Header Ads

রাজকুমার বাবুর শেষযাত্রা, ছোট্ট ছেলেটা মা কে প্রশ্ন করল "ভোট তো হয়ে গেছে বাবা কখন ফিরবে?"

অর্ক সানা, সম্পাদকঃ ইটাহারে ভোট নিতে যাওয়া করনদিঘি হাই মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষক রাজকুমার রায় নিখোঁজের পর রায়গঞ্জের রেললাইনের ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার। প্রশাসন চেষ্টা করে রাজকুমার বাবুর মৃত্যুকে আত্মহত্যার নাম দেওয়ার। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমগ্র রাজ্য জুড়ে শিক্ষক রা। ভোট গননা হওয়ার আগের দিন শিক্ষক এবং ভোট কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ। রাজকুমার বাবুর মৃত্যুর ক্ষতিপুরন দেওয়ার দাবির পাশাপাশি কিভাবে তার মৃত্যু হল তার পুর্নাঙ্গ তদন্তের দাবী তোলেন শিক্ষক রা। বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে শিক্ষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি এবং নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা করেন এই ঘটনার। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিনহা এক বিবৃতিতে বলেন যে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।

রাজ্য কিছু ক্ষতিপুরন ঘোষণা করে অবশেষে। আর্থিক ক্ষতিপূরনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজকুমার বাবুর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার উপর শিক্ষক রাজকুমারের স্ত্রীর চাকরি পাওয়া নির্ভর করেনা।  সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গিয়েছিলেন রাজকুমার বাবু পেশায় ছিলেন শিক্ষক এবং কর্মরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী না ঘোষনা করলেও চাকরি এমনিতেই পেতেন তার স্ত্রী!

কিন্তু বাবা হারানো ছোট্ট ছেলে-মেয়েটার যে ক্ষতি হল তা কি পূরন করা সম্ভব? আজ রাজকুমার বাবুর শেষ যাত্রা সম্পন্ন হল! রাজকুমার বাবুর স্ত্রী জানালেন  ছোট্ট ছেলেটা এখনো প্রশ্ন করছে "ভোট তো হয়ে গেছে বাবা কখন ফিরবে?" আমি কি উত্তর দেব! আর্তনাদ করে ডুকরে কেঁদে উঠলেন ভোট যুদ্ধে রেফারির কাজ করতে শেষবারের মত বাড়ি থেকে যাওয়া শিক্ষকের স্ত্রী!

কি উত্তর দেবে প্রশাসন? কেমন ছিল নিরাপত্তার বহর? সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে যদি ভোটের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয় তাহলে নেতা, মন্ত্রীদের নিরাপত্তা বলয় এবার থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে মুড়ে ফেলা হোক, পুলিশ বা নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে নয়! তাহলে তো সরকারের অনেক টাকা বাঁচবে! সেই টাকায় হবে আরও উন্নয়ন।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.