Header Ads

কন্যাশ্রী-র রাজ্যেও কন্যাসন্তান প্রসব 'অপরাধ'! শাস্তি পেতে হয় মা-কে।


নজরবন্দি, বালুরঘাট: দ্বিতীয় বারও কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো বাবা। রাগে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া মায়ের জন্য আনা রক্তের বোতল হাসপাতালের মেঝেতে আছড়ে ভাংগল বাবা। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সুপারফেসিলিটি হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর আত্মীয় পরিজন সহ হাসপাতালের কর্মীরা। নিরয়াপত্তা কর্মীরা ছুটে এসে এর প্রতিবাদে আটক করে ওই চন্ডাল বাবা ও তার পরিবারের লোকজনদের। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর হাসপাতালের সুপারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে ওই কন্যা সন্তানের পিতা ও তার পরিবারকে বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া সমাজে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া নিয়ে সরকার যখন বেটি বাচাও বেটি পড়াও ও কন্যাশ্রী র মত প্রকল্প নিয়ে এসেছে তখন আর এসব নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করবার কারণ নেই। অপরদিকে বালুর-ঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকার নিচাবন্দর গ্রামের বাসিন্দা নান্টু দাস তার স্ত্রী শম্পা দাসকে প্রসবের জন্য গত কাল রবিবার ভর্তি করে। তাদের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। আজ সকালে তার সিজার করে সন্তান জন্মের জন্য চিকিৎসক
  তাকে রক্ত জোগাড় করে আনতে বলে। চিকিৎসকের নির্দেশ মত রক্তের বোতল জোগাড় করে হাসপাতালে পা দিতেই তিনি জানতে পারেন এবারও তার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে।
এরপরেই ওই সদ্য জন্মানো কন্যা সন্তানের পিতা নান্টু দাস রাগে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে তার হাতে থাকা রক্তের বোতল টি হাসপাতালের মেঝেতে আছাড়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এরপরেই স্থানীয় অন্যান্য রোগীর আত্মীয় পরিজন ও নিরাপত্তা কর্মীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বেশ কিচ্ছুক্ষণ তাকে আটকে রাখা হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। যদিও বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান ওই পিতার এমন নক্কারজনক কাজের জন্য আমারা একবার ভেবে ছিলাম তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেব। কিন্তু তাকে বেশ কিচ্ছুক্ষণ কাউন্সিলিং করার পর তার ও তার পরিবারের তরফে দুখ প্রকাশ করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কন্য সন্তান জন্ম দেবার ব্যাপারে কত ভাবে উতসাহিত করা হচ্ছে বলে তাকে বুঝিয়েছেন 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.