ছিল রুমাল হল বেড়াল! হরিদেবপুর কাণ্ডে শিশুর দেহ বদলে গেল ড্রাই আইস বা মেডিক্যাল বর্জ্যে! উঠছে প্রশ্ন।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ হরিদেবপুরে রবিবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল জমি সাফ করতে গিয়ে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ১৪ টি সদ্যোজাত শিশু এবং মানব ভ্রুণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।হরিদেবপুরের ২১৪ নম্বর রাজা রামমোহন রোডে এক জমিতে পরিষ্কারের কাজ করছিলেন এক দল শ্রমিক।
জমি পরিষ্কারের সময় মূল রাস্তা থেকে যে গলিটি নীলাচলের দিকে গিয়েছে, সেই গলির পাশে টিনের ঘেরার মধ্যে আগাছা সাফ করতে গিয়ে শ্রমিকরা কয়েকটি কালো প্লাস্টিক পান। তার মধ্যে দেখা যায় ব্যান্ডেজ। শ্রমিকদের সন্দেহ হওয়ায়, তাঁরা খবর দেন কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের মাধ্যমেই খবর যায় স্থানীয় কাউন্সিলর সোমা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠি। প্রায় দেড় ঘন্টা তাঁরা সেখানে তদন্ত করেন। সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে শোভন বাবু বলেন, “ এখানে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ কমিশনার নিজে ছিলেন। আমি কাউন্সিলরের কাছ থেকে খবর পেয়ে এসেছি। পুলিশ তদন্ত করছে।
১৪ টি এ রকম দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ পুরো জায়গায় তল্লাশি করছে।” এর পর সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ পশ্চিম বিভাগের ডেপুটি কমিশনার হরিদেবপুর থানাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেও তিনি ক্যামেরার সামনে স্পষ্ট জানান, ভ্রুণ, সদ্যোজাতের দেহ বা মৃত শিশুর দেহ পাওয়া গিয়েছে। ১৪ টি আলাদা আলাদা প্যাকেটে। ব্যান্ডেজ মোড়া ছিল দেহগুলি। সব ক’টিই ছিল পচা গলা। তবে কঙ্কাল নয়।” তিনি বলেন, “আমরা দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আশে পাশের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমে।” এর পর আবার ডেপুটি কমিশনার মেসেজ করে জানান, চিকিৎসকরা ওই প্যাকেট খুলে দেখেছেন। সেখানে চিকিৎসকরা কোনও মানব দেহ বা মানব দেহের টিস্যু বা দেহাংশ পাওয়া যায়নি।
সবই নাকি ড্রাই আইস বা মেডিক্যাল বর্জ্য। তার আগে সেই একই কথা ফোন করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীঁণ ত্রিপাঠি।স্বভাবতই গোটা ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে মেয়র থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বা পদস্থ কর্তারা কিসের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার আগেই দেহ আছে বলে নিশ্চিত হলেন? এরকম আরও
প্রশ্ন ঘুরছে হরিদেবপুরের গলি গলিতে।
Loading...

No comments