সব জায়গায় কিন্তু উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিলনা! একটু ভেবে দেখবেন 'কমরেড'!
অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): একটু পিছিয়ে যেতে হয়, সময়টা ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূল সাইক্লোন সামলে বামেরা যে কয়েকটি হাতে গোনা গ্রাম পঞ্চায়েত জিতে ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল হাওড়া জেলার শ্যামপুর বিধানসভার অন্তর্গত বানেশ্বরপুর ১ এবং বানেশ্বরপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত।
চারিদিকে সবুজের সমারোহের মাঝে লাল পলাশ ফুটেছিল এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে। বলে রাখা ভাল শ্যামপুর বিধানসভা এমন একটা কেন্দ্র যেখানকার বিধায়কের মত নিরীহ, ভদ্রলোক এবং ভালোমানুষ বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের আর একজনও নেই! একটা উদাহরণ দেওয়া যায় প্রশ্ন সহ, ৪ বার টানা জেতা তৃণমূলের এমএলএ যিনি বাসে চড়ে ঘোরেন, বিকেলে সাদামাটা ধুতি পাঞ্জাবীতে চায়ের দোকানে সবার সঙ্গে বসে আড্ডা দেন! এমন কেউ আছেন? কালীপদ মণ্ডল তৃণমূলে এসেছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে। সে যাই হোক শ্যামপুর এখনো পর্যন্ত ভোট সন্ত্রাস কাকে বলে জানেনা।
এবার ফেরা যাক এই নির্বাচনে, ভাবতে পারেন ওই পলাশ ফোটা গ্রাম পঞ্চায়েত দুটোয় এবার বামেরা প্রার্থী দিতে পারেনি ৮০% আসনে! না উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিলনা। কোন সন্ত্রাস নেই। আসলে বামেরাই রাম হয়ে প্রার্থী হয়েছে বিজেপি-র! কয়েক জনের সাথে কথা হল। কেন এমন করলেন, বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে? এমন একজনও নেই যিনি বললেন বিজেপির আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তিনি বামের তলায় ফুঁটকি দিয়ে রাম হয়েছেন। তাহলে? উত্তর এল তৃণমূল কে হারাতে হবে তাই বিজেপি হয়েছি। "সিপিআইএম নেতারা বড্ড দুর্বল কিন্তু শুধু জ্ঞান দেয়"! "বিপদে আসেনা নেতৃত্ব"! প্রশ্ন করলাম তৃণমূল তো হেরেই ছিল এখানে, কোন সন্ত্রাসও নেই তাহলে? উত্তর, "সিপিআইএম এখানে অনেক যোগ্য যুবক ছেলেদের পার্টি সদস্য করেনি, কোন পদ দেয়নি, সদস্য পদ দিলে বড়জোর এজি মেম্বার"! "কিন্তু নির্দেশ দিতে ভোলেনা নেতৃত্ব। এখানে বিজেপি ছিলনা তাই আমরা বিজেপি হয়েছি, নিজেরা কাজ করব বলে"!
কিন্তু ভোটের অঙ্কটা কেমন? বাম ভোট ভেঙে খান খান আর তৃণমূলের ব্যাবধান বৃদ্ধি। এইবার পলাশ ফোঁটা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত সবুজ হতে অপেক্ষা মাত্র কয়েক দিনের। বাম থেকে রামে গিয়ে তৃণমূল কেই সুবিধা করে দিয়েছে বামেরা। রাজ্যে ৫৮০০০ বুথ, ১৯০০০ এ প্রার্থী দিতে পেরেছে বাম আর ২৭০০০ রাম। যোগ করলে হয় ৪৬০০০! যদিও এটা যোগফল,জোটফল নয়। বিজেপি কোথায় এরাজ্যে? সবই তো ভাঙা বাম। তৃণমূল ছেড়ে কতজন কর্মী বিজেপি তে গেছেন? একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন কমরেড, সব জায়গায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিলনা কিন্তু! অন্তত শ্যামপুরে ছিলনা!!! অন্যদিকে দিনভোর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যারা উন্নয়ন সেজে দাঁড়িয়ে ছিল, মহিলাদের শাড়ি ধরে টানছিল। গনতন্ত্রকে গনধর্ষন করছিল যারা তাদের উদ্দেশ্যে একরাশ ঘৃণা, ধিক্কার সহ হতাশা, হায় সব এলাকা কেন শ্যামপুর হলনা!
চারিদিকে সবুজের সমারোহের মাঝে লাল পলাশ ফুটেছিল এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে। বলে রাখা ভাল শ্যামপুর বিধানসভা এমন একটা কেন্দ্র যেখানকার বিধায়কের মত নিরীহ, ভদ্রলোক এবং ভালোমানুষ বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের আর একজনও নেই! একটা উদাহরণ দেওয়া যায় প্রশ্ন সহ, ৪ বার টানা জেতা তৃণমূলের এমএলএ যিনি বাসে চড়ে ঘোরেন, বিকেলে সাদামাটা ধুতি পাঞ্জাবীতে চায়ের দোকানে সবার সঙ্গে বসে আড্ডা দেন! এমন কেউ আছেন? কালীপদ মণ্ডল তৃণমূলে এসেছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে। সে যাই হোক শ্যামপুর এখনো পর্যন্ত ভোট সন্ত্রাস কাকে বলে জানেনা।
এবার ফেরা যাক এই নির্বাচনে, ভাবতে পারেন ওই পলাশ ফোটা গ্রাম পঞ্চায়েত দুটোয় এবার বামেরা প্রার্থী দিতে পারেনি ৮০% আসনে! না উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিলনা। কোন সন্ত্রাস নেই। আসলে বামেরাই রাম হয়ে প্রার্থী হয়েছে বিজেপি-র! কয়েক জনের সাথে কথা হল। কেন এমন করলেন, বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে? এমন একজনও নেই যিনি বললেন বিজেপির আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তিনি বামের তলায় ফুঁটকি দিয়ে রাম হয়েছেন। তাহলে? উত্তর এল তৃণমূল কে হারাতে হবে তাই বিজেপি হয়েছি। "সিপিআইএম নেতারা বড্ড দুর্বল কিন্তু শুধু জ্ঞান দেয়"! "বিপদে আসেনা নেতৃত্ব"! প্রশ্ন করলাম তৃণমূল তো হেরেই ছিল এখানে, কোন সন্ত্রাসও নেই তাহলে? উত্তর, "সিপিআইএম এখানে অনেক যোগ্য যুবক ছেলেদের পার্টি সদস্য করেনি, কোন পদ দেয়নি, সদস্য পদ দিলে বড়জোর এজি মেম্বার"! "কিন্তু নির্দেশ দিতে ভোলেনা নেতৃত্ব। এখানে বিজেপি ছিলনা তাই আমরা বিজেপি হয়েছি, নিজেরা কাজ করব বলে"!
কিন্তু ভোটের অঙ্কটা কেমন? বাম ভোট ভেঙে খান খান আর তৃণমূলের ব্যাবধান বৃদ্ধি। এইবার পলাশ ফোঁটা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত সবুজ হতে অপেক্ষা মাত্র কয়েক দিনের। বাম থেকে রামে গিয়ে তৃণমূল কেই সুবিধা করে দিয়েছে বামেরা। রাজ্যে ৫৮০০০ বুথ, ১৯০০০ এ প্রার্থী দিতে পেরেছে বাম আর ২৭০০০ রাম। যোগ করলে হয় ৪৬০০০! যদিও এটা যোগফল,জোটফল নয়। বিজেপি কোথায় এরাজ্যে? সবই তো ভাঙা বাম। তৃণমূল ছেড়ে কতজন কর্মী বিজেপি তে গেছেন? একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন কমরেড, সব জায়গায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিলনা কিন্তু! অন্তত শ্যামপুরে ছিলনা!!! অন্যদিকে দিনভোর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যারা উন্নয়ন সেজে দাঁড়িয়ে ছিল, মহিলাদের শাড়ি ধরে টানছিল। গনতন্ত্রকে গনধর্ষন করছিল যারা তাদের উদ্দেশ্যে একরাশ ঘৃণা, ধিক্কার সহ হতাশা, হায় সব এলাকা কেন শ্যামপুর হলনা!
Loading...
কোন মন্তব্য নেই