হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা প্রশাসনের! প্রতিবাদে শিক্ষকদের নির্বাচন কমিশন অভিযান।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সেই মামলার রায়দান করতে গিয়ে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে জানান "কখন শিক্ষকরা কাজ করতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করতে হবে, ছুটির দিনে তালিকা সংশোধনের কাজ করতে পারবেন শিক্ষকরা"। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন "স্কুল চলাকালীন ভোটারতালিকা সংশোধনের কাজে শিক্ষকদের নিজুক্ত করা চলবে না" এই রায় কিছুটা স্বস্তিজনক এবং আশাপ্রদ হলেও খুশি হননি শিক্ষকরা। শিক্ষকদের মতে এটা শিক্ষক এবং সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করার মত রায়।
অন্য দিকে হাইকোর্ট এই রায় দেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে চরম অচলাবস্থা। কারন হাইকোর্টের রায় বেরোনোর পরেও কোন রকম সরকারি বিবৃতি শিক্ষকরা পাননি বলে অভিযোগ। শিক্ষক দের আরও অভিযোগ সরকারি বিবৃতি হাতে না আসার জন্যে আধিকারিকদের একটা বড় অংশ বিএলও বা ডিও-র কাজ করার জন্যে চাপ দিচ্ছেন তাঁদের।
এরই প্রতিবাদে আজ দুপুর ২টোর সময় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের প্রতিনিধিরা ডেপুটেশন দেন নির্বাচন কমিশনের সিইও-র কাছে।শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে "মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্বেও নির্বাচন কমিশন শিক্ষকদের শিক্ষা বর্হিভূত কাজ DO/BLO/Supervisor থেকে অব্যহতি না দেওয়ায় আজ "শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের" আহ্বানে দুপুর ২ টায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অভিযান ও ডেপুটেশন দেওয়া হল।