Header Ads

পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড হাতছাড়া! জেলা সভাপতির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।

বাবুল সরকার, আলিপুরদুয়ারঃ কয়েকমাস রাজ্যের বাইরে নিয়ে রাখার পরেও আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনে ব্যর্থ হয় বিজেপি। জনগণের রায়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও শেষে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সভা বয়কটের কথা ঘোষণা করে বিজেপি নেতৃত্ব।

যদিও বোর্ড গঠনের আগেই এক বিজেপির এক জয়ী সদস্য তৃণমূলে যোগ দেয়। এই ঘটনায় দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। সূত্রের খবর, এমনিতেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার মাঝেরডাবরির একটি লাভ জিহাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের বর্তমান জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে মুখ খুলে বেশ কয়েকজন নেতা জেলা কমিটির পদ হারিয়েছেন।

 তার উপর কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বোর্ড গঠন করতে না পারায় জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দলের নীচু তলার কর্মীরা। অনেকেই জেলা সভাপতিকে নিয়ে তির্যক মন্তব্যও ছুঁড়ে দিয়েছেন সোস্যাল মিডিয়াতে। তৃণমূল কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিতেই কি বিজেপি বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বয়কট করেছে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড হাতছাড়া হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব রিপোর্ট তলব করেছে। ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্থিতে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দলের নীচু তলার কর্মীদের মতে, জেলা সভাপতির অদূরদর্শীতা ও অযোগ্যতার জন্যই কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে জেলা নেতৃত্বের দাবি, বোর্ড গঠনের দিন খোয়ারডাঙায় শাসক দল অস্ত্রশস্ত্র সহ জমায়েত ছিল।

 বিজেপির সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের প্রাণহানিও ঘটতে পারত। এদিকে বিজেপির এই অভিযোগ খারিজ করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন সদস্য বিজেপির সঙ্গে ছিলনা। তাই বিজেপি বোর্ড গঠনের সভা বয়কটের নাটক করেছে। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েও বোর্ড গঠন করতে পারেনি বিজেপি। এই ঘটনা নিয়েও জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির নীচু তলার কর্মীদের একাংশ। জনগণের রায়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েও পঞ্চায়েত সমিতি ও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে না পারায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলের কর্মীদের মনোবলও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। লোকসভা নির্বাচনে যার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। নেতা কর্মীদের একাংশ হতাশায় ভুগছেন।

 বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দোপাধ্যায় বলেন, দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতিকে নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমার কাছে কোনো খবর নেই। দলের কর্মীদের নিয়ে বসাও হয়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা এবং পুলিশ মিলে একসাথে কাজ করেছে যাতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারে। শুধু আলিপুরদুয়ার জেলাই নয়, গোটা রাজ্যে একই পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে ওখানে মানুষ হয়তো রুখে দাঁড়াতে পারেনি। যেখানে মানুষ রুখে দাঁড়াতে পেরেছে সেখানে আমরা বোর্ড গঠন করেছি। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় সংগঠন মিলিত শক্তির দ্বারা চলে। আমরা আলিপুরদুয়ারে দলীয় স্তরে বসব। বসে আলোচনা করে দেখব কি কি বিষয় উঠে আসে।

ছবিঃ - বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
Loading...
lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.