স্বাধীনতা! কি পেলাম,কি পেলাম না৷
অরুনাভ সেনঃ স্বাধীনতা নিয়ে কিছু বলতে গেলেই হৃদয়ের গভীরে নিশ্চয়ই ভেসে উঠবে পাটিগনিতের অমোঘ কিছু হিসেব কি পেয়েছি,আর কি পেলাম না!কঠিন অঙ্ক, অনেক কিছু পাওয়া উচিৎ ছিলো,অনেক কিছু পাইনি হিসেবটা কষতে বসলে মনটা ভারাক্রান্ত হতেই হবে৷কারন স্বাধীনতা শুধু ইংরেজ শাসনের নাগপাশ থেকে ছিন্ন হওয়ার নয় বরং অনেক নতুন স্বপ্নের জন্ম,তাকে রূপায়নের পরিকল্পনা,অনেক মানুষের ভালোর জন্য ভালো কিছু করা৷এই সত্তর বছরে কতটা এগিয়েছি আমরা,কতটা এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো এর চুলচেরা বিশ্লেষন করা হলে নিশ্চিত বিষন্নতা গ্রাস করবে মানুষের মনে,যতটা প্রত্যাশিত ছিলো,যতটা স্বপ্ন আমরা স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে দেখেছিলাম,দেখলাম তার রূপায়নে ব্যর্থতা৷আসল ধোঁয়াসা আমাদের চাহিদায় ঠিক কি চাই আমরা?অনেকে অনেক উত্তর দেন,শিক্ষার অধিকার চাই,স্বাস্থ্যের অধিকার চাই,বেকারের চাকরি চাই৷
আসলে চাই একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা,যেখানে প্রতিটি মানুষ শিক্ষিত হতে পারবেন,কেবল শিক্ষার প্রসার নয় তার গুনগত উৎকর্ষতারও উন্নতি৷আছে জনস্বাস্থ্য সেখানে সরকারের ব্যয় বরাদ্দ অতীব অপ্রতুল৷দেশ দীর্ঘদিন শাসন করেছে কংগ্রেস তারা ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য কে মাথায় রেখে চেষ্টা করেছে দেশকে শক্তিশালী করতে,কিন্তু তারাও বোধহয় সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি শক্তিশালী দেশ গড়তে ঠিক কি ধরনের উন্নয়নের প্রয়োজন আছে!৪৭টু ১৮অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েও কেন আমাদের মধ্যে এখনো অনেক না পাওয়ার বেদনা কুড়ে,কুড়ে খায়? ভারতের গনতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে,কিন্তু মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান হয়নি,স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও ভারত এখণ আর দরিদ্র্য,অনুন্নত দেশ নয়,কিন্তু আমাদের সব উন্নয়ন হয়নি,আসলে আমাদের ভাবতে হবে আগামীদিনে কিভাবে চলবো,কংগ্রেসী জমানা অতীত,দেশ শাসনের ভার বিজেপির হাতে,
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্রেফ মেরুকরনের রাজণীতিতে মদত দেওয়াই নয়,সাম্প্রতিক সময়ে নোটবন্দির মত ভুল সিদ্ধান্ত বুম্যেরাং হয়ে ফিরেছে,যার খেসারাত দিলেন কোটি,কোটি ভারতীয়,অসংগঠিত ক্ষেত্র ছিন্ন ভিন্ন হল,অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন,জিএসটি চালু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোমর ভাঙা হচ্ছে,ভারতীয় অর্থনীতি আকারে বাড়লেও এমআইসের সুদ নিয়মিত কমছে, যারা এমআইএসের ভরসায় সংসার চালান তাদের কপালে ভাঁজ দ্বিগুন হচ্ছে,তাদের ভাবতে হচ্ছে এভাবে লাগাতার সুদ কমলে আগামীদিনে তাদের সংসার আদৌ চলবে তো?গ্যাসের ভর্তুকি উঠে যাবে আগামীদিনে কিভাবে বাঁচবেন সাধারন মানুষ,নাকি স্রেফ মিথ্যা প্রচার আর ভুয়ো আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে একের পর এক ভোটের বৈতরণী পার করবে বিজেপি?
আসলে প্রয়োজন শিক্ষার প্রসার,তার উৎকর্ষতার উন্নতি,তবেই দেশের মানুষ বুঝতে পারেন সহজে তাদের জন্য সরকারের ঘোষিত নীতি আদৌ তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে হবে, নাকি স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও সরকারের নীতি রক্ষা করবে সেই শিল্পপতি গোষ্ঠীর স্বার্থ যারা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়,অথচ যারা বিপুল অর্থ আর সম্পদের মালিক!সেইজন্য দেশে শিক্ষার প্রসার জরুরী, সমান্তরাল ভাবে উৎকর্ষতার উন্নতি জরুরী,দেশের সেই মানুষগুলো যেন ভাবতে পারেন স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি,উন্নতি কিছু হয়েছে,আরো চাই আগামী দিনে দেশ কেমন হবে তার রূপরেখা এখণই তৈরী করা হোক,দেশকে গড়ে তোলা হোক পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে৷
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্রেফ মেরুকরনের রাজণীতিতে মদত দেওয়াই নয়,সাম্প্রতিক সময়ে নোটবন্দির মত ভুল সিদ্ধান্ত বুম্যেরাং হয়ে ফিরেছে,যার খেসারাত দিলেন কোটি,কোটি ভারতীয়,অসংগঠিত ক্ষেত্র ছিন্ন ভিন্ন হল,অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন,জিএসটি চালু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোমর ভাঙা হচ্ছে,ভারতীয় অর্থনীতি আকারে বাড়লেও এমআইসের সুদ নিয়মিত কমছে, যারা এমআইএসের ভরসায় সংসার চালান তাদের কপালে ভাঁজ দ্বিগুন হচ্ছে,তাদের ভাবতে হচ্ছে এভাবে লাগাতার সুদ কমলে আগামীদিনে তাদের সংসার আদৌ চলবে তো?গ্যাসের ভর্তুকি উঠে যাবে আগামীদিনে কিভাবে বাঁচবেন সাধারন মানুষ,নাকি স্রেফ মিথ্যা প্রচার আর ভুয়ো আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে একের পর এক ভোটের বৈতরণী পার করবে বিজেপি?
আসলে প্রয়োজন শিক্ষার প্রসার,তার উৎকর্ষতার উন্নতি,তবেই দেশের মানুষ বুঝতে পারেন সহজে তাদের জন্য সরকারের ঘোষিত নীতি আদৌ তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে হবে, নাকি স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও সরকারের নীতি রক্ষা করবে সেই শিল্পপতি গোষ্ঠীর স্বার্থ যারা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়,অথচ যারা বিপুল অর্থ আর সম্পদের মালিক!সেইজন্য দেশে শিক্ষার প্রসার জরুরী, সমান্তরাল ভাবে উৎকর্ষতার উন্নতি জরুরী,দেশের সেই মানুষগুলো যেন ভাবতে পারেন স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি,উন্নতি কিছু হয়েছে,আরো চাই আগামী দিনে দেশ কেমন হবে তার রূপরেখা এখণই তৈরী করা হোক,দেশকে গড়ে তোলা হোক পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে৷

No comments