Header Ads

অভিষেকের মদন বিরোধীতার কারণ কি? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।

নজরবন্দি ব্যুরো: স্বাধীনতার পর সারদা আর্থিক তছরূপ কান্ড যা এই রজ্যের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় আর্থিক দুর্নীতি। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন কেন দু-দিন আগে এক জনসভাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের আর এক হেভে-ওয়েট নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা মদন এবং অভিষেকের সম্পর্কের ভিত অনেক দিন আগেই নড়বড়ে হয়ে গিয়ে ছিল। নিন্দুকেরা বলেন, যখন মদন মিত্র সারদা সম্পর্কিত মামলাতে জেলে ছিলেন, অভিষেক নাকি দলের মধ্যে মদন মিত্রের জামিন পাওয়ার বিরোধীতা করতেন।

আর তাঁর বিরোধিতার জন্যেই নাকি মদন মিত্রকে বেশিদিন জেলের মধ্যে থাকতে হয়েছে। তবে এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন অভিষেক এতটা মদন বিরোধী? তৃণমূল সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে অভিষেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা তাঁর প্রাপ্য সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে বাজারে কিছু খবর ছড়ায়। অভিষেক ঘনিষ্ঠ দের অভিযোগ, অভিষেকের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সব খবর একমাত্র জানতেন দলের একমাত্র নেতা মদন মিত্র। এবং মদন বাবুই এই খবর বাজারে সুকৌশলে ছড়িয়ে দেয়। আর তার জেরেই মদনের উপর খাপ্পা অভিষেক।

উল্লেখ্য, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সহ আরও কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে শুক্রবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন তৃণমূলের একাধিক নেতে- নেত্রীরা। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সারদা কাণ্ডে সাধারণ মানুষের দু-হাজার কোটি টাকা মেরে মন্ত্রী মদন মিত্র যদি তিন বছর জেলে থাকতে পারেন, তা হলে বিজয় মালিয়া ১০ এবং নীরব মোদীর ১৪ হাজার কোটি টাকা মেরে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপির মন্ত্রী ও নেতারা কেন জেল খাটবে না? আরএই ধরনের প্রশ্ন সাধারণ মানুষ তুলছেন বলেও উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওই দিন অভিষেক যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন তাঁর পাশে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। তাঁরা তখন চুপ করে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্যের বিষয়ে মদন মিত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়কে ‘‘স্লিপ অফ টাঙ ’’ বলে এড়িয়ে জান। যদিও পরে ফেসবুক থেকে লাইভ করে নিজের উত্তর দেন। মদন বাবু ফেসবুক লাইভ থেকে তিনি বলেন “অভিষেক কী বলেছেন তার সাফাই আমি দেব না।” অভিষেক কে কার্যত দলের সেনাপতি বাতলে তার সংযোজন “অভিষেক দলের প্রধান সেনাপতি। নেত্রীর নেতা হিসেবে অভিষেকের অভিষেক হয়ে গিয়েছে। ও আমার পরিবারের একজন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক, লতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা যদি পাশে না থাকতেন তাহলে কি রাস্তায় দাঁডিয়ে মিটিং করতে পারতাম?” সারদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন যেহেতু মামলা কোর্টে বিচারাধীন তাই তিনি কোন মন্তব্য করবেন না। কোর্ট যা রায় দেবে তা মুখ বুজে মেনে নেবেন। অন্যদিকে তার ইচ্ছে কামারহাটি থেকে পুনরায় প্রার্থী হওয়ার। তার চ্যালেঞ্জ “কামারহাটি থেকে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতব। যদি না পারি তাহলে মাথা মুড়িয়ে তিরুপতিতে দিয়ে আসব।”

তবে অভিষেক মদন মিত্রের নামে এই অভিযোগ করার পরে অভিষেকের মদন বিরোধীতার কারণ যে প্রকাশ্যে চলে আসবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি?
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.