রাজ্যে হবু শিক্ষকদের বেহাল অবস্থা! পাশাপাশি সরকারের পাইয়ে দেওয়া রাজনীতির নির্লজ্জ চিত্র।
বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সেই সব হবু মাস্টারদের। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে কোন আশার খবর শোনাতে পারেনি রাজ্য সরকার। উল্টে নির্বাচনের আগে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। নির্বাচন মিঠে যেতেই সব প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যায় রাজ্য সরকার। আবার, উল্টো দিকে শাসক দলের সংগঠন ধরে রাখতে ঊষরমুক্তি যোজনা শুরু করল রাজ্য সরকার।
সেচের জল ধরে রাখতে ‘ঊষরমুক্তি’ যোজনার কাজ তদারকিরর জন্য রাজ্যের ছয় জেলায় ধারাসেবক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। ছ’টি জেলায় প্রায়১১ হাজারের বেশি ধারাসেবক নিয়োগ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ছ’টি জেলার প্রতিটি সংসদে একজন করে ধারাসেবক থাকবেন।
১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজাররা এই কাজে বিশেষ গুরুত্ব পাবেন। ঊষরমুক্তি প্রকল্পের কাজ দেখাশোনা করার জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে সরকারের খরচাতে। ছ’টি জেলার কিছু ব্লকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও বেশিরভাগ এলাকায় কাজ এখনও শুরু হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে যেতেই ওই এলাকাগুলিতে নিয়োগের উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে মোট এই নিয়ে মোট ১১ হাজার ৩৭৫ জন এই পদে নিয়োগ করা হবে। এই জেলাগুলিতে মোট গ্রাম সংসদের সমসংখ্যক ধারাসেবক নিয়োগ হবে। অর্থাৎ যতজন পঞ্চায়েত সদস্য ততজনই ধারাসেবক থাকবেন। পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া হবে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা থেকে। এর ফলে ধারাসেবকরা মাসে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পেতে পারেন। মূলত চাষের উন্নতির জন্যই এই উদ্যোগ সরকারের।
এখন প্রশ্ন উঠছে যখন রাজ্যের স্কুল গুলি শিক্ষকের অভাবে ভুগছে, তখন শিক্ষক নিয়োগের কথা ভুলে গিয়ে রাজ্য সরকার অন্য কাজে উদ্যোগ নিচ্ছে। যা খুব লজ্জার। এমন ভাবেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এক হবু মাস্টার।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই