জনস্বার্থেই কংগ্রেসের সাথে জোট প্রয়োজন বামেদের! অরুনাভ সেনের চুলচেরা বিশ্লেষণ।
অরুনাভ সেনঃ বাংলার রাজনীতিতে বামেরা কি আবার তাদের হারানো প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেলো সেই নিয়ে আবার চুলচেরা বিশ্লেষন শুরু হয়ে গিয়েছে৷কোনও সন্দেহ নেই সিঙ্গুর থেকে রাজভবন পর্যন্ত বামেদের ঐতিহাসিক লং মার্চের পর ট্রামে,বাসে,বাজারে,রাস্তায় ফের নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে অনেক রক্তক্ষরনের পর ফের বাংলায় শক্তিবৃদ্ধি করছে বামেরা৷অনেকেই বলছেন বাংলায় বামেদের ঘুরে দাঁড়ানো জরুরী সমাজের প্রয়োজনে,রাজ্যের প্রয়োজনে,দেশের প্রয়োজনে৷কোনও সন্দেহ নেই সিঙ্গুর থেকে রাজভবন অভিযানের পর বামপন্থী কর্মী,সমর্থকদের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ বদলে গিয়েছে৷তাদের রাজনৈতিক আক্রমনের অভিমুখ এখন যেমন তৃণমূল তেমনই বিজেপি৷আত্মবিশ্বাসী বাম সমর্থকেরা এরাজ্যে ভাল ফলের ব্যাপারে রীতিমত আশাবাদী হয়ে উঠেছেন৷
সিঙ্গুর থেকে বামেদের লঙ মার্চ বদলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতির সমীকরন৷পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী দলের পরিষরে জাঁকিয়ে বসা বিজেপির অবস্থানটা হঠাৎ নড়বড়ে হয়ে উঠছে৷মনে প্রাণে তৃণমূল বিরোধী যে মানুষগুলো কিছুদিন আগেও বিজেপির প্রতি আস্থা দেখিয়েছিলেন তারাই অনুধাবন করছেন রাজ্য বিজেপির আন্দোলনে প্রকৃত অর্থে তৃণমূল বিরোধীতা নেই,বরং যেটুকু আছে সেটা আইওয়াশ৷রাজ্যের তৃণমূল বিরোধী মানুষের হয়ত সেইকারনেই বিজেপির প্রতি মোহ দ্রুত কাটছে,উল্টোদিকে আবার ফিরছে বামেদের প্রতি তাদের অটুট আস্থা৷রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন কেবল কৃষক অসন্তোষ নয় কেন্দ্রের মোদি সরকারের নানা জনবিরোধী নীতিতে সাধারন মানুষ এমনিতেই ভীষন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলেন৷নোটবন্দি যেমন অসংগঠিত ক্ষেত্রকে তছনচ করেছে,অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন,তেমনই জিএসটি চালুর পরে ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷
সার্বিকভাবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ পঞ্জীভূত হচ্ছে সাধারন মানুষের মধ্যে,ব্যতিক্রম নয় বাংলা৷মানুষের সেই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে এবার বাম দলগুলি ক্রমশ তৎপরতা বাড়াচ্ছে৷একের পর এক কর্মসূচীতে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগানোর এটাই সেরা সুযোগ৷মনেপ্রানে তৃণমূল বিরোধী মানুষেরাও অনুধাবন করছেন রাজ্য বিজেপির তৃণমূল বিরোধীতা আসলে আইওয়াশ,বরং মোদি সরকারের জনবিরোধী নানা নীতির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যাতে জনমানসে প্রতিফলিত না হয় সেজন্য তারা ঠিক ততটুকু তৃণমূল বিরোধী কর্মসূচী নেয় যেখানে মানুষের ভ্রম হতে পারে বামেরা নয় বিজেপিই পারবে তৃণমূলের বিকল্প হয়ে উঠতে৷ তৃণমূল বিরোধী সাধারন মানুষের আবেগ, আশা পূর্ণ হয়নি,অন্তত তৃণমূল বিরোধী তেমন কোনও বড় মাপের রাজনৈতিক কর্মসূচী বিজেপি সংগঠিত করতে পারেনি যেখানে সাধারন মানুষ বিশ্বাস করতে পারতেন বিজেপিই পারবে তৃণমূলকে জোরালো রাজনৈতিক ধাক্কা দিতে৷
বরং অনেক সাধারন মানুষ জোর গলায় বলছেন রাজ্য বিজেপির তৃণমূল বিরোধীতা আসলে আইওয়াশ৷সবমিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে মানুষের আস্থা হারাচ্ছে বিজেপি, ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে তারা,অন্তত মানুষের হৃদয় জিততে বামেদের তুলনায় অনেক পিছনে পড়ে যাচ্ছে৷ ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ দেখেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোট হওয়ায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট অনেকটা কমে গিয়েছিল,অন্তত তাদের ১৪এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে,তারা রাজ্যে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক শক্তি প্রমানিত হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে জোট ভেঙে যাওয়ায় হতাশ নীচুতলার বাম কর্মী,সমর্থকরা যারা গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছিলেন তারাই বিজেপির আন্দোলন বিমুখতায় হতাশ হয়ে আবার ফিরছেন পুরনো দলে৷আসলে এই মানুষগুলো প্রকৃত অর্থে তৃণমূল বিরোধী,তারা চান যেমন ভাবে হোক তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে৷
তাদের কাছে বাম-বিজেপির রাজনৈতিক আদর্শের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করা৷এইসব মানুষের বড় অংশ পঞ্চায়েত নির্বাচনে হয়ত নিজের ভোট দিতে পারেন নি,বা হয়ত কোথাও মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শাসকের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন৷সংখ্যায় এখনও এরা খুব কম নন,এদের ভোটই লোকসভায় অনেক আসনের সমীকরণই বদলে দিতে পারে, এইসব মানুষদের ভোট যদি ফের বামপন্থীদের দিকে যায় কোনও সন্দেহ নেই তৃণমূলের চোখে চোখ রেখেই বাংলায় ফের রাজনীতি করার শক্তি সঞ্চয় করবে বাম দলগুলি৷তৃণমূল যদিও এখনও রাজ্যের বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি কিন্তু তারাও সম্ভবত সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পারছে না তাদের শক্তি এখন ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে৷
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যেহেতু শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সন্ত্রাসের অভিযোগ জনমানসে বেশ অনেকটা মান্যতা পেয়েছিল স্বভাবত তাদের কাছে ঠিক স্পষ্ট নয় এই মুহূর্তে তাদের রাজনৈতিক শক্তি বাড়ছে নাকি প্রতিষ্ঠান বিরোধীতা ছাড়াও অন্য অনেক কারনে দ্রুত কমছে!উল্টোদিকে ফের রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে৷রাজ্য সিপিএম সূর্যকান্ত মিশ্র স্পষ্ট করেছেন বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বের নীতিতে লাভবান হবে বিজেপি,সেটি বামপন্থীরা হতে দেবেন না৷উল্টোদিকে শক্তি বাড়াচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসও বেশ কিছু জায়গা থেকে খবর আসছে তৃণমূলে প্রাপ্য সন্মান না পেয়ে হতাশায় অনেকে আবার পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরছেন৷তিন রাজ্য বিজেপির থেকে কেড়ে নিয়ে উজ্জীবিত কংগ্রেস নেতা,কর্মীরা৷প্রদেশ কংগ্রেসও লোকসভায় তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করেছে, স্বভাবত আবার জোটের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন বাম-কংগ্রেসের নীচু তলার কর্মী সমর্থকেরা তাদের স্বপ্ন জোট বেঁধে লোকসভায় তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দেওয়া,তৃণমূলের নিজস্ব হিসেবের আসন এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দেওয়া৷এখন দেখার বাম-কংগ্রেসের কর্মী,সমর্থকদের আবেগকে প্রধান্য দিয়ে কত দ্রুত আবার কাছাকাছি আসতে পারে রাজ্য সিপিআইএম-কংগ্রেস৷সেদিকেই তাকিয়ে দুই দলের কর্মী,সমর্থকেরা৷
সার্বিকভাবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ পঞ্জীভূত হচ্ছে সাধারন মানুষের মধ্যে,ব্যতিক্রম নয় বাংলা৷মানুষের সেই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে এবার বাম দলগুলি ক্রমশ তৎপরতা বাড়াচ্ছে৷একের পর এক কর্মসূচীতে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগানোর এটাই সেরা সুযোগ৷মনেপ্রানে তৃণমূল বিরোধী মানুষেরাও অনুধাবন করছেন রাজ্য বিজেপির তৃণমূল বিরোধীতা আসলে আইওয়াশ,বরং মোদি সরকারের জনবিরোধী নানা নীতির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যাতে জনমানসে প্রতিফলিত না হয় সেজন্য তারা ঠিক ততটুকু তৃণমূল বিরোধী কর্মসূচী নেয় যেখানে মানুষের ভ্রম হতে পারে বামেরা নয় বিজেপিই পারবে তৃণমূলের বিকল্প হয়ে উঠতে৷ তৃণমূল বিরোধী সাধারন মানুষের আবেগ, আশা পূর্ণ হয়নি,অন্তত তৃণমূল বিরোধী তেমন কোনও বড় মাপের রাজনৈতিক কর্মসূচী বিজেপি সংগঠিত করতে পারেনি যেখানে সাধারন মানুষ বিশ্বাস করতে পারতেন বিজেপিই পারবে তৃণমূলকে জোরালো রাজনৈতিক ধাক্কা দিতে৷
বরং অনেক সাধারন মানুষ জোর গলায় বলছেন রাজ্য বিজেপির তৃণমূল বিরোধীতা আসলে আইওয়াশ৷সবমিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে মানুষের আস্থা হারাচ্ছে বিজেপি, ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে তারা,অন্তত মানুষের হৃদয় জিততে বামেদের তুলনায় অনেক পিছনে পড়ে যাচ্ছে৷ ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ দেখেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোট হওয়ায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট অনেকটা কমে গিয়েছিল,অন্তত তাদের ১৪এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে,তারা রাজ্যে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক শক্তি প্রমানিত হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে জোট ভেঙে যাওয়ায় হতাশ নীচুতলার বাম কর্মী,সমর্থকরা যারা গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছিলেন তারাই বিজেপির আন্দোলন বিমুখতায় হতাশ হয়ে আবার ফিরছেন পুরনো দলে৷আসলে এই মানুষগুলো প্রকৃত অর্থে তৃণমূল বিরোধী,তারা চান যেমন ভাবে হোক তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে৷
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যেহেতু শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সন্ত্রাসের অভিযোগ জনমানসে বেশ অনেকটা মান্যতা পেয়েছিল স্বভাবত তাদের কাছে ঠিক স্পষ্ট নয় এই মুহূর্তে তাদের রাজনৈতিক শক্তি বাড়ছে নাকি প্রতিষ্ঠান বিরোধীতা ছাড়াও অন্য অনেক কারনে দ্রুত কমছে!উল্টোদিকে ফের রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে৷রাজ্য সিপিএম সূর্যকান্ত মিশ্র স্পষ্ট করেছেন বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বের নীতিতে লাভবান হবে বিজেপি,সেটি বামপন্থীরা হতে দেবেন না৷উল্টোদিকে শক্তি বাড়াচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসও বেশ কিছু জায়গা থেকে খবর আসছে তৃণমূলে প্রাপ্য সন্মান না পেয়ে হতাশায় অনেকে আবার পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরছেন৷তিন রাজ্য বিজেপির থেকে কেড়ে নিয়ে উজ্জীবিত কংগ্রেস নেতা,কর্মীরা৷প্রদেশ কংগ্রেসও লোকসভায় তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করেছে, স্বভাবত আবার জোটের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন বাম-কংগ্রেসের নীচু তলার কর্মী সমর্থকেরা তাদের স্বপ্ন জোট বেঁধে লোকসভায় তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দেওয়া,তৃণমূলের নিজস্ব হিসেবের আসন এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দেওয়া৷এখন দেখার বাম-কংগ্রেসের কর্মী,সমর্থকদের আবেগকে প্রধান্য দিয়ে কত দ্রুত আবার কাছাকাছি আসতে পারে রাজ্য সিপিআইএম-কংগ্রেস৷সেদিকেই তাকিয়ে দুই দলের কর্মী,সমর্থকেরা৷

No comments