প্রতিরোধ গড়ে রাতারাতি বাম সমর্থকদের মন জিতে নিলেন ইমরান! কি ভাবছেন ফেবু কাগুজে কমরেডরা?
নজরবন্দি ব্যুরো: সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ভাবে তাঁকে দেখা যায়না। এই রাজ্যের বামপন্থী যুব নেতাদের মতন সবজান্তা ভাবও নেই। তবুও তিনি দাগ কেটে গেলেন এই রাজ্যের বামপন্থী সমর্থকদের মনে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন বাম বিধায়ক ইমরান ওরফে ভিক্টর।
২০১১ সালের পর থেকে এই রাজ্যের বামপন্থীদের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। রাজনৈতিক রক্তক্ষরণ চলছে । সেই রক্তক্ষরণ থামার কোন লক্ষণ নেই। বাম সমর্থকদের মধ্যে থেকে একটা আওয়াজ বার-বার উঠছে, একটা যোগ্য নেতা চাই। আর সেই চাহিদা পূরণ করতে উঠে আসছে ফব বিধায়ক ভিক্টর। এমনটাই দাবি বাম সমর্থকদের। আর এই ফব নেতাকে সামনে রেখেন ২০১৯ সালের রাজনৈতিক যুদ্ধে ঝাঁপাতে চাইছে এই রাজ্যের বাম সমর্থকরা। নেতারা কি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা আর তোয়াক্কা করেনা তৃণমূল স্তরের বাম সমর্থকরা। তাঁরা শুধু দেখতে চায় এক লড়াকু নেতাকে। আর এই খবর গত কাল সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হবার পর থেকে ট্রেন, বাস, চায়ের ঠেকে সব যায়গাতে একটা বিষয় আলোচনা চলছে "আমরা এমন নেতাকেই চাই"। যারা ফেসবুকে বিপ্লব ঘটায়, এমন নেতার আর প্রয়োজন নেই। তাই বলা যায় বাম সমর্থকরা এখন মজেছেন ভিক্টরকে নিয়ে।
প্রসঙ্গত, দু-দিন আগে বাড়তি মনোনয়নের দিনে সারা বাংলা জুড়ে চলেছে লাগামহীন সন্ত্রাস। সব এলাকাতেই শাসক দলের আক্রমণ। পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বিরোধীদের এমনটাই অভিযোগ। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বিডিও অফিসে চলেছে তৃণমূলি তাণ্ডব। আক্রান্ত হতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও। বাম-বিজেপি সবার রক্তে পিচ্ছিল হয়েছে এই বাংলা।
এমন সন্ত্রাসের পরিবেশে অন্যরকম ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া এলাকায়। প্রতিরোধ কাকে বলে, আবার দেখিয়ে দিলেন আলি ইমরান ওরফে ভিক্টর। লড়াকু এই বাম বিধায়ক বামেদের এখনকার কাগুজে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটায়-নি। কাজের কাজটা করেছেন।
যখন এই রাজ্যের বাঘা-বাঘা বাম নেতারা তৃণমূলের সন্ত্রাস মোকাবিলাতে ব্যর্থ, তখন প্রতিরোধ গড়ে নিজের দুর্গ সামলে দেখিয়েছেন এই বাম বিধায়ক।
এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের টার্গেটে ছিল চাকুলিয়া। এত চেষ্টা করেও কিছুতেই বাগে আনা যায়নি এই তরুণ ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ককে। যে যেমন ভাষা বোঝেন ঠিক তেমন ভাষাতে কথা বললেন এই তরুণ নেতা। বিধানসভার যুক্তি তর্কে যেমন সাবলীল, মাঠ ময়দানের লড়াইয়েও তেমনই সাবলীল। এবারও চাকুলিয়াকে বিরোধী-শূন্য করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন শাসক দলের হেভি-ওয়েটরা।
কিন্তু চাকুলিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ— তিনটি স্তরের সব আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছে বামেরা।
শাসক দল যে সন্ত্রাস করেনি বা প্রশাসন দারুণ সক্রিয় ছিল, এমনটা কিন্তু নয়। হুমকির পাল্টা হুমকি ফিরিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ বিধায়ক। শাসকদলের নেতাদের ও প্রশাসনের চোখে চোখ রেখে হুমকি ফেরত দেবার ক্ষমতা দেখিয়েছে এই নেতা।
প্রথম দিনই ব্লক অফিস ঘিরে ফেলেছিল তৃণমূলের গুণ্ডারা। যারাই ঢুকতে গেছেন, তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রাতেই থানায় গেলেন ভিক্টর। ওসিকে জানিয়ে দিলেন, আজ যা হয়েছে, আপনারা দাঁড়িয়ে দেখেছেন। কাল কিন্তু এমনটা হবে না।
আপনারা চুপ থাকলেও আমরা চুপ থাকব না। কাল আমাদের সবাই মনোনয়ন দিতে যাবে। যদি কোনওরকম সমস্যা হয়, তাহলে ওই গুণ্ডাদের পরে আমরা দেখে নেব। প্রথমে থানায় এসে আপনাদের পিটিয়ে যাব। এই থানা আর থাকবে না। মনে রাখবেন, গুণ্ডারা একদিনের জন্য। কিন্তু আপনাদের এখানেই থাকতে হবে। কোনও পিসি, কোনও ভাইপো, কোনও দাদা বাঁচাতে পারবে না। এর পাশাপাশি ওই যুব নেতা বলেন, মনোনয়নের পরে যদি কোন বাম সমর্থকের বাড়িতে হামলা হয় , তাহলে কোন ভাড়াটে গুণ্ডা কি করেছে, খুঁজতে যাব না। তাদের নামে এফআইআর–ও করব না। কোন লোকটা এই ভাড়াটে গুণ্ডাদের এনেছিল, সেটা জানতে সময় লাগবে না। আমরা কিন্তু সেই নেতার বাড়িতেই চড়াও হব। এবার সেই নেতা ভেবে দেখুক সে কি করবে। এর কিছুক্ষণ পরে তৃণমূলের একটি মিছিল আসছিল। পুলিশ জানত কি হতে চলেছে। পুলিশই তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করেছে। সুবোধ বালকের মতো তৃণমূলের প্রার্থীরা একে একে এসে মনোনয়ন দিয়েছেন। এখানেও রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও মনোনয়ন করতে অসুবিধা হয়নি বামেদের।
এর থেকে এই রাজ্যের বাম নেতারা কিছু শিখলেন? নাকি আবার কোন নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ঘরে বসে থাকবেন। আর কোন কোন নেতারা রাজ্য কমিটি , সেন্ট্রাল কমিটেতে থাকবেন সেই নিয় দলের কার্যালয়ে বড় বড় ভাষণ দেবেন! আর নির্বাচনের সময় শুধুই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলবেন। আর কতদিন এই মিথ্যা ভাষণ দেবেন। মানুষ সব বুঝতে পারছে। মানুষ চাইছে লড়াইয়ে থাকুন নাহলে জায়গা ছেড়ে দিন বিজেপির জন্য। এবার সময় এসেছে নিজেরা কি করবেন ভেবে দেখুন কমরেড।
২০১১ সালের পর থেকে এই রাজ্যের বামপন্থীদের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। রাজনৈতিক রক্তক্ষরণ চলছে । সেই রক্তক্ষরণ থামার কোন লক্ষণ নেই। বাম সমর্থকদের মধ্যে থেকে একটা আওয়াজ বার-বার উঠছে, একটা যোগ্য নেতা চাই। আর সেই চাহিদা পূরণ করতে উঠে আসছে ফব বিধায়ক ভিক্টর। এমনটাই দাবি বাম সমর্থকদের। আর এই ফব নেতাকে সামনে রেখেন ২০১৯ সালের রাজনৈতিক যুদ্ধে ঝাঁপাতে চাইছে এই রাজ্যের বাম সমর্থকরা। নেতারা কি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা আর তোয়াক্কা করেনা তৃণমূল স্তরের বাম সমর্থকরা। তাঁরা শুধু দেখতে চায় এক লড়াকু নেতাকে। আর এই খবর গত কাল সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হবার পর থেকে ট্রেন, বাস, চায়ের ঠেকে সব যায়গাতে একটা বিষয় আলোচনা চলছে "আমরা এমন নেতাকেই চাই"। যারা ফেসবুকে বিপ্লব ঘটায়, এমন নেতার আর প্রয়োজন নেই। তাই বলা যায় বাম সমর্থকরা এখন মজেছেন ভিক্টরকে নিয়ে।
প্রসঙ্গত, দু-দিন আগে বাড়তি মনোনয়নের দিনে সারা বাংলা জুড়ে চলেছে লাগামহীন সন্ত্রাস। সব এলাকাতেই শাসক দলের আক্রমণ। পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বিরোধীদের এমনটাই অভিযোগ। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বিডিও অফিসে চলেছে তৃণমূলি তাণ্ডব। আক্রান্ত হতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও। বাম-বিজেপি সবার রক্তে পিচ্ছিল হয়েছে এই বাংলা।
এমন সন্ত্রাসের পরিবেশে অন্যরকম ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া এলাকায়। প্রতিরোধ কাকে বলে, আবার দেখিয়ে দিলেন আলি ইমরান ওরফে ভিক্টর। লড়াকু এই বাম বিধায়ক বামেদের এখনকার কাগুজে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটায়-নি। কাজের কাজটা করেছেন।
যখন এই রাজ্যের বাঘা-বাঘা বাম নেতারা তৃণমূলের সন্ত্রাস মোকাবিলাতে ব্যর্থ, তখন প্রতিরোধ গড়ে নিজের দুর্গ সামলে দেখিয়েছেন এই বাম বিধায়ক।
এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের টার্গেটে ছিল চাকুলিয়া। এত চেষ্টা করেও কিছুতেই বাগে আনা যায়নি এই তরুণ ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ককে। যে যেমন ভাষা বোঝেন ঠিক তেমন ভাষাতে কথা বললেন এই তরুণ নেতা। বিধানসভার যুক্তি তর্কে যেমন সাবলীল, মাঠ ময়দানের লড়াইয়েও তেমনই সাবলীল। এবারও চাকুলিয়াকে বিরোধী-শূন্য করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন শাসক দলের হেভি-ওয়েটরা।
কিন্তু চাকুলিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ— তিনটি স্তরের সব আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছে বামেরা।
শাসক দল যে সন্ত্রাস করেনি বা প্রশাসন দারুণ সক্রিয় ছিল, এমনটা কিন্তু নয়। হুমকির পাল্টা হুমকি ফিরিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ বিধায়ক। শাসকদলের নেতাদের ও প্রশাসনের চোখে চোখ রেখে হুমকি ফেরত দেবার ক্ষমতা দেখিয়েছে এই নেতা।
প্রথম দিনই ব্লক অফিস ঘিরে ফেলেছিল তৃণমূলের গুণ্ডারা। যারাই ঢুকতে গেছেন, তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রাতেই থানায় গেলেন ভিক্টর। ওসিকে জানিয়ে দিলেন, আজ যা হয়েছে, আপনারা দাঁড়িয়ে দেখেছেন। কাল কিন্তু এমনটা হবে না।
আপনারা চুপ থাকলেও আমরা চুপ থাকব না। কাল আমাদের সবাই মনোনয়ন দিতে যাবে। যদি কোনওরকম সমস্যা হয়, তাহলে ওই গুণ্ডাদের পরে আমরা দেখে নেব। প্রথমে থানায় এসে আপনাদের পিটিয়ে যাব। এই থানা আর থাকবে না। মনে রাখবেন, গুণ্ডারা একদিনের জন্য। কিন্তু আপনাদের এখানেই থাকতে হবে। কোনও পিসি, কোনও ভাইপো, কোনও দাদা বাঁচাতে পারবে না। এর পাশাপাশি ওই যুব নেতা বলেন, মনোনয়নের পরে যদি কোন বাম সমর্থকের বাড়িতে হামলা হয় , তাহলে কোন ভাড়াটে গুণ্ডা কি করেছে, খুঁজতে যাব না। তাদের নামে এফআইআর–ও করব না। কোন লোকটা এই ভাড়াটে গুণ্ডাদের এনেছিল, সেটা জানতে সময় লাগবে না। আমরা কিন্তু সেই নেতার বাড়িতেই চড়াও হব। এবার সেই নেতা ভেবে দেখুক সে কি করবে। এর কিছুক্ষণ পরে তৃণমূলের একটি মিছিল আসছিল। পুলিশ জানত কি হতে চলেছে। পুলিশই তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করেছে। সুবোধ বালকের মতো তৃণমূলের প্রার্থীরা একে একে এসে মনোনয়ন দিয়েছেন। এখানেও রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও মনোনয়ন করতে অসুবিধা হয়নি বামেদের।
এর থেকে এই রাজ্যের বাম নেতারা কিছু শিখলেন? নাকি আবার কোন নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ঘরে বসে থাকবেন। আর কোন কোন নেতারা রাজ্য কমিটি , সেন্ট্রাল কমিটেতে থাকবেন সেই নিয় দলের কার্যালয়ে বড় বড় ভাষণ দেবেন! আর নির্বাচনের সময় শুধুই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলবেন। আর কতদিন এই মিথ্যা ভাষণ দেবেন। মানুষ সব বুঝতে পারছে। মানুষ চাইছে লড়াইয়ে থাকুন নাহলে জায়গা ছেড়ে দিন বিজেপির জন্য। এবার সময় এসেছে নিজেরা কি করবেন ভেবে দেখুন কমরেড।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই