"রাজনীতিতে এখন লুম্পেনদের নেতৃত্ব চলছে, মমতার পরিণতি হবে হিটলারের মত"
তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কর্নাটক যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কর্ণাটক যাচ্ছেন। খুব ভালো কথা। তিনি বলেছেন, কর্ণাটকে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। কিন্তু বাংলায় কী চলছে, সাম্প্রতিক নির্বাচনে কী হয়েছে, সে কথা কি মুখ্যমন্ত্রী বলবেন কর্ণাটকে গিয়ে? কর্ণাটকে অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আমন্ত্রিত। তাঁদের সামনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আপনি কি মুখ খুলতে পারবেন, গণতন্ত্র নিয়ে। বলতে পারবেন, যে আমার রাজ্যেও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।? সুজন আরও বলেন, "রাজনীতিতে এখন লুম্পেনদের নেতৃত্ব চলছে। লুম্পেনদের মাথায় রয়েছে শাসকদলের হাত রয়েছে। সেইসঙ্গে আছে পুলিশের বরাভয়।"
কর্নাটক প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিজেপি ১১৪ টি আসনে এগিয়ে গেছে শুনে তড়িঘড়ি বিজেপি কে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কংগ্রেসের কি করা উচিত তা নিয়েও দেন পরামর্শ। কিছুক্ষন পরে যখন দেখা যায় বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি তখন আবার জেডিএস নেতাদের ফোন করে বলেন কংগ্রেস কে সমর্থন করতে!
এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায় কে। তিনি নিজের ব্যাক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে লিখেছিলেন " কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি, ১৫ তারিখে যখন কর্নাটকে ভোটগননায বিজেপি লিড করছিল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। বিজেপির জন্য শুভেচ্ছা আর আমাদের জন্য জ্ঞান! যাই হোক, নেত্রী যাবেন বেনগুলুরু, সেখানে কংগেস নেতৃত্বের পাশাপাশি সীতারাম ইযুচেরী ও ডি রাজার সঙ্গেও দেখা হবে। সমস্যা হল, সবাই যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে “সাফল্য” র জন্য অভিনন্দন জানায়!"
বাম-কংগ্রেস জোট যে অবধারিত তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ওমপ্রকাশ মিশ্রের আর একটি পোষ্টে, তিনি লিখেছেন " কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিআইএমের ভালো বোঝাপড়া রয়েছে" অন্যদিকে সীতারামের কারণে পিছিয়ে গেছে কর্নাটকের শপথ গ্রহন। ২০১৯ বার্তা স্পষ্ট নয়কি?
Loading...
কোন মন্তব্য নেই