Header Ads

এটা সরকারি স্বাস্থ কেন্দ্র না পরিত্যক্ত বাড়ি? দেখুন তো!

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোলঃ পুরসভার অন্তর্গত ৯৭নং ওয়ার্ডে ডিহিকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না৷জীর্ণ প্রায় অবস্থায় কোনো রকমে টিকে আছে দুটি ঘর৷ সেখানে বসেই স্বাস্থকর্মীরা তাদের কাজ করে যাচ্ছেন৷যদিও কাজ বলতে একপ্রকার বসে থাকাই৷

এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাকি ঘরগুলি ইতিমধ্যেই জীর্ণ হয়ে ধ্বসে গেছে,তথবা পরিত্যক্ত হয়েছে৷চারিদিকে ঝোপ-জঙ্গলে ঘিরে ধরেছে রাস্তা ৷কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানালেন না আছে টয়লেটের ব্যবস্থা,না আছে বিদ্যুত সংযোগ, না আছে ওষুধ সংরক্ষনের জন্যে কোনো ফ্রীজ বা রেফ্রিজারেশনের ব্যবস্থা৷আছে বলতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত একজন আর আই ও,একজন স্টাফ নার্স,একজন হেল্থ এসিস্ট্যান্ট (মহিলা)ও একজন কেয়ারটেকার ৷কিন্তু তারা যে ঘরগুলিতে বসে কাজ করছে,সেখানে বর্ষায় জল চুঁইয়ে পড়ে সর্বত্র৷

স্বাস্থ্যকর্মীরা জানালেন রোগী আসলে এখনো সমস্যা শুনে ওষুধ দেওয়া হয় ৷ প্রতিদিন দশ-বারোজন রোগীও আসে ৷তবে তারা বেশিরভাগই চোখের সমস্যা নিয়ে ৷এছাড়াও সন্তান সম্ভবা মায়েদের নিয়মিত এফ এস বড়ি আয়রণ ট্যাবলেট দেওয়া,ওজন করানো এবং ইমুনাইজেশনের কাজ করা হয় ৷অথচ একসময় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর করতো ডিহিকা বিদ্যানন্দপুর ধেনুয়া অঞ্চলের মানুষেরা৷

স্থানীয়দের দাবি এখন আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা ঠিক মতো পাওয়া যায়না৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো আসে যায় ৷আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির কথা স্বীকার করলেন৷ জানালেন সিএম ও এইচকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷খুব শিগগিরি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.