বনধের দিন পরীক্ষার্থীরা আহত হলে তার দায় নেবেন কি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? বিশেষ প্রতিবেদন।
বনধের প্রথম দিনে বর্ধমানের পালসিটে উত্তেজনা ছড়ায়। মেমারি থেকে একদল বিএ প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ কলেজে পরীক্ষার সিট পড়েছে ওই পড়ুয়াদের। তারা গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলতেই থাকবে। কারা অপরাধী আর কারা অপরাধী নয় তা ঠিক করবে আদালত। একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি।
যে পরীক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করছে, তাদের এই বিপদে পড়ার জন্য ধর্মঘটীরা যেমন দায়ী, তার থেকে বেশি দায়ী রাজ্য সরকার এবং সেই সরকারের মাথায় বসে থাকা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন? বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তিনি তো বহু বার বনধ ডেকেছিলেন। কিন্তু তখন তো এই চিত্র দেখা যায় নি। তখনকার বাম সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা প্রায় সব বনধের দিনে পরীক্ষা থাকলে সেই পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করে দিতেন। তাহলে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বনধের দিন পরীক্ষা গুলি বাতিল করলেন না কেন? এমনকি সিটুর তরফে নবান্নে চিঠি দিয়ে পরীক্ষার দিন পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয় বলে দাবি। তার পরেও কেন সেই পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হল না ? আর তাই এই ধর্মঘটের দিন কোন পরীক্ষার্থীর কোনও ক্ষতি হলে তার দায় পুরোপুরি বর্তাবে তৃনমূল সরকার এবং তার মাথায় বসে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে। এর দায় ধর্মঘটীদের নয়। কারণ এই ধর্মঘটের অধিকার সংবিধান সাধারণ মানুষকে দিয়েছে। এই অধিকার কোন বাম বা ডান পন্থীদের দেওয়া নয়। এই অধিকার অনেক রক্তের বিনিময়ে আদায় করেছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই