প্রযোজক ও আর্টিস্ট ফোরামের সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রসেনজিৎ
নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজও কোন সমাধান সূত্র মিলল না। ফলে আজও
হলনা কোন শুটিং। এই সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বললেন প্রসেনজিৎ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অদ্ভুতভাবে মানুষের কাছে বলা হচ্ছে, আর্টিস্টরা কাজ বন্ধ করেছেন।
এটা ভুল তথ্য যাচ্ছে। কাজটা প্রযোজকরাই বন্ধ করেছেন। আর্টিস্টরা মেকআপ করে বসেছিলেন। প্রযোজকরা কলটাইম দিলে কাল সকালে গিয়েই কাজ শুরু করা যাবে।’’বকেয়া পারিশ্রমিকের পাশাপাশি কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল আর্টিস্ট ফোরাম। তবে সে দাবিকে নস্যাত্ করে সোমবার সন্ধ্যায় প্রযোজকদের তরফে এক প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই বিবৃতিতে প্রযোজকরা দাবি করেন,গত ১৫ অগস্ট ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় কলাকুশলীদের বকেয়া বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু তা যে মিটিয়ে দেওয়া হবে এ কথা ই-মেল মারফৎ প্রত্যেককে জানানো হয়েছে। তার পরও শনিবার থেকে শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম। এতে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন প্রযোজকেরা।
প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘আবারও বলছি, আর্টিস্টরা কাজ বন্ধ করেননি। জানেন, অনেক প্রযোজক এক-দেড় বছর টিডিএস জমা দেননি। এটা কোন আইনের মধ্যে পড়ে? এটা তো অন্যায়। শিল্পী তো তার বেনিফিট পাচ্ছে না। এগুলোই তো কথা বলার জায়গা। কিন্তু ওঁরা মিটিং থেকে বেরিয়ে গিয়ে সব কাজ বন্ধ করে দিলেন। আমাদের একটাই কথা, কাজটা শুরু করে দিন। আমরা তার পর দিনরাত আলোচনায় বসব।’’ গত ৭ জুলাই একটি চুক্তিপত্রে সই হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। যেখানে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও প্রযোজকরা সেই চুক্তিপত্রে সই করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে। কিন্তু প্রযোজকদের দাবি, ওই চুক্তিপত্র তাঁরা মানেন না। তাঁদের যুক্তি, কোনও স্ট্যাম্প পেপারে ওই চুক্তিপত্রে সই হয়নি।
প্রসেনজিত্ বলেন, ‘‘একটা জায়গায় সই করা মানে আমরা ওটাকে মিনিটস বলি। ইন্ডাস্ট্রিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে কারণে মাননীয় মন্ত্রী দুটো বডি তৈরি করেছেন। একটা সিনেমার, অন্যটা টেলিভিশনের জন্য। কোনও সমস্যার সমাধান না হলে সংশ্লিষ্ট বডি উদ্যোগী হয়। এর আগে প্রচুর মিটিং হয়েছে। মিনিটসে যখন সই করছি, আমরা ধরে নিতে পারি, পরের স্টেপটা হবে একটা এগ্রিমেন্ট। এমওইউ হবে। দু’পক্ষ মেনে নিলাম, কাজটা শুরু হোক, তার পর ফর্মালিটি হবে। কিন্তু ওঁরা তো সেটাই মানছেন না।’’
শেষ পর্যন্ত সমাধান সূত্র কি আদৌ বেরবে? তার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করবেন সকলে? সত্যিই কি যুযুধান দু’পক্ষ একসঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসবেন? প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘কোনও শর্ত না রেখে কাজটা শুরু করতে চাই আমরা। বাকি যেগুলো সমস্যার জায়গা সেগুলো একটা একটা করে মেটাই, তার জন্য হয়তো দু’তিন সপ্তাহ সময় নেব।আমরা এক টেবিলে বসতে রাজি, কিন্তু কোনও শর্ত না মেনে ওঁরা বসতে রাজি কি?’’
ছবি সৌজন্যঃ আনন্দ বাজার
ছবি সৌজন্যঃ আনন্দ বাজার

No comments