বিপদ হলে দায়ী থাকবেন অনুব্রত! সরাসরি জানালেন বিজেপি নেত্রী।
নজরবন্দি ব্যুরো: যদি তাঁর কোনও বিপদ হলে দায়ী থাকবেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ভিডিও বার্তায় এমনটাই বললেন আউশগ্রামের বিজেপি নেত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী। দেড় বছর আগে তাঁর ওপর হামলার কথা উল্লেখ করেছেন সঙ্গীতা। সেই ঘটনাতেও অনুব্রত মণ্ডল দায়ী বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, আগাগোড়া বিতর্কিত কথা বলে প্রচারের শিরোনামে চলে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে প্রকাশ্যে বোমা মারার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। এবার তিনি দিলেন নতুন নিদান। তিনি বলেন "তোরা কি ওকে সামলাতে পারবি? না হলে ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে দে। ও কি বিজেপি করে, গাঁজা কেসে ধরিয়ে দে ওকে।" রাজ্যে বিজেপিকে রুখতে আজ বোলপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকে দলীয় কর্মীদের এমনই নির্দেশ দিলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, রবিবার বোলপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিং সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠক শুরুর আগে থেকে বেশ চটে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বৈঠকে ঢুকেই আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে উদ্দেশ্য করে কেষ্ট বলেন,"ফাইভ ম্যান কমিটি থেকে যে ছেলেটিকে বাদ দিলাম না, ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে দে। মোটা করে মেয়েটা কি নাম। ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে দে। বিজেপি করে ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে দে। গাঁজা কেসে ওদের ধরিয়ে দে।"
এর পরেই দলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহকে নির্দেশ দেন, "আউস গ্রামের আই সি-কে ফোনে ধরো, বর্ধমান এস পি-কে ফোন করো। ধরিয়ে দিই।"
অভেদানন্দ থান্ডারকের কাছে অনুব্রত জানতে চান, " ওকে কন্ট্রোল করতে পারবি কি না বল? না হলে অ্যারেস্ট করিয়ে দেব। পারবি কন্ট্রোল করতে? হ্যাঁ কি না বল?" কিছু দিন আগে আউসগ্রামে দলের পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি ফাইভ ম্যান কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় নামে দীর্ঘ দিনের এক তৃণমূল কর্মীকে। এলাকায় এখন সে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল-কর্মী হিসাবে কাজ করছেন। এই ভাবে তাকেই গ্রেপ্তারের করিয়ে দেওয়ার নিদান দেন অনুব্রত।
এই বিজেপি নেত্রী জানিয়েছেন, বছর দেড়েক আগে তাঁর ওপরে হামলা হয়েছিল। তাঁর দুই হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি ও দোকানেও হামলা হয়েছিল। তাঁর হাত ও পায়ে এখন প্লেট বসানো। সেই সময় তাঁর ওপরে যে হামলা হয়েছিল তা, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সঙ্গীতা চক্রবর্তী।

No comments