সরকারের আশ্বাস! তবু শিক্ষকদের বেতন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে সভা!
এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিফায়েড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ শিক্ষক। সংগঠনের পক্ষে অসীম সরকার বলেন, “গোটা দেশে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের পে ব্যান্ড ৯৪০০ থেকে ৩৪০০০ হাজার টাকা।
শিক্ষকদের গ্রেড পে ৪২০০ টাকা। অথচ এই রাজ্যে একই যোগ্যতায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের পে ব্যান্ড ৫৪০০ থেকে ২৫২০০ টাকা। এখানে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের গ্রেড পে মাত্র ২৬০০ টাকা। আমরা এই বঞ্চনার প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি”। যদিও বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “ এটা শিক্ষা দফতরের বিষয়। শিক্ষা দফতর আমাদের যেভাবে নির্দেশ দেয় আমরা সেই নির্দেশ অনুসারে কাজ করি। এই বিষয়টিতে আমাদের তেমন কিছু বলার নেই”।
প্রসঙ্গত, পড়শি রাজ্যের শিক্ষকরা অনেক বেশি বেতন পান এই রাজ্যের শিক্ষকদের তুলনায়। এই নিয়ে ক্ষোভ আছে এই রাজ্যের শিক্ষকদের মধ্যে। এই বর্ধিত বেতনের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষক।
তবে সেই মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে আদালতে।আর সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে আগে এই বেতন নিয়ে আশার আলো শোনা-গেল এই রাজ্যের শাসকদল দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের গলায়। গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা কাঁচরাপাড়া হাইস্কুল ময়দানে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের ডাকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভাতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেনি। তাঁর বদলে ওই সভাতে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটি বিধানসভার MLA এবং দলের মুখপাত্র নিৰ্মল ঘোষ।
তাঁরা উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষিকা দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কেল আপনাদের ন্যায্য অধিকারের মধ্যে পড়ে। এটা বেতন আপনাদের পাওয়া উচিত। উনি এই বেতন কাঠামো ৯৩০০ এবং ৪২০০ জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছেন বলেও দাবি করেন।
তবে কবে থেকে এই বেতন কাঠামো চালু হবে তা নিয়ে কোন নিদৃষ্ট সময়ের কথা উল্লেখ করেননি। তবে শিক্ষক মহলের একটা অংশ মনে করেন সামনেই নির্বাচন, সেই কারণে শিক্ষকদের এই সব আশার আলো শোনাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। আর ভোট মিটে গেলেই সবকিছু ভুলে যাবেন তাঁরা। এখন দেখার বাস্তবে কি ব্যবস্থা নেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যের কয়েক হাজার কর্মরত শিক্ষক।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই