Header Ads

সুবিধাবাদী চাকরী প্রার্থীদের জন্য কড়া ব্যবস্থা নিল আদালত! শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ কবে?

নজরবন্দি ব্যুরো: এই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমস্যা চলছে প্রায় ২০১১ সালের পরে থেকে। যত সময় গিয়েছে সেই সমস্যা অনেক বেশি গভীর হয়েছে।
একাধিক সমস্যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এই রাজ্যের চাকরী প্রার্থীরা।
নিয়োগের দাবিতে বার-বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে এই রাজ্যের পড়ুয়াদের। কিন্তু কোন আন্দোলন সেই ভাবে দানা বাঁধেনি। বা বলাযায় সেই আন্দোলনে কয়েকজন হবু শিক্ষক ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি।বারবার আবেদন সত্ত্বেও আদালতে মামলা করার ক্ষেত্রে হবু শিক্ষকদের ২% এর বেশি আদালতে কাউকে দেখা যায়না।এমনটাই অভিযোগ। ওই ২% বাদ দিয়ে আর সব সুবিধাবাদী হবু শিক্ষকরা ওই দিন টিভির পর্দাতে চোখ রেখে মজা দেখেন। এক চাকরী প্রার্থীর কথায়, “যদি এই রাজ্যের সমস্ত হবু শিক্ষকরা আন্দোলন কিংবা আদালতে উপস্থিত থাকতেন, তা হলে রাজ্য সরকার তাদের নিয়োগপত্র অনেক আগেই দিয়ে দিতে বাধ্য হতেন।
আর ওই সুবিধাবাদী শ্রেণির জন্য ভুগতে হচ্ছে এই রাজ্যের সমস্ত হবু শিক্ষকদের”।
আর গত কাল এই সমস্ত সুবিধাবাদী শ্রেণীর লোকদের জন্য বেশ কড়া সিদ্ধান্ত নিল আদালত।
জানা গিয়েছে, মাদ্রাসায় দশম উত্তীর্ণ বঞ্চিতরা কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক বিভাবের গ্রামীণ ডাক সেবক পদের জন্য আবেদেন করতে পারবেন। তবে শুধু মামলাকারীরাই এই সুবিধা পাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট একটি নির্দেশে জানিয়েছে মামলাকারী ২৮ জন প্রার্থী ওই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাঁরা অফলাইনে ওই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে রাজ্যের উচ্চ আদালতে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ডাক সেবক পদে মাদ্রাসার দশম উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগের জন্য সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বঞ্চিত ২৮ জন প্রার্থী। মামলাকারীরা জানান, আমরা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে দশম উত্তীর্ণ।
গত বছর এক নোটিফিকেশন অনুসারে ওই পদে আবেদনও করি। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। এই বছর ফের একই পদে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডাক বিভাগ  কর্তৃপক্ষ। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মাদ্রাসা পর্ষদের উত্তীর্ণদের অবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতেই কয়েকজন আবেদনকারী মামলা দায়ের করেন। এ দিনের রায়ে হাইকোর্ট মামলাকারীদের অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে যারা মামলা করেনি বা তাদের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে আদালত। তবে ভবিষ্যতে কি আদালত এই রায়ে স্থির থাকবেন,নাকি বাকিদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করবেন। কারণ “আইনের চোখে সবাই সমান”। আর সেই দিকে তাকিয়ে বাকি পরীক্ষার্থীরা।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.