Header Ads

পশ্চিমবঙ্গের লাল মাটি থেকে তবে কি সুশান্ত পর্বের অবসান!!আশঙ্কা প্রবল।

নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী প্রাক্তন সদস্য দীপক সরকার ছেঁটে ফেলার পরই যে তার পালা এটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন সুশান্ত ঘোষ।এই কারণে হয়তো দলের সঙ্গে দুরুত্বও বাড়ছিল,আর সবকিছু অবসান ঘটিয়ে এটাই সত্যি হলো ,জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে কার্যত সরিয়ে    দেওয়া হলো একসময় বামফ্রন্ট এর দাপুটে কমরেড সুশান্ত ঘোষ কে।

টানা ১০ বছর অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন তিনি। জেলা ভাগ হওয়ার পর ৮ বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পদে ছিলেন।অনেক মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিয়েও পূর্ণ দণ্ডের মতো স্থির ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হলো না,বাদ পড়লেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামসভার আসনে সিপিএমের কোনও প্রার্থী না থাকায় ভোট দিতে আসেননি গড়বেতায়। ১৯৯৮ সালে কেশপুর–‌গড়বেতায় তৃণমূল কে প্রতিহত করে ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তার দুই সহযোগী তপন, শুকুর কে নিয়ে একই চাঙ্গা করে রেখেছিলেন গড়বেতার মাটি।

প্রসঙ্গত, সুশান্ত ঘোষের মতো দাপুটে নেতাদের পদে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই দলের রাজ্য থেকে জেলা–‌স্তরে আলোচনা, বিতণ্ডা চলছিল।

পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে সিপিআইএম প্রার্থী থাকলেও, গ্রাম–‌পঞ্চায়েত আসনে কেন প্রার্থী দেওয়া হয়নি, এই অভিমানে নিজের বুথে ভোট দিতেও আসেননি সুশান্ত ঘোষ। এর পর থেকেই তাকে পদ থেকে সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শনি ও রবিবার সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিমান বসুর উপস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এ বিষয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিআইএমের নতুন ১৬ জনের জেলা কমিটিতে শেষমেশ জায়গা হলো না সুশান্ত ঘোষ এর।

তবে এদিন সুশান্ত ঘোষ বললেন, ‘‌দলের নেতাদের জিজ্ঞেস করুন আমাকে কেন বাদ দেওয়া হল।’

সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‌উনি দীর্ঘ দিন জেলায় আসতে পারছেন না। দলের কোনও কর্মসূচিতেও যোগ দিতে পারছেন না। তাই বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার যখন আগের মতো দলের সব কর্মসূচিতে তাকে পাওয়া যাবে, পদ ফিরে পাবেন।’‌‌‌‌
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.