নজরবন্দি ব্যুরো: বিশ্বভারতী পা রেখে তিনি আপ্লুত অতিথি হয়ে নয় তিনি এসেছেন আচার্য্য হয়ে এই বলে শান্তিনিকেতনের হৃদয় ছুঁয়ে গেলেন।
তাই শুরুটা করলেন আদ আদ বাংলায়। নিজের আবেগকে বাংলা ভাষাতেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিশ্বভারতীতে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেন । আচার্য হিসেবে সে দায় নিজের কাঁধেই নিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শান্তিনিকেতনে আসার পথে দেখলাম অনেকেই রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে বলার চেষ্টা করছেন। পানীয় জল নেই। যা দেখে আমার খারাপ লাগছে। আচার্য হিসেবে এই দায় আমিই নিচ্ছি।’ এরপরই মোদি বলেন, ‘অতিথি নয়। আচার্য হিসেবে বিশ্বভারতীতে এসেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে আসতে পেরে আমি গর্বিত। বিভিন্ন দেশে আজও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভীষণ প্রাসঙ্গিক।’
২০২১ সালে বিশ্বভারতীর ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘হাতে আর ৩ বছর রয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বভারতীর ১০০ বছর পূর্তি। তার মধ্যে ১০০ গ্রামকে স্বনির্ভর করে তুলুন। ছাত্রছাত্রীরাই এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিন।’
প্রসঙ্গত আজ বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোন মন্তব্য নেই