের হৃদয় জিততে বামেদের টেক্কা বিজেপির,বাংলায় ভাল ফল সময়ের অপেক্ষা।
অরুনাভ সেনঃ লোকসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক দিনক্ষন ঘোষনা না হলেও রাজনৈতিক দলগুলি কিন্তু বকলমে ভোটপ্রচার শুরু করে দিয়েছে৷কেউ কাউকে রাজনৈতিক ভাবে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ৷আসলে এবারের লোকসভা ভোট যতেষ্ট ইন্টারেষ্টিং৷
অনেকেই বলছেন দ্বিতীয়বার মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা,অনেকে আবার পাল্টা বলছেন বিজেপি কেন ভারতবর্ষের কোনও রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারে পৌঁছবে না,বরং আঞ্চলিক দলগুলিই শেষ মুহূর্তে নির্নায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে৷তবে সবই জল্পনা,তর্ক-বিতর্ক, পাল্টা যুক্তির লড়াই৷আসলে ভারতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যেসব শাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগনের রায় প্রতিফলিত হয়েছে ব্যালটে বা ইভিএমে৷বফর্সকে রাজনৈতিক ইস্যু করে যেমন বাজিমাত করেছিলেন বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ,তেমনই দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে ওঠা নানা দুর্নীতির অভিযোগে হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে৷কিন্তু মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেই পারছেন না বিরোধী৷যে অভিযোগগুলি বিরোধীরা তুলছেন সেক্ষেত্রে অভিযোগের স্বপক্ষে বিশ্বাসযোগ্য প্রমান তারা দিতে পারছেন না৷
সেক্ষেত্রে ভোটের আগে বিজেপি যতেষ্ট স্বস্তিতে থাকবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷কিন্তু ৫রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হতাশজনক ফলাফলে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে বিজেপি৷উত্তরপ্রদেশে বুয়া-ভাতিজার জোট হচ্ছে৷অথচ উত্তরপ্রদেশ ভারতীয় রাজনীতিতে এমন একটি রাজ্যে যেখানে বেশি আসন জয়ের অর্থ সরকার গড়ার লক্ষে কয়েক কদম এগিয়ে যাওয়া৷কিন্তু সেই রাজ্যের উপনির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে সপা-বসপা জোট করে ভোট করলে বিজেপিকে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব৷উল্টোদিকে রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ,ছত্তিশগড়ে বিজেপির পরাজয় বিজেপির কাছে বার্তা দিয়েছে কৃষক অসন্তোষ,জিএসটির ক্ষত মেরামত না করলে বিপদ বাড়বে মোদি-অমিত শাহ জুড়ির৷যদিও বাজেটে পীযুষ গোয়েল সেই ক্ষত মেরামতের আপ্রান চেষ্টা করেছেন৷কৃষক,মধ্যবিত্ত,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে সরকার কল্পতরু হয়েছে,বিরোধীরা বাজেটের সমালোচনা করতে পারছেন না,সবমিলিয়ে বলা যায় দেশজুড়ে তেমন মোদি বিরোধী হাওয়া নেই যেখানে সরকার বিপদে পড়তে পারে৷কিন্তু বাংলায় কি হবে?বিজেপি সভাপতি অন্তত রাজ্য থেকে ২২আসন জয়ের টার্গেট স্থির করে দিয়েছেন৷কোন আসনগুলি বিজেপির টার্গেট সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার থেকে জরুরী বোঝার চেষ্টা করা এই টার্গেটের কি আদৌ বাস্তবতা আছে?কোনও সন্দেহ নেই কাঁথি উপনির্বাচন থেকে পঞ্চায়েত ভোট সর্বত্রই বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শতাংশ লাফিয়ে,লাফিয়ে বৃদ্ধি প্রমান করছে বাংলায় তৃণমূলকে রাজনৈতিক ভাবে চ্যালেঞ্জ করার শক্তি বিজেপি অর্জন করেছে অনেক আগেই৷এই ভোটবৃদ্ধি আসলে তাদের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির প্রমান৷
অবশ্যই এই ভোটবৃদ্ধি তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন,তৃণমূল বিরোধী মানুষের আস্থা অর্জনে বামেদের টপকে বিজেপির এগিয়ে যাওয়া৷অর্থাৎ বুথস্তরের সংগঠনকে রাজ্য বিজেপির নেতারা যতেষ্ট শক্তিশালী করতে পেরেছিলেন তার প্রমান মিলেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে৷অনেকেই বলছেন অধুনা বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য বলা হয় যাকে সেই মুকুল রায়ের পদ্ম শিবিরে জোগদানের পরেই সারা রাজ্যে বিজেপি সংগঠনকে দ্রুত শক্তিশালী করতে পেরেছে৷প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতাদের বাংলার বিভিন্ন জনসভাগুলিতে বিপুল ভিড়,মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে অনেক মানুষের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে বিজেপি৷প্রশ্ন হল কেন বামেদের সরিয়ে বাংলার মানুষের হৃদয় জিততে শুরু করল বিজেপি?অনেকেই বলেছেন নীচুতলার কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেন নি বাম নেতৃত্ব৷ঘোষিত কর্মসূচীর বাইরে কোনও ঘটনার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় অতীতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে বাম কর্মী,সমর্থকেরা মিছিল-মিটিং করতেন সাম্প্রতিক সময়ে সাংগঠনিক দূর্বলতার কারনে বামেরা হঠাৎ করে কোনও কর্মসূচী পালন করতে পারছেন না৷যেটুকু আন্দোলন মিছিল,মিটিং করছেন সবই কলকাতা কেন্দ্রীক,এই সাংগঠনিক শক্তির জোরে হয়ত কমিটেড ভোটারদের ভোট ধরে রাখা যায় কিন্তু তৃণমূল বিরোধী অথচ সুনির্দিষ্ট কোনও দলের সমর্থক নন এমন মানুষদের প্রভাবিত করা যায় না৷
বামেরা যেখানে শুধুমাত্র ঘোষিত কর্মসূচী পালন করে থেমে যাচ্ছেন তখন ঠিক উল্টো পথ ধরছেন বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড৷সারা রাজ্য চষে ফেলছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷মুকুল রায় থেকে দিলীপ ঘোষ,লকেট চট্টোপাধ্যায়রা গ্রাম বাংলায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন,আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন,দলের কর্মী,সমর্থকদের মনোবল বাড়াবার চেষ্টা করছেন৷সবমিলিয়ে এটুকু বলা যায় তৃণমূল বিরোধী ভোটকে এককাট্টা করে ইভিএমে প্রতিফলিত করার আপ্রান চেষ্টা করছেন বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড৷কিন্তু সাধারন মানুষ যারা তৃণমূল বিরোধী অথচ নির্দিষ্ট কোনও দলের সমর্থক নন তাদের পছন্দই বা কোন রাজনৈতিক দল,অনেকেই বলছেন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নি, এই ঘটনায় তারা যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন৷সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ইভিএমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিফলিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে৷স্বভাবত অনেকের প্রশ্ন থাকতেই পারে কেন বামেদের ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দেবেন সাধারন মানুষ৷আসলে অনেকেই আছেন যারা শত প্রলোভনেও তৃণমূলকে ভোট দেবেন না,এই মানুষগুলি মনে প্রানে চান তৃণমূলকে হারাতে,এরা অনেকেই অতীতে বাম দলগুলির সমর্থক ছিলেন,কেউবা কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন,তাদের বক্তব্য বাম বা প্রস্তাবিত বাম-কংগ্রেস জোট(যদি হয়)কে ভোট দিলে তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ হবে,সুফলটা ঘরে তুলবে শাসক দলই,রাজ্যে বামেদের,বা কংগ্রেসের এমন শক্তিই নেই যার জোরে তারা পারবেন তৃণমূলকে ২১-এর নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত করতে৷
বরং তৃণমূল বিরোধী ভোট যদি বিজেপির ঝুলিতে যায় সেক্ষেত্রে ২১-এর নির্বাচনে রাজ্যে আবার পরিবর্তনের জোরালো পটভূমি তৈরি হবে৷সেই আশাতেই বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন রাজ্যের তৃণমূল বিরোধী মানুষ৷আর সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন বিজেপির কর্মী,সমর্থকেরা৷তাদের আশা লোকসভায় বাংলায় বিজেপির ভাল ফল শুধু সময়ের অপেক্ষা৷
অনেকেই বলছেন দ্বিতীয়বার মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা,অনেকে আবার পাল্টা বলছেন বিজেপি কেন ভারতবর্ষের কোনও রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারে পৌঁছবে না,বরং আঞ্চলিক দলগুলিই শেষ মুহূর্তে নির্নায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে৷তবে সবই জল্পনা,তর্ক-বিতর্ক, পাল্টা যুক্তির লড়াই৷আসলে ভারতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যেসব শাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগনের রায় প্রতিফলিত হয়েছে ব্যালটে বা ইভিএমে৷বফর্সকে রাজনৈতিক ইস্যু করে যেমন বাজিমাত করেছিলেন বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ,তেমনই দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে ওঠা নানা দুর্নীতির অভিযোগে হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে৷কিন্তু মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেই পারছেন না বিরোধী৷যে অভিযোগগুলি বিরোধীরা তুলছেন সেক্ষেত্রে অভিযোগের স্বপক্ষে বিশ্বাসযোগ্য প্রমান তারা দিতে পারছেন না৷
বামেরা যেখানে শুধুমাত্র ঘোষিত কর্মসূচী পালন করে থেমে যাচ্ছেন তখন ঠিক উল্টো পথ ধরছেন বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড৷সারা রাজ্য চষে ফেলছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷মুকুল রায় থেকে দিলীপ ঘোষ,লকেট চট্টোপাধ্যায়রা গ্রাম বাংলায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন,আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন,দলের কর্মী,সমর্থকদের মনোবল বাড়াবার চেষ্টা করছেন৷সবমিলিয়ে এটুকু বলা যায় তৃণমূল বিরোধী ভোটকে এককাট্টা করে ইভিএমে প্রতিফলিত করার আপ্রান চেষ্টা করছেন বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড৷কিন্তু সাধারন মানুষ যারা তৃণমূল বিরোধী অথচ নির্দিষ্ট কোনও দলের সমর্থক নন তাদের পছন্দই বা কোন রাজনৈতিক দল,অনেকেই বলছেন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নি, এই ঘটনায় তারা যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন৷সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ইভিএমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিফলিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে৷স্বভাবত অনেকের প্রশ্ন থাকতেই পারে কেন বামেদের ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দেবেন সাধারন মানুষ৷আসলে অনেকেই আছেন যারা শত প্রলোভনেও তৃণমূলকে ভোট দেবেন না,এই মানুষগুলি মনে প্রানে চান তৃণমূলকে হারাতে,এরা অনেকেই অতীতে বাম দলগুলির সমর্থক ছিলেন,কেউবা কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন,তাদের বক্তব্য বাম বা প্রস্তাবিত বাম-কংগ্রেস জোট(যদি হয়)কে ভোট দিলে তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ হবে,সুফলটা ঘরে তুলবে শাসক দলই,রাজ্যে বামেদের,বা কংগ্রেসের এমন শক্তিই নেই যার জোরে তারা পারবেন তৃণমূলকে ২১-এর নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত করতে৷
বরং তৃণমূল বিরোধী ভোট যদি বিজেপির ঝুলিতে যায় সেক্ষেত্রে ২১-এর নির্বাচনে রাজ্যে আবার পরিবর্তনের জোরালো পটভূমি তৈরি হবে৷সেই আশাতেই বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন রাজ্যের তৃণমূল বিরোধী মানুষ৷আর সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন বিজেপির কর্মী,সমর্থকেরা৷তাদের আশা লোকসভায় বাংলায় বিজেপির ভাল ফল শুধু সময়ের অপেক্ষা৷
Loading...
বামেদের সিট বাড়তো যদি কংগ্রেসের সাথে আসন সমঝতাতে না যেতো। কংগ্রেস বামেদের ভোট পাবে কিন্তু নিজেরে বামেদের ভোট দেবে না ২০১৬ আমরা সেতাই দেখেছি তাই ২৫টি সিট পেয়েছি
উত্তরমুছুন