Header Ads

গোটা রাজ্যে নির্বিঘ্নেই চললো 'সন্ত্রাসের ভোট'! দেখুন বিস্তারিত খতিয়ান।

নজরবন্দি, বালুরঘাটঃ দিন ভর অবাধে ছাপ্পা ভোট আর সন্ত্রাস চালিয়ে শাসক দল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত দাপিয়ে ভোট করলেও দিনের শেষে জেলা প্রশাসনের দাবি অবাধ ও শান্তিতেই ভোট চলেছে জেলায়। যদিও গতকাল রাতে তপনের গুড়াইলে এক তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। মৃতের নাম ময়রুদ্দিন মোল্লা।
অভিযোগ, বোম নিয়ে এলাকায় দখলদারি চালাতে গিয়ে বোমা ফেটে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের দাবির কথা শুনে বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের দাবি, বোমা গুলি আর সন্ত্রাস চালানো যদি অবাধ আর শান্তিপুর্ন হয় তবে সে শান্তি শ্মশানের শান্তিকেও হার মানিয়ে ছাড়বে। বিরোধীদের অভিযোগ নির্বাচনের নামে পুলিশকে দাড় করিয়ে রেখে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে শাসক দল। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, বিরোধী জোটকে উচিত জবাব দিতে মানুষ উন্নয়নকে সমর্থন জানিয়ে উৎসবের পরিবেশে জেলায় ভোট দিতে এগিয়ে এসেছে।

এদিকে ভোট দেওয়ার সময়সীমা বিকেল পাচটা হলেও অনেক এলাকার বুথ গুলির সামনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ত্রিস্তর নির্বাচন হওয়ার দরুন ভোটারদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। সে জন্য ঘন্টায় ৩০ থেকে ৩৫ টির বেশি ভোট দান সম্ভব হচ্ছে না।

অপরদিকে শাসক দলের অবাধ সন্ত্রাস চালিয়ে বুথ দখল করে ভোট দেওয়া রুখতে তপনের ব্রজপুকুরে তৃণমূল প্রার্থীকে মারধোর চালিয়ে ভোট বাক্স ছিনতাই করে পুকুরে ছুড়ে ফেলল আরএসপি দলের মহিলা প্রার্থী। খবর পেয়ে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স গুলি উদ্ধার করে। যদিও দীর্ঘক্ষণ ভোট বন্ধ থাকে ওই এলাকার দুটি বুথে।

দুপুরে বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকার মাঝিয়ানে কৃষি বিদ্যালয়ের ভিতর অবস্থিত একটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদে পতিরামে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি ও সিপিআইএম সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানা থেকে পুলিশ গিয়ে লাঠি চার্জ করে অবরোধ উঠিয়ে দেয়। বংশীহারির এলাহাবাদ জিপির ঢিটাইলে এসএসকে কেন্দ্রে ১৫১ বুথে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে ভোট।

অন্যদিকে বালুরঘাটের বোয়ালদার এলাকার একটি বুথে দুষ্কৃতী দল সেক্টর অফিসার সেজে এসে ছাপ্পা ভোট দিতে এলে এলাকার লোকের প্রতিবাদের মুখে পড়ে গাড়ি ফেলে পালায়।

হরিরামপুর ব্লক গতকাল রাত থেকেই ঘিরে ফেলে জেলা তৃনমুলের সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজন, অভিযোগ। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তারা। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ, ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বেলা তিনটে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.